পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (দ্বাদশ সম্ভার).djvu/৩২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

विछिप्न ब्रह्रमोदऔ আপুপ্ত। সেখানে সৰাই চায় পাশ করতে এবং উকীল হতে। এর মাঝখামে আমার জিন কেটে চলে। কিন্তু হঠাৎ একদিন এর মাঝেও বিপৰ্য্যয় ঘটলো। আমার এক জাষ্ট্ৰীয় তখন বিদেশে, তিনি এলেন বাড়ি। তার ছিল সঙ্গীতে জহুরাগ, কাব্যে জাশক্তি ; বাড়ির মেয়েদের জড় করে তিনি একদিন পড়ে শোনালেন রবীন্দ্রনাথের “প্রকৃতির প্রতিশোধ।” কে কতটা বুঝলে জানিনে, কিন্তু যিনি পড়ছিলেন তার সঙ্গে আমার চোখেও জল এলো। কিন্তু পাছে দুৰ্ব্বলতা প্রকাশ পায়, এই লজ্জায় তাড়াতাড়ি বাহিরে চলে এলাম। কিন্তু কাব্যের সঙ্গে দ্বিতীয়বার পরিচয় ঘটলো এবং বেশ মনে পড়ে এইবার পেলাম তার প্রথম সত্য পরিচয় । এর পরে এ-বাড়ির উকীল হবার কঠোর নিয়ম সংযম আর ধাতে সইলো না, আবার ফিরতে হলে আমাদের সেই পুরানো পল্লী-ভবনে। কিন্তু এবার বোধদয় নয়, বাবার ভাঙ্গ দেরাজ থেকে খুজে বের করলাম "হরিদাসের গুপ্তকথা”। আর বেরোলো “ভবানী পাঠক”। গুরুজনদের দোষ দিতে পারিনে, স্কুলের পাঠ্য তো নয়, ওগুলো বদ-ছেলের অ-পাঠ্য পুস্তক। তাই পড়বার ঠাই করে নিতে হলো আমার বাড়ির গোয়াল-ঘরে । সেখানে আমি পড়ি তারা শোনে। এখন আর পড়িনে, লিখি। সেগুলো কারা পড়ে জানিনে । এই ইস্কুলে বেশিদিন পড়লে বিষ্ঠে হয় না, মাস্টারমশাই স্নেহবশে এই ইঙ্গিতটুকু দিলেন । অতএব আবার ফিরতে হলো সহরে । বলা ভালো এর পরে আর ইস্কুল বদলাবার প্রয়োজন হয়নি। এইবার খবর পেলাম বঙ্কিমচন্দ্রের গ্রন্থাবলীর । উপন্যাস-সাহিত্যে এর পরেও যে কিছু আছে, তখন ভাবতেও পারতাম না। পড়ে পড়ে বইগুলো যেন মুখস্থ হয়ে গেল ! বোধ হয় এ আমার একটা দোষ ! অন্ধ অন্থকরণের চেষ্টা না করেচি যে নয়। লেখার দিক দিয়ে সেগুলো একেবারে ব্যর্থ হয়েচে, কিন্তু চেষ্টার দিক দিয়ে তার সঞ্চয় মনের মধ্যে আজও অনুভব করি । তার পর এলো ‘বঙ্গ দর্শনে’র নবপর্যায়ের যুগ । রবীন্দ্রনাথের ‘চোখের বালি' তখন ধারাবাহিক প্রকাশিত হচ্ছে। ভাষা ও প্রকাশ-ভঙ্গির একটা নূতন আলো এসে যেন চোখে পড়লো। সেদিনের সেই গভীর ও স্বতীয় আনন্দের স্মৃতি আমি কোনদিন ভুলবো না। কোন কিছু যে এমন করে বলা যায়, অপরের কল্পনার ছবিতে নিজের মনটাকে যে পাঠক এমন চোখ দিয়ে দেখতে চায়; এর পূৰ্ব্বে কখন স্বপ্নেও ভাবিনি। এতদিনে শুধু কেবল সাহিত্যের নয়, নিজেরও যেন একটা পরিচয় পেলাম। অনেক পড়লেই ষে তবে অনেক পাওয়া যায় এ-কথা সত্য নয়। ওই তো খান-কয়েক পাতা, তার মধ্য দিয়ে যিনি এতবড় সম্পদ সেদিন আমাদের হাতে পৌঁছে দিলেন, র্তাকে কৃতজ্ঞতা জানাবার ভাষা পাওয়া যাবে কোথায় ? এর পরেই সাহিত্যের সঙ্গে হলো আমার ছাড়াছাড়ি । স্কুলেই গেলাম যে জীবনে একটা ছত্রও কোনও দিন লিখেচি ; দীর্ঘকাল কাটলো প্রবালে,-ইতিমধ্যে কবিকে °>鲁