পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (একাদশ সম্ভার).djvu/৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

झब्रेिङ्गशैन বিলম্ব দেখিয়া সতীশ মুখ বাড়াইয়াছিল, সেই চট করিয়া জবাব দিয়া ফেলিল, সেইরকম ত স্থির হয়েচে । হারানের ঘর হইতে বাহির হইবার সময়ে কে যে দ্রুতপদে বাহিরে সরিয়া গিয়াছিল, তাহা সে পূর্বেই বুঝিয়াছিল। বধু তাহার দিকে ফিরিয়া চাহিয়া বলিল, এই যে, আপনিও আছেন। বেশ কথা! ভাল কথা ! এতদিন এত কষ্ট করেও যা করে হোক দু’সন্ধ্যা দুমুঠো জুটছিল—এখন পথে দাড়াতে হবে । তাই হোক, আপনারাই সমস্ত ভাগ করে নিন। উপেন্দ্র স্তম্ভিত হইয়া গেলেন । সতীশ জবাব দিল, যার জিনিস সে যদি দিয়ে যায়, কারো কিছু বলবার নেই। কিরণময়ীর দুই চোখ আগুনের মত জলিয়া উঠিল। বলিল, আমার আছে। মরণকালে মতিচ্ছন্ন হয়, আমার স্বামীর তাই হয়েচে । কিন্তু আপনারা লিখে নেবার কে ? সতীশ কিছুমাত্র কুষ্ঠিত না হইয়া তৎক্ষণাৎ বলিয়া উঠিল, তা জানিলে, কিন্তু হারানবাবুর আজো যে বুদ্ধি আছে, আমার অন্তৰ্য্যামী এ-কথায় সায় দিচ্ছেন। কিরণময়ী অত্যন্ত বিদ্রুপের স্বরে জবাব দিল, চমৎকার যুক্তি ! লোকে কথায় বলে—যাক লোকের কথা । উপেন্দ্রকে উদেশ্ব করিয়া কহিল, কিন্তু এই কথা জিজ্ঞাসা করি, আমি কি করে জানব, শেষ কালে ইনি পথে বসাবেন না ! কেমন করে বিশ্বাস করব ইনি ফাকি দেবেন না ? এতবড় আঘাত হঠাৎ উপেন্দ্রর যেন অসহ বোধ হইল ; কি একটা বলিতেও গেল, কিন্তু না বলিয়া চুপ করিয়া নিজেকে সামলাইতে লাগিল । সতীশ মৃদুস্বরে বলিল, বৌঠাকরুণ, জানবার আবশ্বক আপনার নেই। কিরণময়ীও তৎক্ষণাৎ জবাব দিতে পারিল না। এই বিক্ৰপাত্মক আত্মীয় সম্বোধনের ম্পন্ধায় সে অবাক হইয়া গিয়াছিল। ক্ষণকাল চাহিয়া থাকিয়া শুধু কহিল, বৌঠাকরুণ ! জানবার আবশ্বক নেই! সতীশ বলিল, না। আপনি নিজের অধিকার যদি নিজে নষ্ট না করতেন, হায়ানবাবুর এ সতর্কতার আবশ্বক ছিল না। এত রাত্রে রাগারগি করবেন না—একটু বুঝে দেখুন দেখি । তীব্ৰ কাৰ্ব্বলিকের গন্ধে সাপ যেমন করিয়া তাহার উদ্যত ফণা মুহূর্তে সংবরণ করিয়া আঘাতের পরিবর্তে আত্মরক্ষার পথ অন্বেষণ করে, এই নিরুপমা, এই লীলাকৌশলময়ী তেজস্বিনী যুবতী চক্ষের পলকে তেমনি সঙ্কুচিত হইয়া বলিল, আমার কথা উনি কি বলেচেন শুনি ? উপেন্দ্র আর চুপ করিয়া থাকিতে পারিলেন না। এই গৰ্মিত নারীর সন্ধি ԵրՊ