পাতা:বিশ্বকোষ সপ্তম খণ্ড.djvu/৫১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তন্ত্র निशं८क बहे कब्रिवांब्र अछहै *िव नाcगग्न ८मांहांहे भिग्नाहे পাষণ্ডীর অভিনব মত প্রকাশ করিয়াছে। উক্ত ভাগ ৰক্ত ও পদ্মপুরাণে যে ভাবে পাবগুীমত কথিত, তন্ত্রে তাহাই শিবোত্ত উপদেশ বলিয়া বর্ণিত হইয়াছে । গৌড়ীয় বৈষ্ণবধর্গের গ্রন্থপাঠে জানা যায়, চৈতন্যদেব ও তান্ত্রিকদিগকে পাষণ্ডী নামে সম্বোধন করিয়াছেন। এরূপ হইলে ভাগবত ও পদ্মপুরাণ রচনাকালে যে তান্ত্রিক মত প্রচারিত হইয়াছিল, তাহা এক প্রকার গ্রহণ করা যায় । চীনপরিব্রাজক ফাহিয়ান ও হিউএন্‌সিয়াং ভারতে আসিয়া এথানকার নানাসম্প্রদায়ের বিবরণ উল্লেখ করিয়াছেন, কিন্তু উভয়েই তান্ত্রিকগণের কিছুমাত্র উল্লেখ করেন নাই । খৃষ্টীয় ৯ম শতাদে ভোটদেশে বৌদ্ধতন্ত্র অতুবদিত হয়। কিন্তু খৃষ্টীয় ৭ম শতান্সে হিউএন্‌সিয়াং নানা প্রকার বৌদ্ধশাস্ত্রের উল্লেখ করিলেও বিখ্যাত তন্ত্রশস্থের কিছুমাত্র উল্লেখ করেন নাই। যখন ৯ম শতাঁদে মূল গ্রন্থের অনুবাদ হইয়াছে, তখন স্বীকার করিতে হইবে, তৎপুর্বে অধগুই মূল । তান্ত্রিক গ্রন্থ রচিত হইয়াছিল, তবে এই সময় সেরূপ প্রসিদ্ধিলাভ করে নাই, অথবা সাধারণে বিশুদ্ধ মত বলিয়া গ্রহণ করেন নাই। দাক্ষিণাত্যের অনেকের বিশ্বাস, অদ্বৈতবাদী শঙ্করাচাৰ্য্যই তান্ত্রিক মত প্রচার করেন এবং তিনি মায়াবাদী বলিয়া খ্যাত । কিন্তু শঙ্করাচার্য্যকে আমরা তন্ত্রমতপ্রচারক বলিয়া কিছুতেই গ্রহণ কনিতে পারি না। { শঙ্করাচার্য্য দেখ। ] দক্ষিণাচার তন্ত্ররাজে লিখিত আছে, গৌড়, কেরল ও কাশ্মীর এই তিন দেশের লোকেরাই বিশুদ্ধ শাক্ত। কিন্তু আমরা গৌড়দেশকেই প্রধান শাক্ত বা তান্ত্রিকগণের জন্ম ভূমি বলিয়া গ্রহণ করিতে পারি। স্তান্ত্রিকগণের মধ্যে শৈব, বৈষ্ণব ও শাক্ত এই সম্প্রদায় ভেদ থাকিলেও কাৰ্য্যতঃ সকলেই শাক্ত। বৌদ্ধ-তান্ত্রিকগণকেও আমরা এই হিসাবে শাক্ত বলিতে বাধ্য । [ শাক্ত দেখ । ] বঙ্গে যেরূপ শক্তের প্রাধান্ত, ভারতের আর কোন স্থানে এরূপ নাই। যে সময়ে বৌদ্ধধৰ্ম্ম হীনপ্ৰভ হুইয়া আসিতেছিল, সেই সময়ে গৌড়ে তান্ত্রিক ধৰ্ম্ম প্রচারিত হয়। এখন যে সকল শিবোত্ত তন্ত্র পাওয়া যায়, তাহার রচনা প্রণালী পর্য্যলোচনা করিলে এই গৌড়দেশে রচিত হইয়াছে বলিয়। সহজেই ধারণা হয়। তন্ত্রে যেরূপ পৃথক বর্ণমালা গৃহীত হইয়াছে, তাছাও সম্পূর্ণ এই গৌড় বা বঙ্গদেশে প্রচলিত। বরদাতন্ত্র, ৰণোম্বাতন্ত্র প্রভৃতি হুয়ে যেরূপ বর্ণমালার তখনপ্রণালী दर्मिठ श्ब्रttइ, ङाश s स्रांमब्रां बांत्रण अकब्र