পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (দ্বাদশ সম্ভার).djvu/৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাহিত্য-সংগ্ৰহ ব্ৰজবাবু বলিলেন, আলু-পটলের ঝোল। জার ? আর ? অার ভাতটা হবে বই ত নয় রাজু। এতগুলো লোক কি শুধু ঐ দিয়ে খেতে পারে কাকাবাৰু? জল কই, কুটনো বাটনা কোথায়, রান্না কিছুই তো চোখে দেখিনে বারান্দায় বাট পৰ্য্যস্ত পড়েনি— ধুলো জমে রয়েচে, এত বেল পৰ্যন্ত আপনারা করছিলেন কি ? ফটিকের মা গেল কোথায় ? ব্ৰজবাবু অপ্রতিভভাবে কহিলেন, হঠাৎ পা লেগে তেলট পড়ে গেল কি না— সে গেছে দোকানে কিনতে—এলো বলে । মধু ? মধু পেটের ব্যথায় সকাল থেকে পড়ে আছে, উঠতে পৰ্যন্ত পারেনি। রুগীর কাজ–সংসারের কাজ—এক ফাটকের মা— খুব ভালো, বলিয়া রাখাল মুখ গষ্ঠীর করিল। তাহার দৃষ্টি পড়িল এক কড়া ঘোলের প্রতি, জিজ্ঞাসা করিল, এত ঘোল কিনলে কে ? ব্ৰজবাবু বলিলেন, ঘোল নয় ছানার জল। ভাল কাটলো না কেন বলো ত ? রেণু খেতেই চাইলে না। শুনিয়া রাখাল জলিয়া গেল, কহিল, বুদ্ধির কাজ করেচে যে খায়নি। সংসারের ভার তাহার পরে, রাত্রি জাগিয়া অর্থ-চিন্তা করিয়া, ছুটাছুটি, পরিশ্রম করিয়া সে অত্যন্ত ক্লান্ত, মেজাজ রুক্ষ হইয়া পড়িয়াছে, রাগ করিয়া কহিল, আপনার কাজই এমনি । এইটুকু তৈরি করেও যে রুগীকে খাওয়াবেন তাও পারেন না। সবিতার সম্মুখে নিজের অপটুতার জন্ত তিরস্থত হইয়া ব্ৰজবাবু এমন কুষ্ঠিত হইয়া উঠিলেন যে মুখ দেখিলে দয়া হয়। কোন কৈফিয়ৎ তাহার মুখে আসিল না ; কিন্তু, সে দেখিবার রাখালের সময় নাই, কহিল, যান আপনি ঠাকুর-ঘরে, যা করবার আমিই কয়চি । ব্ৰজবাবু লজ্জিত-মুখে উঠিয়া দাড়াইলেন, ঠাকুর-ঘরের কোন কাজই এখন পর্য্যন্ত হয় নাই—সমস্ত র্তাহাকেই করতে হইবে। আর একবার স্বানের জন্ত নীচে যাইতেছিলেন—সবিতা সম্মুখে আসিয়া দাড়াইলেন, কছিলেন, আজ কিন্তু পূজো-আহ্নিক তাড়াতাড়ি সেরে নিতে হবে মেজকর্তা, দেরি করলে চলবে না । কেন ? কেনর উত্তর সবিতা দিলেন না ; মুখ ফিরাইয়া রাখালকে বলিলেন, তোমার কাকাবাবুর জন্তে জাগে একটুখানি মিছরি ভিজিয়ে দাও তে রাজু-কাল গেছে ওঁর ७कांशबै-४धन *ईjरू छजन्ण* काग्रननि !