পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (একাদশ সম্ভার).djvu/২১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাহিত্য-সংগ্রহ চিরকাল যে লোক আমোদ-প্রমোদ বন্ধু-বান্ধব লইয়া হৈ চৈ করিয়া কাটাইয়াছে, फांशद्र ७हे जख्निब cछडेब्रि बूफ़ cदशग्रैौब cफ्रां८५ बर्थन उथन छल चानिष्ठ लात्रिण । সে হয়ত কোনদিন আলিয়া বলে, বাৰু, দুজন ভদ্ধর বাঙালী স্বমুখের রাস্ত দিয়ে বোধ করি ত্ৰিকুট দেখতে যাচ্ছেন— কথা শেষ না হইতেই সতীশ "কই রে ? বলিয়া তড়াক করিয়া লাফাইয়া উঠিয়া পৰ্ব্বক্ষণেই যাক গে’ বলিয়া বিমর্ষ মুখে তাহার চেয়ারে বসিয়া পড়ে। বেহারী বলে, ডেকে একবার আলাপ-টালাপ— সতীশ কহে, কিসের জন্তে ? তার পরে একটুখানি উচ্চ ধরণের শুষ্ক হাসি হালিয়া বলে, আমার আর ও-সব জালাপ-টালাপে দরকার নেই—ভালই লাগে না । জানিস বেহারী, বনের পাখীরা আজকাল আমাকে গান শোনায়, গাছপালা কথা কয়, বাতাস হু হু করে আমার কানে কানে কত রাজ্যের গল্প বলে যায়, আমার কি আর বাজে লোকজনের সঙ্গে হাসি-তামাসায় সময় নষ্ট করতে ইচ্ছে হয় রে ? আমার যথার্থ বন্ধু বলতে হয় তো এরাই—বুঝলিনে বেহারী ? বেহারী নিরুত্তর মানমুখে ফিরিয়া যায়। কিন্তু বহুক্ষণ পৰ্য্যস্ত প্রভুর এই বেদনা-বিদ্ধ কণ্ঠস্বর তাহার কানের মধ্যে রি রি করিতে থাকে । বেহারীর একটা স্বভাব ছিল, সে কথা দিয়া কথা ভাঙিতে পারে না। অনেক বিশিষ্ট ভদ্রলোকেরা যে লোভ সামলাইতে পারে না, এই ছোটলোক বেহারীর সে শক্তি ছিল। সে মনে মনে একপ্রকার করিয়া বুঝিতে পারিত সাবিত্রী সে রাত্রে কি একটা জুয়াচুরি করিয়া গিয়াছিল। সে যে সতীশের অশেষ মঙ্গলাকাঙ্কিণী এবং সতীশকে যে প্রাণাধিক ভালবাসিত, বেহারীর তাহাতে সংশয় ছিল না। তবে, কেন ষে সে, যে-দোষ করে নাই তাহাই স্বীকার করিয়া এবং বে-পাপ কোনদিন ছিল না তাহারই বোঝা স্বহস্তে নিজের মাথায় তুলিয়া তাহার প্রভুকে এত ব্যথা দিয়া গেল এই কথাটা নিরস্তর চিন্তা করিয়াও সে মীমাংসা করিতে পারিত না। তবে কি না সাবিত্রীর উপর বেহারীর অসীম ভক্তি ছিল। তাহাকে মা বলিত এবং শাপগ্ৰষ্ট দেবী মনে করিত। তাই নিজের বুদ্ধিতে কুল-কিনারা না পাইয়া এই বলিয়া মনকে প্ৰবোধ দিত যে, শেষকালে একটা কিছু ভালই হইবে ; এই ভালর আশাতেই লে ও-সম্বন্ধে একেবারে নীরব হইয়া গিয়াছিল। প্রভূর মুখ দেখিয়া সাবিত্রীর আসল ব্যাপারটা প্রকাশ করিতে মাঝে মাঝে যখন তাহার ভারী একটা আবেগ উপস্থিত হইত, তখন এই বলিয়া সে আত্ম-সংবরণ করিত যে, আমার মার চেয়ে বাবুকে ত আর আমি বেণী ভালবাসিনে, তিনি নিজেই যখন এ দুঃখ দিয়ে গেলেন তখন জামি কেন ব্যাঘাত ঘটাই ? তিনি না বুঝে ত আমাকে মাথার দিব্যি দিয়ে নিষেধ করে যাননি । ३ ● $