পাতা:গীতা-গ্রন্থাবলী (উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়).djvu/১৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ን›ዓb” উত্তর গীতা । তাদৃশং পরমং রূপং স্বরেৎ পার্থ হনন্তধীঃ । বিধৃমাগ্নিনিভং দেবং পম্প্রেদত্যগুনিৰ্ম্মলন। ২৫ । দূরস্থোছপি ন দূরস্থ পিণ্ডস্থ পিণ্ডবর্জিত । বিমলঃ সৰ্ব্বদা দেহী সৰ্ব্বব্যাপী নিরঞ্জন ॥ ২৬ ॥ কায়স্থোহপি ন কায়স্থঃ কায়স্থোইপি ন জায়তে । কায়স্থোছপি ন ভুঞ্জানঃ কায়স্থোইপি ন বধ্যতে ॥ ২৭ ॥ করিয়া থাকেন অর্থাৎ দুইখানি কাষ্ঠ গ্রহণ করিয়া তাহ পরস্পর ঘর্ষণ করিলে যেমন তন্মধ্য হইতে গুপ্ত অগ্নির আবির্ভাব হয়, সেইরূপ জীবাত্মা ও প্রণব এই উভয়কে একযোগে গ্রহণ পূৰ্ব্বক পুনঃ পুনঃ ধ্যান করিলে গৃঢ়স্বরূপ পরমাত্মার সাক্ষাৎ হইয়া থাকে ॥ ২৪ ॥ ছে পার্থ। পরমাত্মা ধূমহীন অগ্নির কায় স্বপ্রকাশমান ; ষে পৰ্য্যস্ত-ঠাহীর দর্শনলাভ না হয়, তাবৎকাল একমনে সেই পরমরূপ চিন্তা করিবে ॥ २* r হে ধনঞ্জয় । জীবাত্মা পরমাত্মা হইতে দূরবর্তী হইলেও দূরবর্তী নহেন, কারণ, জীবাত্মা ও পরমাত্মাতে কোন ভিন্নতা নাই । পুত্র যেরূপ পিতার প্রতিবিম্ব, জীবাত্মা ও পরমাত্মাতেও তদ্রুপ সম্বন্ধ জানিবে । পদ্মপত্রে জল রাখিলে সেই জল যেমন পদ্মপত্রের পন্নিহিত হইয়াও তাহাতে সংলগ্ন হয় না, সেইরূপ জীবাত্মা পঞ্চভূতাত্মক শরীরে অবস্থিত বটে, কিন্তু তথাপি দেহে লিপ নতে । শরীর অনিত্য অtবরণমাত্র। স্বেরূপ বসন পুরাতন হষ্টলে মানবগণ তাঙ্গা পরিত্যাগ করিয়া নৃতম বস্ত্র ধারণ করে, তদ্রুপ জীবাত্মা জীর্ণ শরীর পরিত্যাগ করিয়া শরীর গ্রহণ করে ; সুতরাং জীবাত্মা দেহে লিপ্ত লহে। এই জীবাত্মা নিৰ্ম্মল, সৰ্ব্বব্যাপী ও সৰ্ব্বথা মালিন্তরহিত । তত্ত্বজ্ঞানলাভ হইলেই এইরূপে জীবাত্মা ও পরমাত্মার অভেদ পরিজ্ঞাত হওয়া যায় ॥ ২৬ ॥ জীবাত্মা শরীরস্থ হইয়াও শরীরস্থ নহেন, মানবেরা ভ্রমবশেই ঐরুপ কল্পনা করিয়া থাকে। জীবাত্মা শরীরস্থ হইলেও জন্ম-মৃত্যুশীল দেহের ন্যায় জন্মমৃত্যুর বশগত নহেন। কারণ, দেহের ন্যায় জীবাত্মা পঞ্চভূতাত্মক নহে। সুতরাং উহার আবির্ভাব বা তিরোভাব কিছুই নাই। আর জীবাত্মা দেহস্থিত হইয়াও কিছুমাত্র ভোগ করেন না, কারণ, তিক্তি স্বখ দুঃখের অতীত, পূর্ণ