পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (অষ্টম সম্ভার).djvu/২১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পণ্ডিত মশাই ছিল, তথাপি সে মায়ের মুখের দিকে সতৃষ্ণ চোখ দুটি তুলিয়া শেষে স্থৰ মুখে নিঃশৰে পিতার অনুসরণ করিয়া বাহিরে আসিয়া দাড়াইল । গাড়োয়ান গরু ছটাকে জল খাওয়াইয়া আনিতে গিয়াছিল, পিতা-পুত্র অপেক্ষা করিয়া পথের উপর দাড়াইম্বা রহিল। এইবার কুঙ্কম সরিয়া আসিয়া সদর দরজার ফাক দিয়া স্বামীর মুখের দিকে চাহিয়া চমকিয়া উঠিল। তাহার সে লাবণ্য নাই, চোখমুখের ভাব অতিশয় কুশ ও পাণ্ডুয় । হঠাৎ সে আত্মসংবরণ করিতে না পারিয়া আড়ালে থাকিয়াই ডাকিল, একবার শোনো । বৃন্দাবন কাছে আসিয়া কহিল, কি ? তোমার কি এর মধ্যে অমুখ করেছিল ? न । তবে, এমন রোগা দেখাচ্চে কেন ? তা ত’ বলতে পারি নে। বোধ করি ভাবনায়-চিস্তায় শুকনো দেখাচ্ছে । ভাবনা-চিন্তা ! স্বামীর শীর্ণ মুখের পানে চাহিয়া তাহার জালাট নরম হইয়া আসিয়াছিল, শেষ কথায় পুনৰ্ব্বার জলিয়া উঠিল। শ্লেষ করিয়া কহিল, তোমার ত ষোলো-আনাই মুখের । ভাবনা কি শুনি ? বৃন্দাবন ইহার জবাব দিল না। গাড়ি প্রস্তুত হইলে, চরণ উঠিতে গেলে বৃন্দাবন কহিল, তোর মাকে প্রণাম করে এলিনে রে ? সে নামিয়া আসিয়া দ্বারের বাহিরের মাথা ঠেকাইয়া নমস্কার করিল, কুসুম ব্যগ্রভাবে হাত বাড়াইয়া ধরিতে গেলে ছটিয়া পলাইয়া গেল। সব কথা না বুঝিলেও এ কথাটা সে বুঝিয়াছিল, মাতা তাহাকে আজ আদর করে নাই, এবং সে থাকিতে আসিয়াছিল, তাহাকে রাখে নাই । বৃন্দাবন আরও একটু সরিয়া আসিয়া গলা খাটো করিয়া কহিল, কে জানে, যদি আর কখনও না বলতে পাই, তাই আজই কথাটা বলে যাই । আজ রাগের মাথায় তোমার চরণকে তুমি ঠাই দিলে না, কিন্তু আমার অবর্তমানে দিয়ে । কুহুম ব্যস্ত হইয়া বাধা দিয়া উঠিল—ও-সব আমি শুনতে চাইনে। তবু শোনো । আজ তোমার হাতেই তাকে দিতে এসেছিলুম। আমাকে তোমার বিশ্বাস কি ? বৃন্দাবনের চোখ ছলছল করিয়া উঠিল, বলিল, তবুও সেই রাগের কথা ! কুক্কম শুনি তুমি অনেক শিখেচ, কিন্তু মেয়েমানুষ হয়ে ক্ষমা করতে শেখাই যে সবচেয়ে বড়শেখা এটা কেন শেখোনি । কিন্তু তুমি চরণের মা, এই আমার বিশ্বাস। ছেলেকে মা-বাপের হাতে দিয়ে বিশ্বাস না হলে কার হাতে হয় বল ? कूश्य हर्टी१७-कथांद्र बचाव भूजिब्रां नाड्रेण नां । & •¢