পাতা:বিশ্বকোষ চতুর্দশ খণ্ড.djvu/৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মধ্যশ্রেণী-ব্রাহ্মণ [ sa ] 象 মধ্যশ্রেণী-ব্ৰাহ্মণ কায়স্থ পদ্মপলাশ মিত্র বার্থীয় গড়-কিশোয়নিবাসী মধ্যশ্রেণীকায়স্থ রাজা যাদবরাম রায়ের দৌহিত্র রাজা স্বরূপ নারায়ণ রায়ের কস্তাকে বিবাহ করেন। উক্ত রাজা যাদবরাম রায়ের দৌহিত্রের পুত্র ৮ রাজা মুকুন্দলাল রায়ের পুত্র রাজ উপেক্স লাল রায় খানাকুল কৃষ্ণনগরের দক্ষিণরাঢ়ীয় কায়স্থ গৌর বক্স ও হরি বসুর ভগিনীকে বিবাহ করিয়াছিলেন। এইরূপ সম্বন্ধের অভাব নাই। এই সকল কারণে মধ্যশ্রেণী-কায়স্থগণকে বঙ্গের অদ্যাক্স কায়স্থগণের এক শাখা वडिब्राझे मcन ह्ब्र । এই শ্রেণীর কায়স্থগণের মধ্যে র্কার্থীর গড়কিশোরগ্রামবাসী ভরদ্বাজগোত্রীয় স্বৰ্গীয় রাজা যাদবরাম রায় ভাটপাড়া ইত্যাদি স্থানের বহুতর ব্রাহ্মণগণকে নিষ্করে জমি দান করিয়াছিলেন। তাহার প্রদত্ত জমি নানা দেশায় ব্রাহ্মণগণ এ পর্য্যস্ত ভোগ করিয়া আসিতেছেন । মেদিনীপুর জেলায় কাস্থ নামে এক নিম্ন জাতির বাস আছে, তাহাদের সহিত এই মধ্যশ্রেণী-কায়স্থগণের কোন সম্বন্ধ নাই । মধ্যশ্রেণী-ব্রাহ্মণ,মেদিনীপুর-জেলাবাসী এক শ্রেণীর ব্রাহ্মণ। উৎকল ও বঙ্গের মধ্যস্থলে বাসহেতু ই হার মধ্যশ্রেণী নামে গণ্য। কেহ কেহ মনে করেন যে, উৎকল (বৈদিক) ও রাঢ়ীশ্রেণীর মিশ্রণে এই শ্রেণীর উৎপত্তি,এজন্তু ইহার মধ্যশ্রেণীনামে খ্যাত হইয়াছেন। মধ্যশ্রেণীর কুলঞ্জ ও পণ্ডিতগণ বলেন, যে সময় গোড়াধিপ বল্লালসেন কুলময্যাদ স্থাপন করেন, সে সময় লক্ষ্মীপতি প্রভৃতি যে সকল ব্রাহ্মণ অশাস্ত্রীয় বলিয়। বল্লালের কুলমৰ্য্যাদা স্বীকার করেন নাই, তাহাদের মধ্যে কেহ কেহ স্বয়ং সৰ্থবা তাহাদের বংশধরগণ বল্লাল-রাজ্যসীমার বাহিরে মেদিনীপুরে অসিয়া বাস করেন, ও পুৰ্ব্বোক্ত কারণে মধ্যশ্রেণী নামে খ্যাত হন । মধ্যশ্রেণী নাম হইবার সম্বন্ধে এই শ্রেণীর ব্রাহ্মণের আরও দুইটা কারণ দেখাইয় থাকেন। ১ম দেবাবরের সঙ্গে বিবাদ, ২য় গঙ্গাধরের বহু স্ত্রী মধ্যে এক স্ত্রীকে ভ্রমক্রমে মাতৃসম্বোধনহেতু মধ্যশ্রেণী নামে পৃথক্ থাক গঠন । দেবাবরের সঙ্গে কেন বিবাদ হইল, এ সম্বন্ধে এইরূপ প্রবাদ শুনা যায়,— দেবীবর সমগ্র রাঢ়-বঙ্গে রাঢ়ীয় কুলীন ব্রাহ্মণ মধ্যে মেল বন্ধন করিয়৷ ৰাঙ্গালার প্রান্তসীম৷ মেদিনীপুরে আসিয়া উপস্থিত হইলেন। এখানে