পাতা:গল্প-গ্রন্থাবলী (প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়) তৃতীয় খণ্ড.djvu/৪০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

800 গল্প-গ্রন্থাবলী | 4 శా శా శాr কাগজ ফেলিয়া, চশমা খালিয়া রাখিয়া হাকিলেন, ÉÉ হায় ।” “হজর”—বলিয়া একজন দেব-বেয়ারা কক্ষমধ্যে প্রবেশ করিয়া সেলাম করিল। দেবরাজ সংক্ষেপে বলিলেন, “ডক্টর সাবলোগ্য।” পাঁচমিনিটের মধ্যে স্বগবৈদ্য অশ্বিনীকুমারদ্বয় আসিয়া দাঁড়াইলেন। দেবরাজ কাগজখানা তাঁহাদের হাতে দিয়া বলিলেন, “পড়।” পড়িয়া তাঁহারা বললেন, “এ কি কাণ্ড রোগী মরে অথচ এখনও পয্যন্ত রোগ নির্ণয় হল না। হুঃ—যত সব—” ইন্দ্র বলিলেন—“বড়কুমার, এখনি তুমি যাও—অদশ্যভাবে যাবে। রাজাকে দেখে এসে আমাকে বল তাঁর কি হয়েছে।” বড়কুমার হসে করিয়া মত্তে নামিয়া গেলেন,–একেবারে ভোজরাজের শয়নকক্ষে । রাজার মস্তক লক্ষ্য করিয়া তাঁহার রেন্টগেন রে অপেক্ষাও তীক্ষা) দিব্যদটি প্রেরণ করিয়া দেখিলেন, মস্তিকের মধ্যে একটি পাঠান (বোয়াল) মৎস্যের “পোনা” শইয়া আছে, এবং মাঝে মাঝে নড়িতেছে চড়িতেছে। দেখিয়া তিনি তৎক্ষণাৎ সবগে ফিরিয়া, দেবরাজের নিকট উপস্থিত হইলেন। তখন তাঁহাদের মধ্যে নিম্নলিখিতরীপ কথাবাত্তা হইতে লাগিল। ইন্দ্র। কিহে বড়কুমার, কি দেখে এলে ? বড়কুমার। মহারাজ ! কেস সঙীন। ভোজরাজের মস্তিকমধ্যে বোয়াল মাছের একটি জ্যান্ত ছানা। ইন্দ্র। অ্যf ?--বল কি হে ; বোয়াল মাছের ছানা ? রাজার মাথায় কি কোরে ঢুকলো ? বড়কুমার। তাও আমি যোগবলে জানতে পেরেছি। রাজা একদিন মাগযা করতে গিয়ে, বনের মধ্যে এক পর্কুেরে নেমে অজিলা অজিলা ভরে জলপান করেছিলেন, সেই সময় তাঁর নাকের ফটো দিয়ে সদ্য ডিমফোটা বোয়াল মাছের এক সক্ষম ছানা প্রবেশ করে এবং ক্লমে মস্তিকে গিয়ে বাসা বাঁধে। রাজমস্তকের খাঁটি ঘি খেয়ে খেয়ে সে এখন বেশ হান্টপটে হয়েছে। ইন্দ্র। কি সব্বনাশ ! তবে এখন উপায় ? বড়কুমার। উপায়—অপারেশন। মাথার খালি উঠিয়ে ফেলে মাছটাকে বের করতে হবে; এ ভিন্ন অন্য উপায় নেই। ইন্দ্র। এ ত সাংঘাতিক অপারেশন ! তুমি তবে যাও—তাই কর। ছোটকুমার এখানেই থাকুন, সময়টা বড় খারাপ—কখন কার কি হয় । কাল থেকে আমার শরীরটেও কেমন ম্যাজ ম্যাজ কচ্ছে ! তুমি গিয়ে রাজার চিকিৎসা কর। মোট কথা তাঁকে বাঁচাতেই হবে। আহা, বড় ভাল রাজা ! বড়কুমার। আজ্ঞে, আমি তাহলে যাই। ইন্দ্র। হ্যাঁ, আর দেখ, এবার ত অদশ্য হয়ে গেলে চলবে না। বন্ধ কবিরাজের বেশ ধরে যাবে—‘রাজাকে আমি বাঁচয়ে দিতে পারি" একথা বললেই, তারা তোমার হাতে রাজাকে ছেড়ে দেবে এখন। বড়কুমার তাঁহার ব্যাগে যন্ত্রপাতি, ব্যান্ডেজের সরঞ্জাম ও ঔষধপত্র ভরিয়া, সেই দিনই যাইয়া ধারানগরীর রাজবাটীতে উপস্থিত হইলেন।