পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (দ্বাদশ সম্ভার).djvu/৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষের পরিচয় সে অক্ষম নয় দুৰ্ব্বল নয়, সংসারে অনেকের মতো সেও অনেক কিছু পারে। এই নবজাগ্রত চেতনার বলিষ্ঠ চিত্ত লইয়া সে প্রথমেই দেখা করিতে গেল সারদার সঙ্গে । ঘরে তালা বন্ধ। একটি ছোট ছেলে খেলা করিতেছিল, সে বলিল, বৌদি গেছে ওপরে গিল্পীমার ঘরে—রাত্তিরে আমাদের সঙ্কলের নেমতন্ন । রাখাল উপরে গিয়া দেখিল সমারোহ ব্যাপার, লোক-খাওয়ানোর বিপুল আয়োজন চলিতেছে। রমণীবাৰু অকারণে অতিশয় ব্যস্ত, কাজের চেয়ে অকাজই বেশি করিতেছেন এবং সারদা কোমড়ে কাপড় জড়াইয়া জিনিসপত্র ভাড়ারে গুছাইয়া তুলিতেছে। রমণীবাবু যেন বাচিয়া গেলেন—এই যে রাজু এসেছে! নতুন-বোঁ ? সবিতা অন্যত্র ছিলেন, চীৎকারে কাছে আসিয়া দাড়াইলেন ; রমণীবাবু হাফ ছাড়িয়া বলিলেন, যাক বাচা গেছে—রাজু এসে পড়েছে। বাবা, এখন থেকে সব ভার তোমার । সবিতা বলিলেন, সেও ভালো, তুমি এখন ঘরে গিয়ে একটু জিরোও গে, আমরা নিস্তার পাই । সারদা অলক্ষ্যে একটু হাসিল, রাখালকে জিজ্ঞাসা করিল, কবে এলেন ? कांकन ! কাল ? তবে কালকেই এলেন না যে বড়ো ? অনেক কাজ ছিল, সময় পাইনি। সবিত সহাস্তে বলিলেন, ওকে মরা বঁচিয়েচে বলে রাজুর ওপর মস্ত দাবী । সারদা সদেশের ঝুড়িটা তুলিয়া লইয়া গেল। রাখাল রমণীবাবুকে নমস্কার করিল এবং সবিতাকে প্রণাম করিয়া জিজ্ঞাসা করিল, এত ধুমধাম কিসের নতুন-মা ? সবিতা স্মিত-মুখে কহিলেন, এমনিই। রমণীবাবু বলিলেন, ই—এমনিই বটে, সেই মেয়ে তুমি। পরে তাহাকে দেখাইয়া বলিলেন, উনি আধামূল্যে একটা মস্ত সম্পত্তি খরিদ করলেন, এ তারই খাওয়া। আমার সিঙ্গাপুরের পার্টনার এসেচে কলিকাতায়—বি সি ঘোষাল নাম শুনেছো ? শোনোনি–আচ্ছা আজ রাত্তিরে তাকে দেখতে পাবে, কোটি টাকার মালিক। আরও আছে আমার এখানকার বন্ধু-বান্ধব উকিল-এটর্নী, মায় দুই-তিনজন ব্যারিস্টার পর্য্যন্ত । একটু গান-বাজনা হবে—খাসা গাইছে আজকাল মালতীমালা— শুনে মুখ পাবে হে। সবিতা একটু বাধা দিবার চেষ্টা করিতেই বলিয়া উঠিলেন, নাও, ছলনা রাখো। কিন্তু কপাল করেছিলে বটে ! দেশে থাকতে কোন এক শালাকে অনেক টাকা ধার দিয়েছিলেন, সেইটেই হঠাৎ আদায় হয়ে গেল। ডোবা কড়ি বাবাজী, ডোবা কড়ি—এমন কখনো হয় না। নিতান্তই বরাতের জোর ব্যাট1 & * موسسه دا