শুভদ। আহা, অমন মেয়েও মরে ! কিন্তু তোদের এ ডাইনী কোথেকে উঠল ? কলকাতা থেকে । মাগী বুঝি বাবুকে ওষুধ করেচে ? শুনতে পাই । কিন্তু আমি তার ওষুধ করা ভেঙে দেব। দিও—মগী যেমন—তেমনি শোধ দিয়ে তবে যেয়ো । তা যাব । মাগী মন্তর-তন্তর কিছু জানে ? মন্তর-তন্তর ? শুনতে পাই কামিখ্যে থেকে শিখে এসেছিল। মানুষকে ভেড়া করে রাখতে পারে। এই বাবুকে এমনি করেচে যে, ইনি উঠতে বললে ওঠেন, বসতে বললে বসেন । জয়ার মার মুখখানা কিছু বিবর্ণ হইয়া গেল । শুষ্ক-মুখে বলিল, তা মস্তর-তন্তর আমিও জানি । জানবে না কেন ? তা আজ দুপুরবেলা যখন আসবে তখন দেখিয়ে দেব । বাণ মারতে জানে ? জানে বৈকি! কখন আসবে ? দুপুরবেলা । জয়ার মা জানাল দিয়া বাহিরে চাহিয়া দেখিল । বোধ হইল যেন দুপুর হইতে অধিক বিলম্ব নাই। ইতস্তত: করিয়া বলিল, আজ কিন্তু আমার ঢের বরাত আছে— আজ তবে এখন যাই, কাল আসব। জয়ার মা উঠিয়া দাড়াইল । না, না, আজ এখানে খেয়ে-দেয়ে যান । বড় দেরি হবে যে । কিছুই দেরি হবে না । তবে শীগগির শীগগির নে মা ! তোর নামটি কি বাছ ? আমার নাম মালতী । আহা বেশ নাম । জয়ার মা তখন নীচে আসিয়া তাড়াতাড়ি করিয়া কিছু আহার করিয়া লইল । মালতী নিকটে বসিয়া দেখিল যে, জয়ার মার আহার তেমন স্থবিধা হইল না, উঠিয়া বলিল, তবে এখন যাই মা । একটা কথা আপনাকে এখনো বলা হয়নি—জয়াদিদির কাছে আমি দশ টাকা ধার নিয়েছিলাম—তা তিনি নেই, এখন আপনি যদি দয়া করে আমাকে ঋণমুক্ত করেন । ১২৩
