পাতা:বিশ্বকোষ সপ্তম খণ্ড.djvu/২৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানদেব জ্ঞানদাসের জন্ম তারিখাদি পাওয়া যায় না, তবে তিনি বৃন্দাবনদাস প্রভৃতির সমসাময়িক ছিলেন, অর্থাৎ তাছাকে প্রায় চারিশত বর্ষের লোক বলা যাইতে পারে। वैौद्रङ्ग ८जणाद्र ७कफफ़ॉअभि निउTांनन डङ्कद्र जश्र शन, একচক্রার দুই ক্রোশ পশ্চিমে “কাদাড়া” ও “মাদড়া” নামে পাশাপাশি দুইটী ক্ষুদ্র পল্লি আছে। এই “কাদড়া” গ্রামেই জ্ঞানদাসের জন্ম হয় । ভক্তিরত্নাকরে লিখিত আছে— “রাঢ়দেশে কাদড়া নামেত্তে গ্রাম হয় । তথায় বসতি জ্ঞানদাসের আলয় ॥** জ্ঞানদাস শ্রীজাহ্নবীদেবীর নিকট মন্ত্র গ্রহণ করিয়া কৃষ্ণপ্রেমে বিভোর হইয়া যান। তাঁহার রচিত সকল পদেই সে পরিচয় আছে । তিনি কেবল যে রচনা করিতেন, তাহা নহে, একজন বিখ্যাত গায়ক ও বাদক ছিলেন । এক সময়ে তিনি আপন দেশে যাইয়া “ভুবন-মঙ্গল” হরিনাম প্রচার করিয়াছিলেন, এই জন্ত র্তাহার আর একটী নাম শ্ৰীমঙ্গল ঠাকুর। র্তাহাকে কেহ কেহ শ্ৰীমদনমঙ্গল নামেও অভিহিত করিয়া থাকেন ; জ্ঞানদাস পরম মুনার পুরুষ ছিলেন, এই নামটাই তাহার পরিচায়ক । প্রবল বৈরাগ্যবশতঃ জ্ঞানদাস বিবাহ করেন নাই ; কিন্তু তিনি যে বংশে জন্মগ্রহণ করেন, সে বংশোদ্ভল ৰাক্তিগণ নানাস্থানে বাস করিতেছেন। কিন্তু তাহীদের মূল গদি কঁদড়ায় ; প্রতিবৎসর পৌষ পূর্ণিমায় এইস্থানে মহোৎসব ও তদুপলক্ষে তিন দিন মেলা হইয়া থাকে। ঐ দিবস জ্ঞানদাস ইহলোক পরিত্যাগ করেন । বাঁকুড়া জেলার কোতুলপুর গ্রামে উক্ত বংশীয় বহু ব্যক্তি বাস করেন, তাহারা সকলেই মঙ্গলঠাকুরের বংশ বলিয়া পরিচয় দেন । পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি, মঙ্গলঠাকুর (জ্ঞানদাস) বিবাহ করেন নাই, সুতরাং তঁাহার বংশও নাই । যাহার মঙ্গলঠাকুরের বংশ বলিয়া পরিচয় দেন, তাহারা তদীয় জ্ঞাতিবংশ অর্থাৎ ঐ এক বংশেই জ্ঞানদাস জন্মগ্রহণ করেন । জ্ঞানদাসকে সাধারণ লোকে গোস্বামী নামে অভিহিত করিত, সেই অবধি জ্ঞানদাসের জ্ঞাতিবর্গ আপনাদের নামের শেষে গোস্বামী শব্দ যোগ করিয়া দিয়াছেন । জ্ঞানদেব, শূদ্ৰজাতীয় একজন ধাৰ্ম্মিক বণিক। ইনি শূত্র হইয়৷ বেদ পাঠ করিতেন বলিয়া গ্রামস্থ ব্রাহ্মণগণ অত্যন্ত রুষ্ট হইয়া ইহাকে একঘরে করিয়াছিলেন। ইনি তদর্শনে ধৰ্ম্মশাস্ত্রবিচারে তাহাদিগকে পরাস্ত করেন । ( ভক্তমাল) জ্ঞানদেব, দাক্ষিণাত্যের একজন প্রসিদ্ধ শাস্ত্রবেত্তা ও সাধু। ইনি বিটঠলপন্থ নামক একজন বন্ধুৰ্বেদী ব্রাহ্মণের পুত্র। [ २४* ] জ্ঞানদেব