পাতা:বিশ্বকোষ সপ্তম খণ্ড.djvu/১৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জুনার wo-oo-o-o-o-o জুনার, (छ्बद्र) বোম্বাই বিভাগের অন্তর্গত পুণা জেলার একটা উপবিভাগ। জুনার সহরের ১ মাইল দক্ষিণপশ্চিম কোণে क्षिबाबग्नि नांभक ५कणै झूर्श श्रांtश्, ७हें झूरशैग्न नांश অনুসারে প্রাচীনকালে জুনার শিবনেরি নামে খ্যাত ছিল। পুণা কালেক্টরীর অধীনে কতকগুলি তালুক আছে ; জুনার তালুক সকলের উত্তর সীমায় অবস্থিত। ইহার ভূ-পরিমাণ ৬১১ বর্গমাইল। জুনারে হিন্দু, মুসলমান, খৃষ্টান প্রভৃতি ভিন্ন ভিন্ন জাতীয় লোকের বাস । হিন্দুর সংখ্যাই অপেক্ষাকৃত অধিক। জুনার উপবিভাগে একটা দেওয়ানী ও দুইটা ফোঁজদারী বিচারালয় ও একটা থানা আছে। জুনারে কএকটা নদী পৰ্ব্বত হইতে নির্গত হইয়া ঘোড়ে পতিত হইয়াছে, এই ঘোড়টা দেখিতে একটা কাটার দ্যায় ; ইহার অগ্রভাগ স্বল্প ও তিনদিকে বিস্তৃত । সৰ্ব্বাপেক্ষা দক্ষিণে যে নদীটী তাহার নাম মীনা। প্রতি বৎসরেই এই নদীর জল বৰ্দ্ধিত হইয়া ১০ মাইলের মধ্যবৰ্ত্তী শস্তক্ষেত্রের বিশেষ অনিষ্ট উৎপাদন করে । এই স্থানের মৃত্তিকাস্তর অতিশয় নরম ; জলের গতিরোধ করিবার কোন রূপ কাৰ্য্যই হইতে পারেন । অধিবাসিগণ নদীর ও মৃত্তিকার প্রকৃতি বিশেষরূপ পরিজ্ঞাত আছে, কিন্তু কিছুতেই তাহারা স্থানপরিবর্তন করিতে ইচ্ছা করে না । মাধীজি সিন্ধিয়ার জনৈক কৰ্ম্মচারী হিন্দুস্থান লুণ্ঠনকালে সঙ্গতিপন্ন হইয়া উঠিয়াছিলেন । তিনি ( কুলকরণী বংশীয় ), নিগুড়ি গ্রামে একটা সুন্দর মন্দির প্রতিষ্ঠা করিয়াছিলেন । ক এক বৎসর গত হইল, মীনানদী সেইদিকে ক্রমশঃ অগ্রসর হইয়া মন্দিরটকে গ্রাস করিতে উদ্যত হইয়াছে। ১৬৫৭ খৃঃ অব্দে শিবলী যে স্থানে নদী পার হইয়। জুনার দুর্গ আক্রমণ করিয়াছিলেন, উক্ত মন্দিরের অনতিদূরেই নদীর সেই অগভীর প্রদেশ । নিওড়ির দুই মাইল নিম্নদিকে প্রসিদ্ধ মোগল বাধ। পূৰ্ব্বে এই স্থান হইতে শিবনরি দুর্গের বাগলহোর’ উদ্যান পর্য্যন্ত একটী থাল প্রবাহিত ছিল ; এখন আর এখানে জলের চিহ্নও নাই । পুণা এবং নাসিক রাস্তার নিকট নারায়ণগ্রাম অবস্থিত। এইস্থানে একটী বহুকালের বঁাধ আছে। বর্তমান গবমেণ্ট ইহার জীর্ণ সংস্কার করিয়াছেন । এই বঁাধ থাকায় ৮০০০ একর ভূমির জলসিঞ্চনকাৰ্য্য অতি সহজে সম্পন্ন হইতেছে। নারায়ণগ্রামের অনতিদূরে মীনা নদীর উপর একটা সেতু নিৰ্ম্মিত হইয়াছে এবং পিম্পলেখার নিকট “মীনা’ ঘোড়ে পতিত হইয়াছে। ইহার বামদিকেই নারায়ণগড়। दूकुझेि नौ ८कालौशल्लिङ्ग