শরৎ-সাহিত্য-সংগ্ৰহ সুকিয়া, ধীর-স্থিরভাবে বিবেচনা করিয়া, কৰ্ত্তব্য এবং মঙ্গলের খাতিরেই বাধ্য হইয়া নারীর এই নিম্নস্থান নির্দিষ্ট করিয়া দিয়াছে, তাহা হইলে সে-কথা সত্য নয়। অবশ্য স্পেন্সরের এই মত সকলেই যে বিনা প্রতিবাদে স্বীকার করিয়া লইয়াছেন তাহা নহে, কিন্তু যতগুলা বিভিন্ন প্রতিবাদ অন্ততঃ আমার চোখে পড়িয়াছে তাহাতে স্পেন্সরের মতটাই সত্য বলিয়া মনে হইয়াছে । তিনি বলিয়াছেন, “militancy implies predominance of compulsory co-operation” “RR Wiki; *TGSłt TV-TR GCHR Ff#Rl fötfVTECTR, "Hence the disregard of women's claims shown in stealing and buying them ; hence the inequality of Status between the sexes entailed by polygamy, hence the use of women as labouring Slaves ; hence the life-anddeath power over wife and child ; and hence that constitution of the family which subjects all its members to the eldest male. Conversely, the type of individual nature developed by voluntary co-operation in societies that are predominantly industrial, whether they be peaceful, simple tribes, or nations that have in great measure outgrown militancy, is a relatively—altruistic nature.” wisfor to compulsory co-operation coston to ‘binding', তা লড়ায়ের জন্তই হৌক, আর পরকালের জন্তই হোক, নারীর অবস্থা সেখানেই তত হীন। ধৰ্ম্মের গোড়ামী, অধৰ্ম্মের অত্যাচার নারীকে যে কত নীচু করিয়াছিল ইউরোপের মধ্যযুগ তাহার বড় প্রমাণ। প্রবন্ধের প্রারম্ভেই তাহার কতকটা ইঙ্গিত দিয়া গিয়াছি, এবং আবশ্বক হইলে আরও শত-সহস্ৰ দেওয়া যাইতে পারিত, কিন্তু সে আবশ্বক আশা করি নাই। ধৰ্ম্মের গোড়ামি কেন নারীকে হীন করিল, সে আলোচনা এ প্রবন্ধে অপ্রাসঙ্গিক হইবে, সুতরাং তাঁহাতে বিরত রছিলাম। শুধু এই স্কুল কথাটা বলিয়া রাখিব যে, ধৰ্ম্মের বাড়াবাড়ির প্রধান উপাদান বিরক্তি। যা-কিছু সাংসারিক লোকের প্রার্থিত তাহাতেই আসক্তি নাই, এই ভাবটা দেখানে । বিষয়-ক্ষ্মাশয় টাকা-কড়ি অতি বদ জিনিস—নারীও তাই। "The devil's gate', 'নরকস্ত দ্বারো নারী’ এইজন্যই শ্রেষ্ঠ ধৰ্ম্মচর্চার বীজমন্ত্র । অর্থাৎ, যদি পরকালের কাজ করিতে চাও ত তাহাকে নরকের দ্বারস্বরূপ জ্ঞান কর, আর যদি ইহকালের কাজ করিতে চাও ত, আমাদের দেশে যে ব্যবস্থা ছিল তাই কর। \ల్సి a
