পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (দশম সম্ভার).djvu/১৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ठेवकूरáब्र छैहेल তীব্র বক্র কটাক্ষ করিলেন । কিন্তু সে কটাক্ষ ছেলে ছাড়া আর কাহারও কাজে লাগিল না। তিনি তখন আবার প্রদীপ্ত-কণ্ঠে বলিতে লাগিলেন, এখনো বেঁকে বসিনি বটে, কিন্তু বেকলে নিমাই রায় কারু নয়। ব্রহ্মা-বিষ্ণুরও অসাধ্য—তা তোমরা দু’জনে একবার তেবে দেখো । বাবা নন্দলাল, আড়াইটে বেজেচে, সাড়ে-তিনটের গাড়িতে আমি যাব । জিনিসপত্র গুছিয়ে নাও—জানো ত তোমার বাপের কথার নড়চড় পৃথিবী উলটে গেলেও হবার জো নেই। বলিয়া সদৰ্পে ছেলের হাত ধরিয়া মেয়ে-জামাইকে ভাবিবার এক ঘণ্টা মাত্র সময় দিয়া বাইরে চলিয়া গেলেন । কিন্তু কোন কাজই হইল না। একঘণ্টা অতি অল্প সময়—তিনদিন পর্য্যস্ত উপস্থিত থাকিয়া, অবিশ্রাম মান-অভিমান রাগারগি এবং কটুক্তি করিয়াও গোকুলের মুখ হইতে দ্বিতীয় কথা বাহির করা গেল না। শ্বশুরের এই অত্যন্ত অপমানে তাহার নিজেরই লজ্জা ও ক্ষোভের সীমা-পরিসীমা ছিল না । কিন্তু মায়ের স্বম্পষ্ট আদেশের বিরুদ্ধে সে যে কি করিবে, তাহা কোনদিকে চাহিয়া দেখিতে না পাইয়াই, সৰ্ব্বপ্রকার লাঞ্ছনা ও গঞ্ছনা নীরবে সহ করিতে লাগিল । ১১ নিমাই যখন দেখিল তাহার সমস্ত আশা-অ’ কাজক্ষা, জল্পনা-কল্পনা নিস্ফল হইয়া গেল, তখন সে ভীষণ হইয়া উঠিল এবং স্পষ্ট শাসাইয়া দিতে বাধ্য হইল যে তীহাকে চাকরি ছাড়াইয়া আনার দরুণ ক্ষতিপূরণ করিতে হইবে। তিনি বাড়ুযোমশাইকে ইতিমধ্যে হাত করিয়াছিলেন । তিনি আসিয়া গোকুলকে নিৰ্ব্বোধ বলিয়া, অন্ধ বলিয়া তিরস্কার করিতে লাগিলেন এবং এমন একটা ভয়ানক ইঙ্গিত করিলেন, যাহাতে বুঝা গেল, নিমাই রায়কে অপমান করিলে সে বিনোদকে গিয়াও সাহায্য করিতে পারে । গোকুল কাতরকণ্ঠে কহিল, কি করব মাস্টারমশাই, মা যে তাকে বাড়িতে রাখতেই চান না। চক্রবর্তমশাইকে হুকুম দিয়েচেন দোকানে পৰ্য্যস্ত যেন তিনি না চোকেন। >goэ