निकछे श्ड्रे८ङ निर्गठ श्ब्र [ 3 లిల ] द्यूनiब्र নানাঘাটের উপত্যক পৰ্য্যস্ত প্রবাহিত হইয়াছে। এই স্থানটী কোঙ্কণ এবং দাক্ষিণাত্যের প্রাকৃতিক সীমা স্বরূপ। কথিত আছে, পূৰ্ব্বে ঘাটগড় এবং কোঙ্কণের অধিবাশিদিগের মধ্যে এই স্থানটী লইয়া অতিশয় বিবাদ ছিল। একদা উভয়পক্ষ একত্র হইয়া সীমা স্থির করিবার জন্ত নানারূপ বাদামুবাদ করিতে লাগিল । অবশেষে ঘাটগড়ের সীমান্তরক্ষক মহার বলিলেন, তিনি নীচে লাফাইয়া পড়িলে যেখানে নিশ্চল অবস্থায় থাকিবেন, সেই স্থানটা উভয় পল্লীর সীমারূপে গৃহীত হউক। উভয়পক্ষ স্বীকার করিলে যে পাহাড়ের উপরিভাগে দুইপক্ষ সম্মিলিত হইয়াছিল, তথা হইতে মহার লম্ফ প্রদান করিলেন । যে স্থানে তাহার দেহ খণ্ড বিখগু হইয়া গেল, সেইস্থান ঘাটগড় ও কোঙ্কণের সীমারূপে স্থিরীকৃত হইল । পূৰ্ব্বে জুনারে ৭ট দুর্গ ছিল। সেগুলি এরূপ ভাবে স্থাপিত ছিল যে, আকাশস্থ সপ্তনক্ষত্রপুঞ্জের আকৃতির দ্যায় দেখাইত। সেই সাতটা দুর্গের নাম চাবন্দ, শিবনেরি, নারায়ণগড়, হরিচন্দ্রগড়, জীবধন, নিমগড় এবং হর্ষগড় । জুনারে বৌদ্ধদিগের নিৰ্ম্মিত অনেক গুহা দেখিতে পাওয়া যায়, কিন্তু অন্তান্ত স্থানের বৌদ্ধগুহার স্তায় জুনারের গুহাগুলি খোদিত মূৰ্ত্তিশোভিত নহে। গুহানিৰ্ম্মাণের অনেক পরে এই স্থানে বুদ্ধদেবের প্রতিমূৰ্ত্তি ও অন্তান্ত বৌদ্ধমূৰ্ত্তি স্থাপিত হইয়াছে। জুনারের গুহাগুলির নিৰ্ম্মাণ-কৌশল অতিশয় বিস্ময়জনক । এই গুহাগুলির স্থানে স্থানে উৎকীর্ণলিপি দেখিতে পাওয়া যায়। এই লিপিগুলি সমস্তই এক সময়ের নহে ; মোটের উপর মহারাজ অশোকের সময়ের পূৰ্ব্বে এ গুলি খোদিত হইয়াছিল। কোন কোন প্রত্নতত্ত্ববিৎ স্থির করিয়াছেন, যে প্রাচীন তগর অধুনা জুনার নামে খ্যাত হইয়াছে। প্রাচীন তগরের শিলাহারগণ তিনভাগে বিভক্ত হইয়া ভিন্ন ভিন্ন স্থানে বিস্তৃত হইয়া পড়িয়াছিলেন। পূৰ্ব্বে তগরপুরবরাধীশ্বর উপাধিট বিশেষ প্রচলিত ছিল । এই প্রদেশে মুসলমানদিগের প্রথম আধিপত্যকালে জুনারে রাজধানী ছিল এবং কোঙ্কণের কিয়দংশ জুনার রাজ্যের অন্তর্গত ছিল । জুনার হইতে নারায়ণগ্রামে যে রাস্ত গিয়াছে, তাহার দক্ষিণদিকে মুসলমানদিগের নিৰ্ম্মিত একটা মুন্দর দুর্গ আছে । জুনার, উক্ত জুলার উপবিভাগের প্রধান নগর । অক্ষা ১৯° ১২ ৩০% এবং দ্রাধি ৭৩, ৫৮ ৩০" পূঃ । জুনার সছরের উত্তরাংশে একটী নদী এবং দক্ষিণে দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে ] শিবনেরি দুর্গ। সহরের ভূ-পরিমাণ ২৩৩ একর জুনার