छिब्र अ*ब्र [ بي ه 6 ] তন্ত্র কোন লিপি বলিয়া গ্রহণ করিতে পারি না । তন্ত্রোক্ত লিপি এখন কেবল বাঙ্গাল দেশেই প্রচলিত। এই লিপিকে हजाग्न बांब्रभङ ब८र्षब्र अक्षिक थाईौन दणां यांग्र नां । স্বতরাং ঐক্কপ লিপিমূলক তন্ত্র ও যে তৎপরে রচিত হইয়াছে, তাহাতে সন্দেহ নাই । ভোটদেশে অতিশের নাম অতি প্রসিদ্ধ। ইনি একজন বাঙ্গালী, খৃষ্টীয় ১১শ শতাব্দে তিব্বতে গিয়া তান্ত্রিক ধৰ্ম্ম প্রচার করেন। তাহারও পূৰ্ব্বে যে, বঙ্গবাসী গিয়া ঐ ধৰ্ম্ম প্রচার করিয়া থাকিবেন, তাহ অসম্ভব নহে । মুতরাং বঙ্গ বা গৌড় হইতেই যে নেপাল, ভোট, চীন প্রভৃতি দুরদেশে তান্ত্রিক ধৰ্ম্ম বিস্তৃত হইয়াছিল, তাহ অধিক সম্ভবপর । গুজরাতী ভাষায় লিখিত আগমপ্রকাশ নামক গ্রন্থে লিখিত আছে—হিন্দুরাজগণের আধিপত্যকালে বাঙ্গালীগণ গুজরাট, ডভোই, পাবাগড়, আহ্মদাবাদ, পাটন প্রভৃতি স্থানে আসিয়া কালিকামূৰ্ত্তি স্থাপন করিয়াছিলেন। অনেক হিন্দু রাজা ও প্রধান প্রধান ব্যক্তি র্তাহীদের মন্ত্রদীক্ষা গ্ৰহণ করিয়াছিলেন । ( আগমপ্রকাশ ১২ । ) বাস্তবিক এখন যে মন্ত্রগুরুর প্রচলন আছে, তাহ ৪ তান্ত্রিকদিগের প্রাধান্তকালে প্রচলিত হয়। এরূপ মন্ত্রগুরুর নিয়ম পূৰ্ব্বকালে ছিল না । বাঙ্গালী তান্ত্রিকেরাই এ প্রথা প্রথম প্রচলন করেন । তাহাদের দেখা দেখি ভারতের নানাস্থানে বা নানা সম্প্রদায় মধ্যে ঐ রূপ মন্ত্রগুরুগ্রহণ প্রথা প্রচলিত হইয়াছে । সকল তন্ত্রই প্রাচীন বলিয়। গ্রহণ করা যায় না। যোগিনীতন্ত্রে কোচরাজবংশ প্রতিষ্ঠাতা বিশুসিংহের পরিচয় আছে । বিশ্বসারতন্ত্রে নিত্যানদের জন্মকথা বর্ণিত হইয়াছে । এরূপ তন্ত্র যে খৃষ্টীয় পঞ্চদশ শতাব্দীর পরবর্তী, তাহাতে সন্দেহ নাই । এদেশে মহানিৰ্ব্বাণতন্ত্ৰ সৰ্ব্বত্র বিশেষ আদৃত, কিন্তু অনেক স্থলে প্রবাদ প্রচলিত যে, মহাত্মা রামমোহন রায়ের গুরু এই তন্ত্রখানি রচনা করেন । শক্তিরত্নfকরে বৃহন্নিকাণতন্ত্রের উল্লেখ আছে, কিন্তু নিতান্ত আধুনিক প্রাণতোষিণী ব্যতীত কোন প্রাচীন বা আধুনিক তন্ত্রসংগ্রহে মহানিৰ্ব্বাণতন্ত্রের উল্লেখ না থাকায়, ইহার আধুনিকত্বই প্রতিপন্ন হয়। আবার মেরুতন্ত্ৰে লণ্ড,জ, ইঙ্গে ঙ্গ ইত্যাদি শব্দ দ্বারা ভারতের ইংরাজাগমনের পর যে ঐ তন্ত্র রচিত হইয়াছে, তাহাই প্রতিপন্ন হইতেছে । প্রতিপাদ্য বিষয়। তন্ত্রে প্রাতঃস্মরণ, স্নানবিধি, ত্রিপুঞ্জ, ধারণ, ভূগুদ্ধি, ভূতশুদ্ধি, প্রাণায়াম, সন্ধ্যা, জপ, পুরশ্চরণ, করাঙ্গন্তাল, অন্তরমাতৃকা, বহির্মাতৃক, চিত্রাক্কাস, নামাদিবিষ্কা, নিত্যাদিবিদ্যা, মূলবিষ্ক, তৰন্তাস, দ্বারপুজা, তপ,