পাতা:বিশ্বকোষ সপ্তম খণ্ড.djvu/২৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞান কতকগুলি বিষয় ইঞ্জিয়ের সাক্ষাৎ সংযোগে জানিতে পারি । এই জ্ঞানকে প্রত্যক্ষ বলে। ভিন্ন ভিন্ন ইঞ্জিয় দ্বারা ভিন্ন ভিন্ন রূপ প্রত্যক্ষ হইয়া থাকে, যথা—দর্শন, স্পর্শন, ভ্রাণ ইত্যাদি । ষে পদার্থ প্রত্যক্ষ হয়, সে বিষয়ে আমরা জ্ঞান লাভ করি এবং তদতিরিক্ত বিষয়েও জ্ঞান স্থচিত श्ब्र । श्रांभि शृंझ्भ८५ा शग्रन कब्रिग्नां श्रांझि, ७मन नभtग्न অদূরে ঘন্টার শব্দ শুনিলাম। ইহাতে শ্রাবণ প্রত্যক্ষ হইল। কিন্তু সে প্রত্যক্ষ শব্দের, ঘণ্টার নহে। এই জ্ঞানকে অনুমিতি কহে। কিন্তু অনুমিতিজ্ঞানও প্রত্যক্ষমূলক । কারণ যাহা আমরা পূৰ্ব্বে কখন প্রত্যক্ষ করি নাই, সে বিষয়ে আমাদিগের অনুমিতি সম্ভব নহে । কিন্তু জ্ঞানের এই তত্ত্ব সম্বন্ধে যুরোপীয় দার্শনিকদিগের মধ্যে একটী ঘোরতর বিবাদ অাছে । কেহ কেহ বলেন যে, আমাদিগের এমন অনেক জ্ঞান আছে যে, তাহার মূল প্রত্যক্ষ পাওয়া যায় না । যথা— কাল, অtকাশ ইত্যাদি । এই কথা লইয়া কাণ্ট লক ও হিউমের প্রত্যক্ষবাদের প্রতিবাদ করেন। তিনি এই অতিরিক্ত জ্ঞানের মূল এইরূপ নির্দেশ করেন যে, যেখানে ইঞ্জিয় দ্বারা বাহা বিষয়ের জ্ঞান হইয়া থাকে, সেখানে বাহ বিষয়ের প্রকৃতি সম্বন্ধে কোন তত্ত্বের নিত্যত্ব আমাদিগের জ্ঞানের অতীত হইলেও আমাদিগের ইন্দ্রিয় সকলের প্রকৃতির নিত্যত্ব, আমাদিগের আয়ত্ত বটে ; আমাদিগের ইন্দ্রিয় সকলের প্রকৃতি অমুসারে আমরা বহির্বিষয়ক কতকগুলি নির্দিষ্ট অবস্থা পরিজ্ঞাত হই । ইঞ্জিয়ের প্রকৃতি সৰ্ব্বত্র একরূপ, এজস্য বহিবিষয়ের তত্ত্বৎ অবস্থা ও অামাদিগের নিকট সৰ্ব্বত্র একরূপ । এই জন্য আমাদিগের কাল, আকাশাদির সমবায়ের নিত্যত্ব জানিতে পারি। এই জ্ঞান আমাদিগেরই মধ্যে আছে, এজন্য কাণ্ট ইহাকে স্বতোলব্ধ বা আভ্যস্তরিক জ্ঞান বলেন । ইয়ার্ট মিল বলেন যে, আমরা প্রত্যক্ষ দ্বারা এইরূপ একটা অকাট্য সংস্কার লাভ করিয়াছি যে, যেখানে কারণ বর্তমান আছে, সেইখানে তাহার কার্য্য বর্তমান থাকিবে । যেখানে পূৰ্ব্বে দেখিয়াছি ক আছে, সেইখানেই দেখিয়াছি খ আছে। পুনৰ্ব্বার যদি কোথাও ক দেখি, তবে সেখানে খ আছে, তাহা আমরা জানিতে পারি। যদিও পৃথিবীতে যত সমান্তরাল রেখা টানা হয়, সমস্তই মিলিত হয় কি না ? তাহা আমরা পরীক্ষা করিয়া দেখিতে পারি না, তথাপি যতগুলি দেখিয়াছি, তাহাতে দেখিয়াছি একটাও মিলিত হয় না। অতএব • সমান্তরালতা : সংমিলনবিরহের