পাতা:বিশ্বকোষ সপ্তম খণ্ড.djvu/৬০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তাড়ি কুলাৰ্ণবতন্ত্রে ৫ম উল্লাসে লিখিত আছে— “তালজ স্তম্ভনে শস্ত। খার্জুরী রিপুনাশিনী। নারিকেলভবা শ্ৰীদা পানসী চ শুভপ্রদ। এ মধুজাখ্যা জ্ঞানকরী দারিদ্র্যরিপুনাশিনী। মৈরেয়াখ্যা কুলেশনি সৰ্ব্বদা পাপহারিণী ॥” বাস্তবিক এখনও ভারতের নানাস্থানে নেশার জন্ত তাল, খেজুর, নারিকেল, মৈরেয় প্রভৃতির তাড়ি ব্যবহৃত হইয়া থাকে। তাড়িতে মাদকতাশক্তি থাকিলেও তাড়ি ও মস্ত এই দুই শব্দে অনেক পার্থক্য আছে। স্বভাবতঃ বা কৃত্রিম উপায়ে তালাদি বৃক্ষ হইতে যে রস বাহির হয়, তাহা রৌদ্রে বা তাপে ফেনী উঠিয়া তেজস্কর হইলে তাছাকে তাড়ি এবং ঐরূপ রস পচাইয়। চোয়াইয়া লইলে যে পানীয় প্রস্তুত হয়, তাহাকে মদ্য বলা যায় । ভারতে যে যে গাছ হইতে যে রূপ উপায়ে তাড়ি সংগ্ৰহ করা হয়, নিম্নে তাহার প্রণালী লিখিত হইতেছে । তালগাছের উদ্ধভাগে যে কচি কচি পুষ্পিত শাখা বা মোচ বাহির হয়, তাহার মাথা প্রথমে ভাল করিয়া চাচিয়া দিয়া রস বাহির হইয়া পড়িবার স্থানে একটী আধার বা ভাও বাধিয়া দেয়। সচরাচর প্রতিদিন প্রাতেই ভাও খালি করিয়া রস ঢালিয়া লওয়া হয় ; আবার পূর্ববৎ ভাল করিয়া চাচিয়া দেয়। এইরূপে যতক্ষণ পর্য্যন্ত না তাহার মূল পৰ্য্যস্ত কাটা হয়, সে পর্য্যস্ত চাচা হইয়া থাকে। সচরাচর আশ্বিন হইতে বৈশাখ পর্যন্ত তালগাছ কাটিয়া রস বাহির করা হইয়া থাকে । ভারতের সর্বত্রই তালের রস বাহির করা হয়, তন্মধ্যে দক্ষিণাত্যেই কিছু অধিক । [ তাল দেখ। ] সচরাচর তাড়িকরের রস লইয়া তাহাতে খানিকট পুরাতন কাঞ্জি অথবা ফেনাযুক্ত তাড়ি মিশাইয়া ফেলে, তাহ হইলে সেই রসের মাদকতাশক্তি অল্প সময় মধ্যেই বৃদ্ধি হইয়া পড়ে। তালের রস বা তাড়ি সাধারণ লোকের নেশা করিবার সহজ উপায় । তাহাতে গবর্মেন্টের আবকারী আয়ের হানি হয় দেখিয়া একবার বোম্বাই গবমেণ্ট সমস্ত তাল ও খেজুর গাছ নিৰ্ম্মল করিতে আদেশ করেন । তাহাতে এক স্বরাটে প্রায় লক্ষাধিক বৃক্ষ কাটিয়া ফেলা হয়। কিন্তু রক্তবীজের ঝাড় সহজে কি যায়। তাহার অল্পকাল পরেই প্রায় পঞ্চাশ হাজার তাল বৃক্ষ দেখা গেল। যাই হউক এখন আর ইংরাজরাজের তাল ও খেজুর বৃক্ষ নিৰ্ম্মল করিবার ইচ্ছ নাই, বরং ইহা হইতে যে যে তাড়ি প্রস্তুত করে, গবর্মেন্ট তাহাদের নিকট হইতে কিছু কিছু কর আদায় করিয়া থাকেন।