বিটঠলও একজন মহাপুরুষ ছিলেন। ইনি যৌবনকালে সন্ন্যাস আশ্রম গ্রহণ করিয়াছিলেন । কিন্তু, তাহার স্ত্রীর অনুমতি গ্রহণ না করিয়া এই আশ্রম অবলম্বন করায় তাহাকে পুনরায় গৃহে প্রত্যাগমন করিতে হইয়াছিল । সন্ন্যাসীর পক্ষে পুনরায় সংসারী হওয়া শাস্ত্রবিরুদ্ধ। এই নিমিত্ত অলিন্দীর ব্রাহ্মণগণ বিটুঠলপন্থকে সমাজচ্যুত করিয়াছিল। ১২৭৩ খৃষ্টাব্দে, বিটঠলপন্থের একটা পুত্র জন্মগ্রহণ করিল। পুত্রটার নাম নিবৃত্তি রাখিলেন। ইহার পর, ১২৭৫ খৃষ্টাব্দে, র্তাহার আর একটী পুত্র ভূমিষ্ঠ হইল। ইনি জ্ঞানদেব নামে অভিহিত হইলেন । তদনন্তর তাহার একটী পুত্র এবং আর একটী কন্ত জন্মিল । পুত্রটার নাম সোপান এবং কস্তার নাম মুক্ত । বয়োবৃদ্ধিক্রমে সকল পুত্রেই প্রতিভার লক্ষণ দেখা দিল । তবে, জ্ঞানদেব ইহাদের মধ্যে শীর্ষস্থান অধিকার করিলেন । জ্যেষ্ঠ পুত্র নিবৃত্তির আট বৎসর বয়স হইলে, বিটুঠল তাহাকে উপনয়ন দিবার জন্ত ব্যগ্র হইলেন । কিন্তু তিনি সমাজচ্যুত হইয়াছেন। কি প্রকারে এ কার্য্য সমাধা হইতে পারে ? এ সম্বন্ধে, বিটঠল তাহার প্রতিবাসীদের সাহায্য প্রার্থনা করিলেন, কিন্তু তাহারা কোন সদুপায় স্থির করিতে পারিলেন না । বিটঠল ও তাছার স্ত্রী মনের দুঃখে কালযাপন করিতে লাগিলেন । পিতামাতার এই ভাব দেখিয়া নিবৃত্তির মনে বড় কষ্ট হইল। কিছুদিন গত হইলে, তিনি তাহার পিতাকে বলিলেন যে, কোন তীর্থস্থানে গিয়া একটা দৈবকাৰ্য্য করিলে তঁাহাঙ্গের মঙ্গল হইতে পারিবে। বিটঠল নিবৃত্তির কথায় সম্মত হইলেন । পরে তিনি তাহার স্ত্রী এবং সস্তান কএকটকে লইয়া ত্র্যম্বকে গমন করিলেন । ত্র্যম্বক অতি পবিত্র স্থান । এখানে ত্র্যম্বকেশ্বর নাম ধারণ করিয়া মহাদেব বিরাজ করিতেছেন, এবং পবিত্র সলিল! গোদাবরী এখানকার একটী পাহাড় হইতে বাহির হইয়াছেন। বিটঠল একজন ব্রাহ্মণের বাটতে অবস্থিতি করিতে লাগিলেন, তিনি এখানে প্রত্যহ ব্রহ্মগিরি প্রদক্ষিণ করিতেন । ইহাতে তাহার তিনটী পুত্রও যোগ দিলেন। এই ভাবে, এক বৎসর অতিবাহিত হইলে পর, একদিন একটী ব্যাস্ত্র তাছাদের প্রতি शांतिऊ श्हेल । दिऍठेण ऊांनष्मद ७ ८जांश्रीनरक ८कारण করিয়া পলায়ন করিলেন। নিবৃত্তি পশ্চাৎ পশ্চাৎ দোঁড়িতে লাগিলেন। কিন্তু কিছুদূর গিয়া বিটঠল নিবৃত্তিকে দেখিতে পাইলেন না, নিবৃত্তি পথ হারাইয়া অঞ্জনী পৰ্ব্বতের উপরে উঠিলেন। এখানে একটা গুহা দেখিতে পাইরা তাহার ভিতরে প্রবেশ করিলেন। দেখিলেন, একজন মহাপুরুষ স্তিমিতলোচনে তপস্তায় নিমগ্ন । নিবৃত্তি তথায় উপবেশন