পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (ত্রয়োদশ সম্ভার).djvu/৩০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*र्थिवं क्षारौ - মাঝখানে, কারখানার ব্যারাকে, কিন্তু পাবে না খুঁজে পাড়াগায়ের চাষার ফুটারে। কিন্তু কৰায় কথায় শ্রেষ্ঠ কৰ্ত্তব্যটি যেন ভুলে ধেম্বো না দিদি। এই বলিয়া স্টোভের প্রতি তাহার দৃষ্টি আকর্ষণ করিয়া কহিলেন, মেশোদ্ধার ছুদিন দেরি হলে সইবে, কিন্তু তৈরি খিচুড়ি পুড়ে গেলে সইবে না ? ভারতী ছুটিয়া গিয়া হাড়ির ঢাকা ধুলিয়া পরীক্ষা করিয়া হাসিমূখে কহিল, ভয় নেই জাল, বাদল রাতের খিচুড়িভোগ তোমার মারা যাবে না। কিন্তু বিলম্ব কত ? ভারতী বলিল, মিনিট পনেরো-কুড়ি। কিন্তু তাড়া কিসের বল ত ? ডাক্তার হাসিয়া কহিলেন, আজ যে তোমাজের कां८छ् श्रांभि विशांझ निर७ এলাম । কথা যেমন হৌক, তাহার হাসিমুখের দিকে চাহিয়া কেহই তাহা বিশ্বাস করিল না । বাহিরে ঝড়-জলের বিরাম নাই, ভারতী ক্ষণিকের জন্ত জানালা খুলিয়া নিরীক্ষণ করিয়া ফিরিয়া আসিয়া কহিল, বাপ রে বাপ, । পৃথিবী বোধ হয় ওলট-পালট হয়ে স্বাবে। বিদায় নেবারই সময় বটে, দাদা ! চোখের পলকে তাহার অন্ত কৰা মনে পড়িল, কহিল, আজ কিন্তু তোমাকে ও ছোট্ট ঘরটিতে গুতে হবে । নিজের হাতে আমি চমৎকার করে বিছানা করে দেব, কেমন ? এই বলিয়া সে হারের নিগূঢ় জানলে পরিপূর্ণ হইয়া রায়ার কাজে লাগিল। ডাক্তারের নিকট হইতে ষে কোন উত্তরই আসিল না তা তাহা সে লক্ষ্যও করিল না। যথাসময়ে আহার্ষ্য প্রস্তুত হইলে,ডাক্তার ঘাড় নাড়িয়া বলিলেন, না, সে হবে না ভারতী, পরিবেশনের অছিলায় তুমি বাকী থাকলে চলবে না। জাঙ্গ আমরা সকলে একসঙ্গে খেতে বসব । ভারতী সম্মত হইয়া বলিল, তাই হবে দাদা, চারজনে আমরা গোল হয়ে খেতে বসব । ডাক্তার কহিলেন, গোল হয়ে খেতে পারি, কিন্তু বুভুকু অপূৰ্ব্ববাবু না নজর দিয়ে আমাদের হজমে গোল বাধান। সেট ওঁকে বল। অপূৰ্ব্ব হাসিল, ভারতীও হাসিমুখে কহিল, সে ভয় আমাদের থাকতে পারে, কিন্তু তোমার হজমে গোল বাধাৰে কে দাদা ? ও আগুনে পাহাড়-পৰ্ব্বত গুড়িয়ে দিলেও তা ভস্ম হয়ে যাবে। যে খাওয়া খেতে দেখেচি ! এই বলিয়া ভারতী আর একদিনের খাওয়া স্মরণ করিয়া মনে মনে যেন শিহরিয়া উঠিল। ভোজন-পৰ্ব্ব আরম্ভ হইল। অল্প-ব্যঞ্জনের স্থখ্যাতিতে এবং লঘু হাস্ত-পরিহাসে ঘরের আবহাওয়া বেন মুহূর্তের মধ্যে পরিবর্তিত হইয়া গেল। খাওয়া যখন পূর্ণ ●●>