エ→に至ー S মজুমদার-বংশ বড় বংশ, গ্রামের মধ্যে র্তাহাদের ভারি সম্মান। বড়ভাই গুরুচরণ এই বাড়ির কৰ্ত্ত ; শুধু বাড়ির কেন, সমস্ত গ্রামের কৰ্ত্ত বলিলেও অত্যুক্তি হয় না। বড়লোক আরও ছিল, কিন্তু এতখানি শ্রদ্ধা ও ভক্তির পাত্র শ্ৰীকুঞ্জপুরে আর কেহ ছিল না । জীবনে পড় চাকুরি কখনো করেন নাই,-গ্রাম ছাড়িয়া অন্যত্র যাইতে সন্মত হইলে হয় ৩ তাহা দুষ্পাপ্য হইত না, কিন্তু প্রথম থৌবনে সেই যে একদিন অনতিদূরবর্তী জেলা-ইস্কুলের মাস্টারিতে ঢুকিয়াছিলেন, কোন লোভেই আর এই শিক্ষালয়ের মায়া কাটাইয়া অন্যত্র যাইতে সম্মত হন নাই। এখানে ত্রিশ টাকা বেতন পঞ্চাশ টাকা হইয়াছিল, এবং তাহার অৰ্দ্ধেক পচিশ টাকা পেন্সনে বছর তিনেক হইল অবসর গ্রহণ করিয়াছেন। পৃথিবীতে আজও হয়ত টাকাটাই একমাত্র বড় পদার্থ নয়, তা না হইলে বিবাদ মিটাইতে, নালিশ নিম্পত্তি করিতে, দলাদলির বিচার করিয়া দিতে তাহার আদেশই শ্ৰীকুঞ্জপুরের সর্বমান্য বস্তু হইয়া থাকিতে পারিত না । তাহার অপরিসীম স্বধৰ্ম্ম-নিষ্ঠ, চরিত্রের দৃঢ়তা এবং অবিচলিত সাধুতার সম্মুখে সকলেই সসন্ত্রমে মাথা নত করিত। বয়স ষাটের কাছাকাছি— কেহ চরিত্র, সাধুতা বা ধৰ্ম্মের বাড়াবাড়ি করিলে, দশ-বিশখান। গ্রামের লোক তামাসা করিয়া বলিত, ইস্ ! এ যে একেবারে গুরুচরণ। গুরুচরণের স্ত্রী ছিল না, ছিল একমাত্র পুত্র বিমল । জগতে অদ্ভুত বলিয়া বোধ হয় সত্যকার কিছু নাই, না হইলে এতবড় সৰ্ব্বগুণান্বিত পিতার এতবড় সৰ্ব্বাদোষাশ্রিত পুত্র যে কি করিয়া জন্মগ্রহণ করিল লোকে ভাবিয়া পাইত না । পুত্রের সহিত পিতার সাংসারিক বন্ধন ছিল না বলিলেই চলে, কিন্তু তাহার সকল বন্ধন গিয়া পড়িয়াছিল ভ্রাতুপুত্র পরেশের উপর। হরিচরণের বড় ছেলে পরেশ যেন তাহার আপনার ছেলে-পরেশ এম. এ. পাশ করিয়া আইন পড়িতেছে —তাহাকে বর্ণপরিচয় হইতে আরম্ভ করিয়া আজিও সমস্ত পড়া তিনি পড়াইয়া আসিতেছেন । বিমল যে কিছু শিখিল না, এ দুঃখ তাহার এক পরেশ হইতে মিটিয়াছে । చిన్న రి
