পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (অষ্টম সম্ভার).djvu/১১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাহিত্য-সংগ্ৰহ দাড়াইলেন, তাহার পর ডাকিলেন, মালতী ! মালতী চমকিয়া চাহিয়া দেখিল ; বলিল, এসে । স্বরেন্দ্রনাথ নিকটে উপবেশন করিলেন। তাহার দু'টি হাত নিজের হাতে লইয়া স্নেহার্জ-স্বরে কহিলেন, আবার কাদছিলে ? মালতী হাতে-নাতে ধরা পড়িয়া গিয়াছে, এইজন্য ইচ্ছা থাকিলেও “না বলিতে পারিল না। চুপ করিয়া রহিল। কেন কাদছিলে ? মালতী কথা কহিল না। তিনিও কিছুক্ষণ কিছুই বলিতে পারিলেন না। পরে তাহার হাত দুটি আরো একটু টিপিয়া ধরিয়া ধীরে ধীরে কহিলেন, দুঃখ এই যে, এত চেষ্টাতেও তোমাকে স্বধী করতে পারলাম না, হৃদয়ের সহস্ৰ কামনাতেও তোমার মন পেলাম না । মালতী একটা উত্তর খুজিল, কিন্তু পাইল না, তা ছাড়া আরো একটা কাজ তাহার দ্বারা হইল না। ইতিপূৰ্ব্বে সে মনে মনে প্রতিজ্ঞা করিয়াছিল যে, যাহাই হোক আর কাদিবে না, কিন্তু অশ্রীর উপর প্রভূত্ব বজায় রাখিতে পারিল না । তাহারা যেমন পড়িতেছিল তেমনই পড়িতে লাগিল । স্বরেন্দ্রনাথ বলিতে লাগিলেন, কি করলে যে একজন সুখী হতে পারে তা মানুষে বুঝতে পারে না এবং দেবতারা পারেন কি-না তাও বলতে পারি না। তৃপ্তির জন্য, মুখের জন্য এ ভবন এমন করে সাজালাম, এ দেবী-প্রতিমা এ ভবনে এত যত্বে প্রতিষ্ঠিত করলাম, কিন্তু মুখী হতে পারলাম কি ? মুখের কথা ছেড়ে দিই—বোধ হয় আমার অম্বথের মাত্রাই বৃদ্ধি হয়েচে । যাকে স্বর্থী করতে এত করলাম তাকে একদিনের জন্তও স্বর্থী দেখলাম না, তোমাকে পেয়ে অবধি ও-অধরে একতিলের জন্যও হাসির রেখা দেখলাম না, বলিতে বলিতে স্বরেন্দ্রনাথ তাহার হাত ছাড়িয়া দিয়া নিতান্ত অধীরভাবে সে অশ্র-মলিন মুখখানি তুলিয়া ধরিলেন ; বলিলেন, মালতী, কতদিন কেটে গেল, কিন্তু কিছুতেই কি তুমি প্রফুল্প হবে না, কিছুতেই একবার হেসে চাইবে না ? মালতী হাত তুলিয়া চক্ষু মুছিল । এ সৌন্দৰ্য্য যে কি, এ রূপে যে কত মুগ্ধ হয়েছি তা প্রকাশ করতে পারি না । মনের সাধে সাজাব বলে কত অলঙ্কার আনলাম, কত বস্ত্র সংগ্রহ করলাম, কিন্তু এক দণ্ডের তরেও তুমি পরলে না । মালতী ! তুমি কি আমাকে দেখতে *ांग्र ना ? মালতী তাহার ক্রোড়ের উপর মস্তক স্থাপিত করিয়া কাদিতে লাগিল। স্বরেন্দ্রনাথের চক্ষুও জার্জ হইয়া আসিল । আদর করিয়া তাহার মস্তকে হাত রাখিয়া গদ } a &