পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (ত্রয়োদশ সম্ভার).djvu/২৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাহিত্য-সংগ্ৰহ তাহার ধর্শ্ব ও ধর্শ্ববাজকের প্রতি এই তীক্ষ ইঙ্গিতে ভারতী বিষণ্ণ হইয়া বলিল, এ কৰা তোমার কাছে আমি পূৰ্ব্বেও শুনেছি, কিন্তু ৰে জাপানীদের তুমি ভক্তি কর, তারা কি ? ডাক্তার কহিলেন, ভক্তি করি ? মিছে কথা । ওদের আমি ঘৃণা করি । কোরিয়ানদের বার বার প্রতিশ্রুতি এবং অভয় দিয়েও বিনা দোষে মিথ্যা অজুহাতে তাদের রাজাকে বন্দী করে ১৯১৭ সালে যখন কোরিয়া রাজ্য আত্মসাৎ করে নিল তখন আমি সাংহাইয়ে । সে দিনের সে সব অমান্থষিক অত্যাচার ভোলবার নয়, ভারতী। আর অভয় কি শুধু এক জাপানই দিয়েছিল । ইয়োরোপও দিয়েছিল। শক্তিমানের বিরুদ্ধে ইংরাজ কথা কইলে না। এ্যাঙলো-জাপানী—সদ্ধি-স্বত্রে আমরা আবদ্ধ ! এবং সেই কথাই আমেরিকা যুক্তরাজ্যের সভাপতি অত্যন্ত মুম্পষ্ট ভাষায় ব্যক্ত করে বললেন, প্রতিশ্রুতি তা কি ! যে অক্ষম, শক্তিহীন জাতি আত্মরক্ষা করতে পারে না তাদের রাজ্য যাবে না ত যাবে কাদের ? ঠিকই হয়েচে ? এখন আমরা যাবো তাদের উদ্ধার করতে ! অসম্ভব ! পাগলামী ! এই বলিয়া সব্যসাচী এক মূহূৰ্ত্ত মৌন থাকিয়া কহিলেন, আমিও বলি ভারতী,—অসম্ভব, অসঙ্গত, পাগলামি । প্রবল দুৰ্ব্বলের সম্পদ কেন ছিনিয়ে নেবে না, এ কথা যে সভ্য ইয়োরোপের নৈতিক-বুদ্ধি ভাবতেই পারে না। ভারতী নিৰ্ব্বাক হইয়া রহিল। তিনি বলিতে লাগিলেন, আঠারো শতাদের শেষের দিকে ব্রিটিশ দূত লর্ড ম্যাকটনি এলেন চৈনিক দরবারে কিঞ্চিৎ ব্যবসার সুবিধে করে নিতে। মাণ্ডুরাজ শিল্‌লুঙ ছিলেন তখন সমস্ত চীনের সম্রাট, অত্যন্ত দয়ালু, দূতের বিনীত আবেদনে খুশী হয়ে আশীৰ্বাদ করে বললেন, দেখ বাপু, আমাদের স্বৰ্গীয় সাম্রাজ্যে অভাব কিছুরই নেই, কিন্তু তুমি এসেচ অনেক দূর থেকে, অনেক দুঃখ সম্বে । আচ্ছা ক্যানটন সহরে ব্যবসা কর, স্থান দিচ্ছি, তোমাদের ভাল হবে। রাজ-জাণীৰ্ব্বাদ নিষ্ফল হোলো না, ভালই হলো। পঞ্চাশ বছর পেরুল না চীনের সঙ্গে ইংরাজের প্রথম যুদ্ধ বাধলে । ভারতী বিক্ষিত হইয়া কহিল, কেন দাদা ? ডাক্তার কছিলেন, চীনেরই অস্তায় । বেয়াদপ হঠাৎ বলে বসলে, আফিঙ খেয়ে খেয়ে চোখ কান আমাদের বুজে গেল, বৃদ্ধিগুদ্ধি আর নেই, দয়া করে জিনিসটার জামদানি বন্ধ কর । তারপরে ? তার পরের ইতিহাস খুব ছোট। বছর ছন্ধের মধ্যে পুনশ্চ আফিঙখেতে রাজি एटब, ज्यांब्र७ नॅांकथांना वण८ब्र नउकब्रां *ांछन्नैॉक मांब छरक वांगिटजाब घडूब्रि ९30