পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (একাদশ সম্ভার).djvu/৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अब्र९-नांहिडा-नर6यंझ् মোক্ষদার বোধ করি হঠাৎ মনে পড়িয়া গেল। অপ্রতিত হইয়া বলিল, ও মা, खांहे छ ! সাবিত্রীর দিকে ফিরিয়া বলিল, দে মা, শীগগির বাবুর একটা জায়গা করে দে। তোর ঘরে ত সমস্তই ঠিক আছে। দে মা, দে, আর দেরি করিসনে—বলিতে বলিতে মোক্ষদ স্থানান্তরে চলিয়া গেল । ঘণ্টা-খানেক পরে, সতীশের আহারের সময় ঘরে কেহ উপস্থিত নাই—অন্ধকার বারান্দা হইতে মোক্ষদা ইহা লক্ষ্য করিয়া একেবারে জলিয়া উঠিল। রান্নাঘরে আসিয়া দেখিল সাবিত্রী চুপ করিয়া বসিয়া আছে। রুষ্টস্বরে বলিল, এ তোর কি রকম আক্কেল সাবিত্ৰী ! এ কি কাঙালী-ভোজন হচ্ছে যে, যা হোক ছুটে ফেলে দিয়ে ঠাগু হয়ে বলে আছিল। ... সাবিত্রী কি ভাবিতেছিল, চমকিয়া বলিল, দরকার হলে উনি চেয়ে নেবেন। এমন বুদ্ধি না হলে আর দাসীবৃত্তি করতে যাস্ ! কোথায় তুই নিজে দাসী-চাকর রাখবি, না— সাবিত্রী হাসিয়া বলিল, নিজেই দাসী হয়ে আছি। তাতেই বা দোষ কি মাসি, খেটে খেতে লজ্জা নেই । মোক্ষদা রাগিয়া বলিল, কে বললে নেই ? আমার মত বয়সে না থাকতে পারে, কিন্তু তোর বয়সে আছে । তা থাক, না থাক, বাবুকে যখন খেতে বলেচি, তখন বসে থেকে খাওয়াগে যা। মানুষের কপাল ফিরে যেতে বেশি দেরি লাগে না । - সাবিত্রী চলিতে উষ্ঠত হইয়াই থমকিয় দাড়াইয়া বলিল, কি বকচো মাসি । উনি শুনতে পাবেন যে ! মোক্ষদা তৎক্ষণাৎ স্বর নত করিয়া বলিল, না না, শুনতে পাবেন কেন । আর একটা কথা তোকে বলে রাখি বাছা । ভগবান কপালের মাঝখানে যে দুটো চোখ দিয়েচেন সে দুটো একটু খুলে রাখিস। ঘড়ির চেন, হীরের আংটি না থাকলেই মানুষকে ছোটো মনে করিসনে । আচ্ছা, বলিয়া সাবিত্রী হাসিয়া চলিয়া যাইতেছিল, মোক্ষদ। আবার পিছন হইতে ভাকিয়া বলিল, শোন সাবিত্ৰী ! সাবিত্ৰী ফিরিয়া দাড়াইয়া বলিল, কি ? আয় দেখি একবার আমার ঘরে, একখানা ঢাকাই কাপড় বের করে দি, পরে যা। সাবিত্ৰী হাসি চাপিয়া বলিল, তুমি বার কর গে মালি, আমি এখনি আসচি। সতীশের খাওয়া প্রায় শেষ হইয়া আসিয়াছিল, সাবিত্ৰী ঘরে চুকিয়া বলিল, চোখ বুজে খাচ্চো না কি ? 意*