পাতা:বিশ্বকোষ সপ্তম খণ্ড.djvu/৫৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তমলুক তাহাদের আদিপুরুষ এই মন্দির নিৰ্ম্মাণ করিয়াছেন। অপর ७कैौ ॐ*ांथTांtन श्रांभद्र! जयश्रङ इंहे ¢य, १नभछि मांमक জনৈক প্রসিদ্ধ বণিক রূপনারায়ণ নদী দিয়া যাইবার কালে তমলুক বন্দরে অবরোহণ করিয়াছিলেন । এই স্থানে তিনি কোন এক ব্যক্তিকে একটী স্বর্ণকলস লইয়া যাইতে দেখিলেন। কথা প্রসঙ্গে, তাহার নিকট অবগত হইলেন যে, নিকটবৰ্ত্তী একটা ঝরণার জল পিত্তলকে স্বর্ণ করিতে পারে। সেই ব্যক্তি তাহাকে ঝরণাটা দেখাইয়া দিল, ধনপতি তমলুক-বাজারের সমস্ত পিত্তল ক্রয় করিয়া স্বর্ণে পরিণত করিলেন, এবং সিংহলের অধিবাসীদিগের নিকট তাহ। विकङ्ग कद्विश्व। १८१ट्टे गांडवान् श्लन । डिनि eङnবৰ্ত্তন করিয়া তমলুকে এই মন্দির প্রস্তুত করাইয়া দিলেন। এই মন্দিরের শিল্পনৈপুণ্য অতিশয় বিস্ময়জনক । মন্দিরট ত্রিরাবৃত্ত প্রাচীরে বেষ্টিত, দেখিতে বিশেষ সুন্দর। প্রাচীরট ৬• ফিটু উচ্চ, পত্তনের উপর ইহা ৯ ফিটু প্রস্থ। এই মন্দিরের স্থানে স্থানে যেরূপ প্রকাগু প্রস্তর ব্যবহৃত হইয়াছে, তাহা দেখিলে চমৎকৃত হইতে হয়। আধুনিক যন্ত্রাদির সাহায্য ব্যতিরেকে এত উচ্চে যে, কিরূপে এই প্রকাও প্রস্তরখণ্ডগুলি উত্তোলন করা হইয়াছে, তাহ ভাবিলে তমলুকবাসীদিগকে অসংখ্য ধন্তবাদ প্রদান না করিয়া থাকা যায় মা । মন্দিরের চূড়ায় বিষ্ণুচক্র দৃষ্ট হয় । মন্দিরটা ৪ অংশে বিভক্ত, (১) বড় দেউল (এই স্থানে দেবীমূৰ্ত্তি স্থাপিত), ( ২ ) জগমোহন, (৩) যজ্ঞমওপ; (৪) নাটমন্দির। মন্দিরের বর্হিভাগের দরজা হইতে সাধারণ রাস্ত পৰ্য্যন্ত কতকগুলি সিড়ি এবং সিঁড়ির উভয়পাশ্বে ২ট স্তম্ভ আছে। মন্দিরের অধিকৃত স্থানের মধ্যে বাহিরের দিকে একটী কেলিকদম্ব বৃক্ষ দেখা যায়। প্রবাদ, এই বৃক্ষের অনুগ্রহ হইলে বন্ধ্যানারীও সন্তান লাভ করে। স্ত্রীগণ বৃক্ষের অনুগ্রহলাভার্থ তাহাদের চুলে দড়ি প্রস্তুত করিয়া বৃক্ষশাখার সহিত ইট ঝুলাইয়া রাখে। বর্গভীমাদেবীকে সকলেই অতিশয় ভয় করে। দেবীর রাগ অতিশয় প্রচণ্ড । ১৮শ শতাব্দীতে মহারাষ্ট্রীগণ বঙ্গদেশ লুণ্ঠন করিতে করিতে যখন তমলুকে আসিয়া উপস্থিত হইল, তখন দেবীর ভয়ে তথায় কোনরূপ অত্যাচার করিল না ; পক্ষান্তরে দেবীকে অতিশয় ধূমধামের সহিত অৰ্চনা করিল। মন্দিরের নিকটে রূপনারায়ণ নদী প্রশান্ত, কিন্তু কিয়দ রেই ইহার বেগ অতিশয় তীব্র । অধিবাসিগণ বলে, রূপনারায়ণ नौ ८लवैौब्र छtग्न उँौउ श्ब्राहें भनिटङ्गब्र निकtछे शैौtग्न शैौ८ब्र প্রবাহিত হয়। অনেকবার নদী বৰ্দ্ধিত হইয়া মন্দিরের निक नयfख श्रांगिब्राझिल ५द९ ५कदांब्र मनिद्र शहै८७ नर्नौब्र WII & [ {&S J

