পাতা:বিশ্বকোষ সপ্তম খণ্ড.djvu/২০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ट्रैक्कम too -ബ് কায়ঞ্চ । অধৰ্ম্মাস্তিকায়ের স্বরূপ ধৰ্ম্মাস্তিকায়ের মত জানিতে হইবে। মনে কর একজন পথিক চলিতে চলিতে একস্থানে এক বৃক্ষের ছায়া পাইয়া সেইখানে বসিয়া পড়িল । সে আপনি বসিল বটে, কিন্তু আশ্রয় না পাইলে সেখানে বসিতে পারিত না, সেইরূপ জীব আপনি পুগেলে অবস্থিত হন, কিন্তু তাহার অপেক্ষাকারণ অধৰ্ম্মাস্তিকায় । আকাশাস্তিকায়ও পুৰ্ব্ববৎ জানিতে হইবে। বিশেষ এই ইহা লোকালোকসৰ্ব্বব্যাপী। ইহার লক্ষণ অবগাহদান, জীব ও পুদগলের থাকিবার অবকাশদাতা । পুগিলাস্তিকায় পরমাণুর নাম পুগিল। যে পরমাণুর ঘটাদি কাৰ্য্য তাহাকেও পুদগল বলে। এক এক পরমাণুর এক বর্ণ, এক রস, এক গন্ধ ও দুই স্পর্শ হইয়া থাকে। বর্ণ হইতেই বর্ণান্তরে, রস হইতে রসান্তরে, গন্ধ হইতে গন্ধান্তরে এবং স্পর্শ হইতে স্পর্শাস্তরে পরিণত হয়। এইরূপ পরমাণু দ্রব্য অনাদি অনন্ত । পৰ্য্যায় স্বরূপ আদি ও সান্তই পরমাণুর কার্য প্রবাহক্রমে অনাদি অনন্ত হইয়া পড়ে। বনস্পতি প্রভৃতি পরিণামাস্তরপ্রাপ্ত পৃথিবীই পুদগল । সকল পুদগল দ্রব্যে কৃষ্ণ, নীল, রক্ত, পীত ও শুক্ল এই পঞ্চ বর্ণ ; তীক্ষ, কটু, কযায়, তিক্ত ও মিষ্ট এই পঞ্চ রস ; সুগন্ধ ও দুর্গন্ধ এই দুই প্রকার গন্ধ ; কঠোর, মুকোমল, হালক, ভারী, শীত ও উষ্ণ, চিঙ্কণ ও রুক্ষ এই অঃ স্পর্শ হইয়া যায়। এ ছাড়া আর যে বর্ণাদি হয়, তাহাও ঐ সকল মিলিত হইয়৷ উৎপন্ন হুইয়া থাকে । দ্রব্য, ক্ষেত্র, কাল ও ভাব ইত্যাদি মিলিত হইয়া বিচিত্র পরিণাম ঘটে । সিদ্ধসেনদিবাকর কৃত সম্মতিতক গ্রন্থে কাল, স্বভাব, নিয়তি, পূৰ্ব্বকৃত কৰ্ম্ম ও পুরুষাকার অজীবের এই পাঁচ প্রকার ভেদ লিখিত লইয়াছে । পুণ্য। জৈনশাস্ত্রে পুণ্য উপার্জনের ৯টা কারণ লিখিত আছে-- অন্নপুণ্য অর্থাৎ আহারদান, পানপুণ্য অর্থাৎ পানীয় জলদান, বস্ত্রপুণ্য অর্থাৎ বস্ত্রদান, লেনপুণ্য অর্থাৎ থাকিবার স্থানদান, শয়নপুণ্য অর্থাৎ শয্যা বা আসনদান, মনপুণ্য অর্থাৎ গুণিজনকে দেখিয়া মনসন্তোষ, বচনপুণ্য অর্থাৎ গুণিলোকের প্রশংসা, কায়পুণ্য অর্থাৎ শরীরের সেবা ও নমস্কারপুণ্য অর্থাৎ গুরুজনকে নমস্কার (৬১ ) ।

  • জৈনশাস্ত্র অতি উত্তমরূপে জনা না থাকিলে ধৰ্ম্মান্তিকায়ের প্রকৃত ভম্ব সহজে বুঝিতে পার বায় না । •