নিয়তপূৰ্ব্বৰী, সমান্তরালভা কারণ, সংমিলনবিরহ তাহার কার্য্য। কাজেই VII [ $8& ) \\ሪ> জানু আমরা জানিতেছি, যেখানে ছুইটী সমান্তরাল রেখা থাকিবে, সেইখানেই তাহাদিগের মিলন হইবে না । অতএব এ জ্ঞানও প্রত্যক্ষমূলক । কেহ কেহ বলেন, সাক্ষাৎ ইঞ্জিয়বোধসমূহ যখন প্রতিভাতিক আকারে পরিণত হয়, তখনই আমাদের বস্তুজ্ঞান জন্মে—আবার বস্তুজ্ঞান-সমূহ প্রতিভাতিক অাকার ধারণ করিয়া সহজ যুক্তির পত্তনভূমি হয়। মানব সমাজের উন্নতি সহকারে যে পরিমাণে জীবনের কাৰ্য্যকলাপের বহুলতা ও বিচিত্ৰত সাধিত এবং অভিজ্ঞতা ও বহুদৰ্শিতা বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়, সেই পরিমাণে মনের প্রাতিভাতিকश्रृंक्लि (Representationes) প্রসরতা লাভ করে । প্রাচীন গ্রীসীয় পণ্ডিতগণ বলিতেন যে, ইক্রিয় দ্বারা যে জ্ঞান লাভ করা যায়, তাহা বিশ্বাসযোগ্য নহে; তাহাদিগের মতে তত্ত্বজিজ্ঞাসু ব্যক্তিগণ সমুদায় ইঞ্জিয়দ্বার রোধ করিয়া কেবল মনে মনে বস্তুর প্রকৃতি চিন্তা করিবেন। এইরূপ চিস্তা দ্বারা যে জ্ঞান লাভ হয়, তাহাঁই যথার্থ জ্ঞান। ‘রাম বলিলে একটা বিশেষ বস্তু বুঝায়, কিন্তু ‘মনুষ্ক এই কথাটা বলিলে সাধারণ একটা বস্তু বুঝায়। এই জ্ঞান কিরূপে উৎপন্ন হয় ? প্লেটে বলেন, জগতে সার বস্তুগুলি সাধারণ বস্তু । বিশেষ বিশেষ বস্তু সাধারণ বস্তুর ছায়ামাত্র, অন্ততঃ তাহাদিগের যাহা কিছু সারবত্তা আছে, তাহা তাহাদিগের আদর্শ, সাধারণ গুণ হইতে উদ্ভূত। তিনি বলেন, ইহলোকে জন্মগ্রহণ করিবার পূৰ্ব্বে আত্মা ঐ সকল বস্তুর সহিত পরিচিত ছিল, কিন্তু যখনই ঐ দেহের সহিত ংলগ্ন হইল, তখনই সে পুৰ্ব্বস্তৃতি হারাইল। সাধারণ বস্তুর প্রকৃতি অবগত হইতে হইলে আমাদিগের পূর্বস্তৃতি জাগাইতে হয়, এবং ঐ সকল বস্তুর যে সকল উৎকৃষ্ট বিশেষ দৃষ্টান্ত পাওয়া যায়, সেগুলি পৰ্য্যবেক্ষণ করাই তাহার প্রধান উপায় । মায়াবাদ (Idealism) সমর্থনকারিগণ বলেন এই যে, ভৌতিক জগৎ নামধেয় ভাবপরম্পর আমাদিগের মনোমধ্যে উদিত হইতেছে, ইঞ্জিয়াতীত অজ্ঞেয়প্রকৃতি অজ্ঞান জড় পদার্থ ইহাদের কারণ । ইহাই জড়বাদী দার্শনিকদিগের মত। আবার নাস্তিক মায়াবাদিগণ বলেন, কারণ বলিতে যদি মিয়তপূৰ্ব্ববৰ্ত্তী ঘটনা বুঝায়, তবে এই ভাবপরম্পরা পরস্পরের কারণ ; আর কারণ যদি ইন্দ্রিয়াতীত কোন বস্তুকে বুঝায়, তবে তাহার অস্তিত্বনিরূপণ করিবার আমাদিগের কোন উপায় নাই। আস্তিক, মায়াবাদী বলেন, কারণ অজ্ঞেয় প্রকৃতি, অজ্ঞান জড়পদার্থ হইতে পারে না, কেবল জ্ঞানময়