  • 82

তমলুক ৫ গজ মাত্র ব্যবধান ছিল। জলের জাখাতে মন্দির ভাষিা পড়িবে এই আশঙ্কায় পুরোহিতগণ পলায়ন করিলেন। কিন্তু । নদীর জল আরও কিয়দর অগ্রসর হইয়া প্রত্যাবৃত্ত হইল। মন্দির নিরাপদে রছিয়া গেল । তমলুকে বিষ্ণুর একটা মন্দির অাছে। প্রবর্দি, যুধিষ্ঠিরের অশ্বমেধযজ্ঞের অশ্ব তমলুকে আসিলে তমলুকের ময়ুরবংশীয় রাজা তাম্ৰধ্বজ সেই অশ্ব ধৃত করিলেন। সুতরাং অশ্বরক্ষক সৈন্তদিগের সেনাপতি অর্জুনের সহিত তাহার তুমুল যুদ্ধ বাধিল । যুদ্ধে তাম্ৰধ্বজ জয়লাভ করিয়া কৃষ্ণের সহিত অৰ্জুনকে আবদ্ধ করিয়া আনিলেন। কৃষ্ণ স্বয়ং বিষ্ণু ; এই জন্ত কৃষ্ণ ও অর্জুনকে আবদ্ধ করায় তাম্ৰধ্বজের পিতা তাহাঁকে অতিশয় তিরস্কার এবং কৃষ্ণের বিস্তর অনুনয় করিলেন। সৰ্ব্বদা কৃষ্ণ ও অর্জুনের সাক্ষাৎ লাভ করিতে পরিবেন এই আশায় একটা বৃহৎ মন্দির নিৰ্ম্মাণ করিয়া তন্মধ্যে কৃষ্ণ ও অর্জুনের প্রতিমূৰ্ত্তি স্থাপিত করিতে রাজা আদেশ দিলেন। এই প্রতিমূর্তিদ্বয়ের নাম জিষ্ণু ও নারায়ণ । প্রায় ৫৬ শত বর্ষ গত হইল, স্থানীয় নদী এই মন্দিরটকে আত্মসাৎ করিয়াছে, কিন্তু বিগ্রহদ্বয়কে রক্ষা করা হইয়াছিল। এই বিগ্রহের জন্য গোপ-জাতীয় কোন স্ত্রীলোক একটা মন্দির নিৰ্ম্মাণ করাইয়া দিয়াছে । এই মন্দিরের আকৃতি ও নিৰ্ম্মাণ-কৌশল বর্গভীমাদেবীর মন্দিরের সদৃশ । তমলুক অতি প্রাচীন সহর । , ইহার সংস্কৃত নাম তাম্রলিপ্ত। মহাভারতেও তাম্রলিপ্তের উল্লেখ দেখা যায় । দশকুমারচরিত, বৃহৎকথা প্রভৃতি গ্রন্থে তাম্রলিপ্তি বঙ্গদেশের প্রধান বন্দর বলিয়া বর্ণিত হইয়াছে। প্রাচীন সংস্কৃত গ্রন্থ পাঠে অবগত হওয়া যায় যে, বঙ্গোপসাগর ও ভারত মহাসাগরের দ্বীপাবলীর সহিত তাম্রলিপ্তের যথেষ্ট বাণিজ্য চলিত এবং সমুদ্র হইতে ৮ মাইল মাত্র দূরে এই সহর অবস্থিত ছিল । তাম্রলিপ্তে হইতে বৌদ্ধধৰ্ম্ম অন্তর্হিত হইলে ইহা হিন্দুধর্মের তীর্থক্ষেত্রে পরিণত হইয়াছে । কেহ কেহ তমসা লিপ্তঃ অর্থাৎ পাপকলঙ্কিত, এই দুই কথা হইতে তাম্রলিপ্তের ব্যুৎপত্তি নিৰ্দ্ধারণ করেন। ইহাতে বোধ হয় পূৰ্ব্বকালে এই স্থানে ধৰ্ম্মনিয়ম তাদৃশ প্রতিপালিত হইত না । যাহা হউক, তাম্রলিপ্তের উৎপত্তি সম্বন্ধে এইরূপ একটা আখ্যান প্রচলিত আছে—বিষ্ণু কষ্কিঅবতারে দৈত্যদিগকে বিনাশ করিতে করিতে অতিশয় ক্লান্ত হইলে তাহার গাত্র হইতে তাম্রলিপ্তে ঘৰ্ম্ম পতিত হইল। দেবঘৰ্ম্ম দ্বারা লিপ্ত হওয়ায় এই স্থান পবিত্ত্ব ক্ষেত্রে পরিণত ও ইহার নামতাম্রলিপ্ত হইল। সংস্কৃত গ্রন্থবিশেষে লিখিত আছে