ভামুরাগ্রামবাসী রাঢ়ীয় ব্রাহ্মণগণ মেলবন্ধনের অবিশুকত অবধারণ করিবার জন্ত এক মহাসভা জাহান করিলেন। ভামুম্বার নিকটবৰ্ত্তী পিগুরুই-গ্রামবাসী ভরদ্বাজগোত্র গঙ্গাধরভট্ট সভাপতি হইলেন। তিনি উপস্থিত সত্যগণের অভিপ্ৰায়ে মেলবন্ধনে আপত্তি করেন। তাহাতে দেবীবর ক্রুদ্ধ হইয়া বলিলেন,— “ক্রোধে বলে দেবীবর, কুল গেল রে গঙ্গাধর । রোযে বলে গঙ্গাধর, নিৰ্ব্বংশ বা দেবীবর ॥’ যাহা হউক, দেবীবর ব্যর্থমনোরথ হইয়া চলিয়। আসিলেন এবং তদবধি মেদিনীপুর জেলার তখনকার রাষ্ট্ৰীয় ব্রাহ্মণগণ ভিন্ন শ্রেণীভুক্ত হইয়া মধ্যশ্রেণী বলিয়া গণ্য হইলেন। মধ্যশ্রেণীর মধ্যে ভরদ্বাজ, কাশুপ, শাণ্ডিল্য, বাৎস্য, সাবর্ণ, ঘৃতকৌশিক, কৃষ্ণাত্রেয়, পরাশর ও গৌতম গোত্রই প্রধান । প্রেথম পঞ্চগোত্রের গাঞা আছে এবং কাহার ,স্তান তাহ। বলিতে পারেন। গাএী যথা—মুখট, বাড়ী, চাটুতি, গাঙ্গোলী, ডিগুিলাই, মাষচটক, চেীৎখওঁী, কাঞ্জিলাল, সাষ্টেশ্বরী, পারিহাল,পুতিতুও (টইয়) ও অন্ধুলি । শেষোক্ত গোত্রগুলির গাএী নাই এবং কাছার সস্তান, তাহাও বলিতে পারেন না । শেষোক্তগুলি বৈদিক । ইহাদের সমাজ ছয়ট—১ ভামুঘ্ন। ( ময়না-রাজবাটর নিকট ), ২ টাপাডালি ( কাশীজোড়া-রাজবাটীর নিকট ), ৩ গোকুলনগর ( নাড়াজোল-রাজবাটীর নিকট), ৪ ভোগদণ্ড ( কেদার পরগণায় ), t পীতপুর ( চাপাডালির নিকট ), ও ৬ মহারাজপুর ( ঘাটালের নিকট) । উপসমাজ দুইটা-খামাট ও মুয়াড়। ভামুয়া সমাজের আদি নৃসিংহ। এই সমাজের প্রধানগণ ময়নারাঞ্জের সভাপণ্ডিত, চাপাডালি সমাজের প্রধান কাশীজোড়া রাজের গুরু এবং পীতপুর সমাজের প্রধান কাশীজোড়ার সভাপণ্ডিত । e গঙ্গাধর ভট্ট ( মুখুটী গাঞি ) মধ্যশ্রেণীর সমাজ গঠন করেন, এ কারণ র্তাহার সস্তানবর্গের সমাজে সমধিক সম্মান । বাসিবিবাহের দিন গঙ্গাধরের পদে তৈল দিবার জন্তু তৈলহরিদ্র। পাঠাইবার ব্যবস্থা আছে। চাপাড়ালির কামদেব ভট্টাচাৰ্য্য দাণ্ড বাড়,য্যের ( দাশরথি বন্দ্যোর) সন্তান, ইনি বালিয়া গ্রাম হইতে চাপাড়ালি আগমন করেন। এখন ইহার বংশে ১৩শ পুরুষ হইয়াছে। গোকুলনগরের সামাজিকেরা তিকড় চট্টের সস্তান। অবসর্থীর সস্তান বলিয়াও পরিচিত। প্রথমে ইহাদের আদি পুরুষ ধনঞ্জয় পাটুলি হইতে রাণ, পরে রাণ্য হইতে গোকুলনগরে আসিয়া বাস করেন। ইহাদের এক শাখা মহারাজপুরে গিয়া বাস করিয়াছেন । ভোগদও-সমাজের ব্রাহ্মণেরও দl৩ বাড়,য্যের সস্তান ।