পাতা:বিশ্বকোষ সপ্তম খণ্ড.djvu/১৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

६अम ৫ম মুমতি, ৬ষ্ঠ পদ্মপ্রভ, ৭ম সুপার্শ্ব, ৮ম চন্দ্র প্রভ, ৯ম স্ববিধি অপুর নাম “পুপদস্ত, ১০ম শীতলনাথ, ১১শ শ্ৰেয়াংগনাথ, ১২শ বায়ুপূজ্য, ১৩শ বিমলনাখ, ১৪শ অনন্তনাথ, ১৫শ ধৰ্ম্মনাথ, ১৬শ শাস্তিনাথ, ১৭শ কুশ্বনাথ, ১৮শ অরনাথ, २०* भझिनां५, २०* भूनिन्नबठ, २४* नभिनांथ, २२* নেমিনাথ বা অরিষ্টনেমি, ২৩শ পাশ্বনাথ এবং ২৪শ মহাবীর বীর বা বৰ্দ্ধমান । বর্তমান জৈনগণ শেষোক্ত ২৪ তীর্থঙ্করকেই যথেষ্ট ভক্তি করিয়া থাকেন। প্রাচীন জৈনগমে এই ২৪ জনের বিবরণ ও শিস্যাদির কথা বর্ণিত আছে। দিগম্বরের ঐ ২৪ জনের চরিত্র সংস্কৃত ভাষায় লিপিবদ্ধ করিয়াছেন, তাহাই চতুৰ্বিংশতি জৈন পুরাণ নামে খ্যাত * । অৰ্দ্ধমাগধী ভাষায় রচিত আগম ও সংস্কৃত জৈনপুরাণসমূহে তীর্থঙ্করদিগের সম্বন্ধে যেরূপ লিখিত হইয়াছে, তাহারই সারসংগ্রহ স্বতন্ত্র তালিকায় প্রদত্ত হইল। ( পুৰ্ব্ব পৃষ্ঠায় জিনমালী দ্রষ্টব্য। ] বৰ্ত্তমান জৈনগণ ঐ ২৪ জনের পুজাদি করিয়া থাকেন । তন্মধ্যে অন্তিমজিন মহাবীরের পুজোৎসবই বিশেষ জাকজমকে সম্পন্ন হইয়া থাকে । পূৰ্ব্বেই লিখিয়াছি, জৈনধৰ্ম্মের উপদেশমূলক প্রাচীন জৈনগম মহাবীর কর্তৃকই ব্যক্ত হইয়াছিল। প্রথমে তাহার প্রধান শিষ্য গৌতম বা ইন্দ্রভূতি ও মুধৰ্ম্মস্বামী মহাবীরের নিকট উপদেশ লাভ করিয়াছিলেন । মহাবীর ও ইন্দ্রভূতির দেহপরিত্যাগের পর মুধৰ্ম্মস্বামী আবার জন্তু স্বামীকে উপদেশ প্রদান করেন। এইরূপে জন্ম প্রভবকে, প্রভব শয্যম্ভবকে, শয্যম্ভব যশোভদ্রকে, যশোভদ্র সস্থতিবিজয়কে এবং সস্তৃতিবিজয় ভদ্রবাহুকে উপদেশ করেন। এই কয়জনই শ্রুতকেবলী নামে বিখ্যাত হন । তৎপরে পাটলীপুত্রের প্রসঙ্ঘে স্থলভদ্র পট্টধর বা সৰ্ব্বপ্রধান আচাৰ্য্যপদে অভিষিক্ত হন। জৈনদিগের পট্রাবলীগ্রন্থে স্থলভদ্রের পূৰ্ব্ববর্তী কেবলী ও পরবর্তী পট্টধরগণের পর্য্যায়ক্রমে অভিষেককার্য্যাদি লিপিবদ্ধ আছে । তৎপাঠে আমরা অনেক ঐতিহাসিক তত্ত্ব জানিতে পারি। উদাহরণ স্বরূপ পর পৃষ্ঠায় বৃহৎ খরতরগচ্ছ পট্রাবলী উদ্ধৃত হইল এবং নিম্নে তপাগচ্ছ পট্রাবলী হইতে ঐতিহাসিক অংশের সারসংগ্রহ লিপিবদ্ধ ছইল । শ্বেতাম্বর ও দিগম্বরদিগের গ্রন্থে দুইপ্রকার বিবরণ লিপিবদ্ধ আছে । মহাবীরস্বামীর পূর্ববর্তী ঘটনা অলৌকিক বা অনৈতিহাসিক এবং মহাবীরের পরবর্তী ঘটনাবলী ঐতিহাসিক -r* ७७ढिह निर्णषङ्ग :जनविtर्णब्र जांब्र७ कभकषानि नकुछ भूब्रl१ जाrश् Ꮃ ᎥᏞ o 8-9 [ ১৬৯ ] ६ऊन বা অধিকাংশে প্রকৃত। পূৰ্ব্ববর্তী ঘটনা অলৌকিক বলিয়া তাহাতে বিশ্বাসযোগ্য কোন কথা নাই । এ জন্য অলৌকিক অংশ পরিত্যক্ত হইল । শ্বেতাম্বরদিগের গ্রন্থ ও তপাগচ্ছপট্রাবলীবর্ণিত ইতিহাস । শ্বেতাম্বর জৈনেরা বলিয়া থাকেন যে আবশুকমুত্র, বীরচরিত্র ও বৃহদকল্লাদি শাস্ত্রে মহাবীরের সময়কার আচার ব্যবহার ও রাজগণের বিবরণ লিখিত আছে। মহাবীরের পর তাহার প্রধান শিস্য গৌতম বা ইন্দ্রভূতিই পাটে বসিবার কথা, কিন্তু যে দিন মহাবীর নিৰ্ব্বাণ লাভ করেন, সেই দিনই গৌতম কেবল-জ্ঞান লাভ করিয়াছিলেন। কেবলী হইলে তাহৱ পাটে বসিবার অধিকার नांझे, কারণ কেবলী যখন যাহূ বলেন, তাহা আপন জ্ঞানানুসারে প্রকাশ করিয়া থাকেন, পূর্ববর্তী তীর্থঙ্কর কি বলিয়াছেন, একথা তিনি বলেন না। সেই জন্য র্তাহার পরিবর্তে মহাবীরের অপর শিষ্য গণধর সুধৰ্ম্মস্বামী মহাবীরের পাটে বসিলেন। তাই জৈনদিগের পট্ৰাবলীতে সুধৰ্ম্মের নাম প্রথম দেখিতে পাই । ' খেতারদিগের ধর্মগ্রন্থে লিখিত আছে, স্বধর্শের শিবাজ, স্বামীর সময় ১ মনঃপর্য্যায় জ্ঞান, ২ পরমাবধিজ্ঞান, ৩ পুলকলন্ধি, ৪ আহারকশরীর, ৫ ক্ষপকশ্রেণী, ৬ উপশমশ্রেণী, ৭ জিনকল্পমুনির রীতি, ৮ পরিহারবিগুদ্ধিচারিত্র, সূক্ষ্মসম্পরায় ও যথাখ্যাত এই তিন প্রকার সংযম, ৯ কেবলজ্ঞান ও ১০ মোক্ষ এই দশ বস্তুর বিচ্ছেদ হইয়াছিল । ৫ম পট্টাচার্য শয্যম্ভবস্বামী জৈন সাধুদিগের জন্ত দশ বৈকালিকসুত্র প্রণয়ন করেন । ৬ষ্ঠ পট্টধর ও শেষ শ্রতকেবলী ভদ্রবাহু (১ম) আবশুকনিযুক্তি, দশৰৈকালিকনিযুক্তি, উত্তরাধ্যয়ননিযুক্তি, আচারাঙ্গনিযুক্তি, স্বত্ৰকুদঙ্গনিযুক্তি স্বৰ্য্যপ্রজ্ঞপ্তিনিযুক্তি, ঋষিভাধিতনিযুক্তি, কল্পনিযুক্তি, ব্যবহারনিযুক্তি ও দশানিযুক্তি এই ১০খানি নিযুক্তি এবং কল্পস্থত্র, ব্যবহারস্বত্র ও দশাশ্রুতস্কন্ধ নামে ধৰ্ম্মশাস্ত্র, ভদ্রবাহুসংহিতা নামে একথালি বৃহৎজ্যোতিষ ও উপসৰ্গহরস্তোত্র রচনা করিয়া জৈনগণের যথেষ্ট উপকার সাধন করিয়াছেন । ৭ম পট্টধর স্থলভদ্রের সময়েই নবনন্দের উচ্ছেদ ও চাণক্য কর্তৃক চন্দ্রগুপ্তের রাজ্যভিষেকাদি সম্পন্ন হয়। উত্তরাধ্যয়নবৃত্তি, আবখকবৃত্তি এবং পরিশিষ্ট্রপৰ্ব্বে তৎকালীন ইতিহাস বিস্তৃত ভাবে বর্ণিত আছে । এই স্থলভত্রের পর শেষ চারিপূৰ্ব্ব, প্রথম সংহনন ও প্রথম ংস্থান ব্যবচ্ছিন্ন হয় । ৮ম পট্টাচাৰ্য্য উমাস্বাতী তত্ত্বার্থাদিসূত্র এবং তাহার শিষ্য শু্যামাচাৰ্য্য (কালিকাচাৰ্য্য) পল্লবণাস্বত্র ( প্রজ্ঞাপনাস্বত্র ) প্রণ