পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (দশম সম্ভার).djvu/৩৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*ख-नड़ेजनै ধাই হোক, কামনা করি তোমাদের রসচক্রের রসিকদের মধ্যে যেন এ ব্যাধি প্রবেশ করবার দরজা খুজে না পায়। কবি নই, মনের মধ্যে কথা জমে উঠলেও তোমাদের মত প্রকাশের ভাষা খুঁজে পাইনে, গুছিয়ে বলা হয় না। তাই চিঠি লেখা হয়ে যায় আমার চিরদিনই এলোমেলো । ইতি—৫ই ভাদ্র, ১৩৩৮ * --द्वितःि । ২৪শে ভাদ্র, ১৩s • কল্যাণীয়েয়ু, কাগজ চালাবার সম্বন্ধে আমার অভিমত জানতে চেয়েছে, কিন্তু নিজে কখনও কাগজ চালাইনি, সুতরাং বাস্তব অভিজ্ঞতা আমার নেই। তবে প্রতি মাসেই অনেক কাগজ পড়ি, এর থেকে এই কথাটা মনে হয় মাসিকপত্র বহুলোকের প্রিয় করে তোলার জন্তে সবচেয়ে বড় প্রয়োজন লেখার স্নিগ্ধতা এবং সংযম । উগ্রতায় অভিভূত করে দেবার সঙ্কল্প নিয়ে যে-লেখা রচিত হয়, একটু মন দিয়ে দেখলেই দেখতে পাবে, তার পোষাক ও বাইরের আতিশষ্য স্বল্পকালের জন্য পাঠকের চিত্ত চঞ্চল করে তুললেও সে স্থায়ী ত হয়ই না, পরন্তু প্রতিক্রিয়ায় অবসাদগ্ৰস্ত করে দেয় । গল্পেই হোক ৰ৷ ষাতেই হোক, ষদি দেখতে পাও তার আসল কথাগুলি লেখকের আপন অনুভূতির রসে সত্য এবং বিশুদ্ধ হয়ে রচনায় আসেনি তখনি মনে কোরো তার ভাব ও ভাষার আড়ম্বর যত চমকপ্রদ হয়েই মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করুক, সে অন্তঃসারশূন্ত—সে টিকবে না । ইন্‌টেলেকচুয়াল গল্প বলে একটা কথা আজকাল প্রায় শুনতে পাই, কিন্তু তার স্বরূপ কখনো দেখিনি, কিংবা দেখেও যদি থাকি, চিনতে পারিনি। সেদিন হঠাৎ একটা গল্প পড়েছিলুম, শেষ করে মনে হয়েছিল লেখকের বিস্তের ভারে লেখাটা ধেন পথের ওপর মুখ থুবড়ে পড়েচে । এ বস্তুকে কাগজে কখনো প্রশ্রয় দিও না। তবে এমন কথাও মনে কোরো না, গল্পে বৃদ্ধি-শক্তির ছাপ থাকা মাত্রই দোষণীয়, হৃদয়বৃত্তির অপরিমিত ৰাহুল্যতায় লেখকের আহাম্মক সাজাই দরকার । * - ঐশরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

  • "রসচক্র’ নামক সাহিত্যিকদের সভায় যত গ্রমোহন বাগচীর সম্বৰ্দ্ধনা-সভায় যোগদান করিতে না

পায়ায় সম্পাদক কবিশেখর শ্ৰীকালিদাস রায়কে লিখিত । + 'স্বদেশ’ নামক পত্রের সম্পাদক শ্ৰীকুঞ্চেমুনারায়ণ ভৌমিককে লিখিত । vy0