(৬১) “অল্পপুঞ্জে পাণপুঞ্জে বছপুঞ্জে লেনপুঞ্জে শয়নপুঞ্জে মনপুন্নে বয়পুঞ্জে কায়পুঞ্জে নমস্কারপুঞ্জে।" স্থানাঙ্গসুত্র। ( సీన ] टेऊन 血 یابی= পুণ্যের ফল ৪২ প্রকায় । যথা ১ শাতাবেদনীয়, ২ উচ্চগোত্র, ৩ মনুযুগতি, ৪ দেবগতি, ৫ মমুম্বায়ুপূৰ্ব্বী, ৬ দেবামুপূৰ্ব্বী, ৭ পঞ্চেস্ক্রিয়জাতি, ৮ ঔদারিক, ৯ বৈক্রিয়ক, ১০ আহারক, ১১ তৈজস, ১২ কাৰ্ম্মণ (শেষোক্ত পঞ্চ ) শরীর, ১৩ ঔদারিক অঙ্গোপাঙ্গ, ১৪ বৈক্রিয় অঙ্গোপাঙ্গ, ১৫ আহারকঅঙ্গোপাঙ্গ, ১৬ বজখযভনারাচসংহনন, ১৭ সমচতুরস্রসংস্থান, ১৮ বর্ণকৃষ্ণাদিক, ১৯ রসতিক্তাদিক, ২০ গন্ধমুরভ্যাদিক, ২১ স্পর্শমূদ্বাদিক (শেষোক্ত চার) প্রকৃতি, ২২ অগুরুলঘু, ২৩ পরাঘাত, ২৪ উচ্ছাসনলব্ধি, ২৫ আতপ, ২৬ উদ্যোত, ২৭ সুবিহt. য়োগতি, ২৮ নিৰ্ম্মাণ,.২৯ ত্রস, ৩০ বাদর, ৩১ পর্য্যাপ্ত, ৩২ প্রত্যেক, ৩৩ স্থির, ৩৪ শুভ, ৩৫ মুভগ, ৩৬ সুস্বর, ৩৭ আদেয়, ৩৮ যশ, ৩৯ তীর্থঙ্কর, ৪ • তিৰ্য্যগায়ু, ৪১ মনুষ্যায়ু ও 8२ cमबांधू । পাপ । পুণ্যের বিপরীত নরকাদি ফলের প্রবর্তকের নাম পাপ, ইহা আত্মার সহিত সম্বন্ধ ও কৰ্ম্মপুদগলৰূপ । . পাপ ১৮ প্রকারে বাধা, তাহ আবার ৮২ ভাগে বিভক্ত। যথা ৫ জ্ঞানাবরণ, ৫ অস্তুরায়, ৯ দর্শনাবরণ, ২৬ মোহিনীপ্রকৃতি, ৩৪ নামকৰ্ম্মপ্রকৃতি, ১ আশাতাবেদনীয়, ১ নরকায়ু, ও ১ নীচগোত্র । প্রথমতঃ জ্ঞান পাচপ্রকার-অভিজ্ঞান, শ্রীতজ্ঞান, অবধিজ্ঞান, মনঃপর্য্যয়জ্ঞান ও কেবলঞ্জান, এই পাঁচজ্ঞানের ঘাহ আবরণ তাহার নাম জ্ঞানাবরণ । জ্ঞানাবরণ পাচপ্রকার—মতি। জ্ঞানাবরণ, শ্রীতজ্ঞানাবরণ, অবধিজ্ঞানাবরণ, মনঃপর্য্যয়জ্ঞানবরণ ও কেবলজ্ঞানাবরণ । যাহার উদয়ে মতি প্রতিভাচীন হইয় পড়ে, তাহাকে মতিজ্ঞানাবরণ, যাহার উদয়ে পঠনকালে জীবের মনে কিছুই আসেন, তাহাকে এতজ্ঞানাবরণ, যাহার উদয়ে অবধিজ্ঞান হয় না, তাহাকে অবধিজ্ঞানাবরণ, যাহার উদয়ে মনঃপর্য্যয়জ্ঞান নষ্ট হয়, তাহাকে মনঃপর্য্যয়জ্ঞানাবরণ এবং যাহার উদয়ে কেবলজ্ঞান হয় না, তাহাকে কেবলজ্ঞানাবরণ বলে । জ্ঞানাবরণের ঐ পাচ প্রকৃতিই পাপরূপ জানিবে। পাচপ্রকার অন্তরীয়কৰ্ম্ম যথা—দানান্তরায়, লাভান্তরায়, ভোগান্তরায়, উপভোগাস্তুরায় এবং বীর্য্যাস্তুরায় এই পঞ্চবিধ প্রকৃতিই পাপৰূপ । দর্শনাবরণ কৰ্ম্মের ৯ প্রকৃতি যথা—১ চক্ষুদর্শনাবরণ, ২ আচক্ষুদর্শনাবরণ, ৩ অবধিদর্শনাবরণ ও ৪ কেবলদর্শনাবরণ, এ ছাড়া পঞ্চ নিদ্র। পঞ্চ নিদ্রা যথা ১ নিদ্রা, ২ নিদ্রানিদ্রা, ৩ প্রচল, ৪ প্রচলাপ্ৰচলা, ৫ স্ত্যানৰ্দ্ধি। যে চৈতন্তকে অতি কুৎসিত করিয়া ফেলে, তাহাকে নিদ্রা, সামান্ত করতালীর