পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (দ্বাদশ সম্ভার).djvu/৩৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পত্র-সঙ্কলন কল্যাণীয়ে যু—মন্ট, আজ তোমার পোস্টকার্ড ও বহুবল্লভের ফৰ্ম্মার পুলিন্দা পেলাম। তুমি হয়তো জানো না যে আমি ৮৯ মাস অত্যন্ত অস্থস্থ। শয্যাগত বললেও অতিশয়োক্তি হয় না । গেল জ্যৈষ্ঠ মাসে দেশের বাড়ি থেকে এখানে আসবার পথে sun-stroke-এর মতো হয়, সেই পৰ্য্যস্ত চোখের ও মাথার ব্যথায় কত যে পীড়িত সে আর বলব কি। আজও সারেনি, বাকী দিন কটায় সারবে কি না তাও জানিনে। তার ওপর আছে অর্শের অজস্র রক্তস্রাব (বহু পুরাতন ব্যাধি ) এবং মাসখানেক থেকে শুরু হয়েছে মাঝে মাঝে জর । তোমাকে চিঠি লিখচি জরের উপরেই। দেশের বাড়িতেই থাকি, শুধু মাঝে মাঝে একটু ভাল থাকলে কলকাতায় আসি । লেখা কিংবা পড়া সমস্তই বদ্ধ। খবরের কাগজ পৰ্য্যন্ত না । এ জীবনের মতো লেখাপড়া যদি শেব হয়েই থাকে ত অভিযোগ করব না। যেটুকু সাধ্য ও শক্তি ছিল করেচি, তার বেশি যদি না-ই পারি ক্ষোভ করতে যাবে কেন ? মনের মধ্যে আমি চিরদিনই বৈরাগী— এখনও তা-ই যেন থাকতে পারি। একদিন বুদ্ধদেব ভট্টাচাৰ্য্য এসে বলেছিল, মণ্ট বাবুর ‘দোলা চমৎকার হয়েছে। শুনে বিম্মিত হইনি। আমি মনে মনে জানি মন্ট র উপন্যাস উত্তরোত্তর চমৎকার থেকে আরও চমৎকার হবেই। অকৃত্রিম সাধনার ফল যাবে কোথায় ? তা ছাড়া উত্তরাধিকারস্বত্রে পাওয়া রয়েছে artist হৃদয় । যেমন বৃহৎ, তেমনি ভদ্র, তেমনি পরদুঃখকাতর তোমার রসজ্ঞ মনের পরিচয় ছেলেবেলাতেই তোমার সংগীত, তোমার গুণিজনের প্রতি ঐকাস্তিক অনুরাগ, তোমার নানা কাজে আমি পেয়েছিলাম। তোমার প্রতি স্নেহও আমার তাই অকৃত্রিম । কোন বাইরের ঘাত-প্রতিঘাতেই তা মলিন হবার নয়। তোমার লেখার সম্বন্ধে যে শুভকামনা বহুদিন পূৰ্ব্বে করেছিলাম আজ তা সফল হতে চললে এ আমার বড় আনন্দ। আবার আশীৰ্ব্বাদ করি জীবনে তুমি স্বধী হও, সার্থক হও ! বুদ্ধদেব বস্থর ‘বাসর ঘর’ বই সম্বন্ধে রবীন্দ্রনাথ কি বলেছেন আমি দেখিনি । বুদ্ধদেব বন্ধ যদি বলে থাকেন, আমার চেয়ে রবীন্দ্রনাথ ঢের বড় ঔপভালিক, সে তো সত্যি কথাই বলেছে মন্ট নিজের মন ত জানে এ সত্য, পরম সত্য। এ ছাড়াও আর একটা কথা এই ষে, আমার চেয়ে কে বড়ো, কে ছোটো এ নিয়ে যথার্থই আমার মনে কোন আক্ষেপ, কোন উদ্বেগ নেই। রবীন্দ্রনাথ যদি বলতেন, 曾翁鲁 ››ዥ-- ዐፄ