পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (সপ্তম সম্ভার).djvu/২৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

शृंझ्मांश् বাবে বৈকি বাবা । তা ছাড়া, তোমাকে একলা আমি ছেড়েই বা দেব কেন ? তুমি যেখানেই যাও না, আমি সঙ্গে না গিয়ে কিছুতেই ছাড়ব না, তা বলে রাখচি । আমাকে কেউ সঙ্গে নিতে চায় না বাবা, আমি কোথাও একটু বেড়াতে •ाइँट्न । প্রত্যুত্তরে বৃদ্ধ কোন কথা বলিলেন না, কেবল দুই করতল মুখের উপর চাপা দিয়া নিজের দুই জান্থর উপর উপুড় হইয়া পড়িলেন এবং পরক্ষণেই দেখিতে পাওয়া গেল, এই শুদ্ধ শীর্ণ দেহখানির একপ্রান্ত হইতে অন্ত প্রাস্ত পৰ্য্যস্ত ভেতরের অব্যক্ত বেদনায় থর থর করিয়া কঁাপিতেছে। মৃণাল নিঃশবে তাহার শিয়রের কাছে বসিয়া রহিল, একটি কথা একটি সাম্বনার বাক্য উচ্চারণ পৰ্য্যন্ত করিল না ! একমাত্র কন্যার ঘৃণ্যতম দুৰ্গতিতে যে পিতার হৃদয় বিদ্ধ হইতেছে, তাহাকে সাস্বনা দিবার তাহার কি-ই বা ছিল । এমন করিয়া বহুক্ষণ কাটিলে পরে বৃদ্ধ আত্মসংবরণ করিয়া উঠিয়া বসিয়া ডাকিলেন, মা ! তাহার মুখের প্রতি চাহিয়া মৃণালের বুক ফাটিয়া গেল, কিন্তু সে প্রাণপণে অঞ্জ নিরোধ করিয়া সাড়া দিল, কেন বাবা ? সংসারে ব্যথার পরিমাণ ষে এত বড়ও হতে পারে, এ ত’ কখনো ভাবিনি মৃণাল ? এর থেকে পরিত্রাণের কি কোথাও কোন পথ নেই ? কেউ কি জানে না ? কিন্তু বাবা, লোকে মতুর শোকও ত সহ করতে পারে! কেদারবাবু বলিলেন, আমার পক্ষে সে মৃত, এই ত তুমি বলচ মা ! এক হিসাবে তাই বটে। অনেকবার আমার মনেও হয়েচে-কিন্তু মৃত্যুর শোক যেমন বড়, তার শাস্তি, তার মাধুর্ঘ্য তেমনি বড়। কিন্তু সে সানার উপায় কৈ মৃণাল ? এর দ্বসই গ্লানি, অসহ লজ্জা আমার বুকের পথ জুড়ে এমনি বেধে আছে যে কোথাও তাদের নাড়িয়ে রাখবার এতটুকু ফাক নেই। বলিয়া চক্ষু মুদিয়া বুকের উপর হাতখানি পাতিয়া রাখিয়া আবার ধীরে ধীরে বলিলেন, মা, সস্তানের মৃত্যু যিনি দেন, তাকে আমরা এই বলে ক্ষমা করি যে, তার কার্যকরণ আমরা জানিনে ! আমরা — মৃণাল হঠাৎ বাধা দিয়া বলিয়া উঠিল, বাবা, আমরাও তা হলে তাই করতে পারি ! যে কেউ হোক না, যার কার্য্যকরণ আমাদের জানা নেই, তাকে মাপ করতেই যদি না পারি, অন্ততঃ মনে মনে তার বিচার করে তাকে অপরাধী করে । ब्रांश्धुंद न ! বৃদ্ধ ঠিক যেন চমকিয়া উঠিলেন, এবং দুই চক্ষের তীব্র দৃষ্টি অপরের মুখের প্রতি একাগ্র করিয়া পাথরের মত নিম্পদ হইয়া রছিলেন । মৃণাল সলজমুখে জান্তে আস্তে বলিতে লাগিল, তা ছাড়া আমি লেজার २२१