  • Bombay Gazetieer, Wol II, p. 39,

| bea ] डांक्लि ভারত ও সিংহলের রুটীওয়ালার প্রায় সৰ্ব্বত্রই পাউরুটী করিবার জন্য এই তালের তাড়িই ব্যবহার করে । ইহাতে निर्कts aखठ श्म । ভাবপ্রকাশের ਬੋਲ "তালজং তরুণং তোয়মতীৰ মদকৃম্মতম । " অর্মীভূতং তদা তু স্থাৎ পিত্তকৃৎ বাতদোষস্থৎ ॥” তালের টাটুকা রস অত্যন্ত মাদক, উহা অন্নরস হইলে পিত্তজনক ও বায়ুদোষনাশক । খেজুর —দেশীখেজুর, পিওখেজুর প্রভৃতি নানাবিধ খেজুর গাছের উদ্ধদও কাটিয়া চাচিয়া ছুলিয়। যে লস বাহির হয়, তাহাতেও তাড়ি প্রস্তুত হয় । খেজুর রস ফুৰ্য্যোদয়ের পূৰ্ব্ব ও প্রাক্কালে বেশ সুমিষ্ট ও মাদকতারহিত থাকে, কিন্তু যতই বেলা হইতে থাকে, তাহাতে ফেনী উঠিয়া তাড়িতে পরিণত হয়। তখন ঐ ফেনিল খেজুর রস পান করিলে নেসা হইয়া থাকে । মৈরেয় । (Caryota nrens)—ইহার তাড়ি বঙ্গদেশে প্রচলিত নাই । মাদ্রাজ প্রদেশে ইহার বহুল প্রচার লক্ষিত হয় । যখন ঐ গাছ ১৫ হইতে ২৪ বর্ষ পর্য্যস্ত বড় হয়, তখন মাম্রাজীরা মৈরেয়গাছ চাচিয়া চুলিয়া রস বাহির করে। গ্রীষ্মকালেই অধিক রস বাহির হুয়, এমন কি এক একটা গাছে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এক মণের অধিক রস পাওয়া ফুল গাছ কাটা হইলে এক মাস পর্যন্ত রস বাহির হয়T টাটুক। রস খাইতে অতি মধুর, কিন্তু অতি অল্পকাল রাখিলে তাহ ফেনাযুক্ত তীব্র মাদকতাশক্তিবিশিষ্ট তাড়িতে পরিণত হয় । দাক্ষিণাত্যে ব্রাহ্মণেতর জাতিগণ অনেকেই এই তাড়ি ব্যবহার করে। ইহা চুয়াইয়া লইলে মৈরেয় মুরা (din) প্রস্তুত হয় । নারিকেল –যেমন তালগাছের মোচ চাচিয়া তাই হইতে রস বাহির করে, নারিকেল গাছের মার্থী কাটিয়া টাচিয়া সেই রূপ রস বাহির হয়। আর্য্যাবর্তে নারিকেল বৃক্ষ হইতে রস বাছির করিবার পদ্ধতি অধিক প্রচলিত না থাকিলেও দক্ষিণাত্যে খুব প্রচলিত আছে। বোম্বাই প্রদেশের লোকের দুই প্রকারে নারিকেলগাছ রক্ষা করে, এক ফল পাইবার জন্য, অপর রসের জন্ত । যে গাছে রস বাছির করা হয়, তৎকালে সে গাছে ফল হয় না । বোম্বাই অঞ্চলে সানারগণ নারিকেল রস বাহির করিয়া থাকে । ইহার জন্য প্রত্যেক বৃক্ষে বর্ষে ১\ হইতে ৩ টাকা পৰ্য্যন্ত কর দিতে হয়। ভাল বা খেজুর রস অপেক্ষ নারিকেল গাছের রস অতি শীঘ্রই ফেনাযুক্ত হইয়ী তাড়িতে পরিণত হয়। " এই জন্য যাহাদের গুড় कब्रिदाद्र हेक्क भएक, ऊाश्न्ना छैाहेक ब्रन गरेमा नैञ्च छाण