পাতা:বিশ্বকোষ চতুর্দশ খণ্ড.djvu/১০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- মনস - ------ ও ভোজী শক্তি লইয়া বুদ্ধি, স্বীয় গৱাক্ষৰ্বি শক্তি লইয় আত্মা । যাহারই মস্তক অাছে, তাহারই মন বা আত্মা আছে । ৰাহার মস্তক নাই, তাহার মন বা আত্মা মাই। মনোগোলোকের তারতম্য থাকাতে সকলের মন বা আত্ম সমান ক্ষমতাধারী নহে। পশু, পক্ষী প্রভৃতির মানসগোলক অপূর্ণ, সেইজন্ত তাহাদেরঞ্জন বা আত্মা অপূর্ণ। কীট-পতঙ্গাদির তদপেক্ষাও অপূর্ণ। অতএব আত্মা মন নামে ভিন্ন, বস্তুতঃ উহ। এক। সকল দর্শনশাস্ত্রেই এক ৰাক্যে এই মত খণ্ডিত হইয়াছে। মন জড়বস্তু, জড় স্বয়ং প্রেরিত হইতে পারে না । ইহার উত্ত্বরে কপিল বলেন,— মনকে আত্মা বলিয়া নিশ্চিন্ত থাকা মুমুক্ষুদিগের সঙ্গত নহে । ঋষির ধারণা, ধ্যান, সমাধি ও প্রজ্ঞ। উৎপাদন দ্বারা জানিয়া ছিলেন যে, আত্মা, নিত্য, শুদ্ধস্বভাব ও চিৎস্বরূপ । আত্মা ষে মন ও বুদ্ধি হইতে স্বতন্ত্র,তাহা মননশীল জ্ঞানিমনুষের অনুভবসিদ্ধ, এই অমুভবের প্রণালী এইরূপ মন যখন স্থিরভাবে আপনাকে দর্শন করে, তখন সে উপলব্ধি করে যে, আমি আত্মা নহি, আত্মার অধীন। আমি আত্মার ভৌগোপকরণমাত্র। আমি সক্রিয় ও সবিকার, আত্মা নিক্রিয় ও নিৰ্ব্বিকার। কোন ও কালে বা কোন অবস্থায় আত্মার বিকার দৃষ্ট হয় না। সংশয়, নিশ্চয়, বিপর্যায়, সন্ধান, নিৰ্ব্বাচন এই সকল মনেই হয়, আত্মা ঐ সকলের দর্শক বা সাক্ষিমাত্র । శ్లో মন যখন আপনার নির্ণয়ে বা নিৰ্ব্বাচনে প্রবৃত্ত হয়, তখন সে উক্ত প্রকারে আস্থা হইতে পৃথক হইয়া দাড়ায় । মন আত্মা হইতে পৃথক্ না হইয় আপনাকে নিৰ্ব্বাচন করিতে পারে না। একটু প্রণিধান করিলে স্পষ্টই দেখিতে পাওয়া যাইবে যে, জ্ঞান-ব্যবহার কিরূপ প্রণালী দ্বারা সম্পন্ন হয় । ‘আমার মন’ ব্যতীত “আমি মন’ একথা কেহ কথন বলে না, তদাকার জ্ঞানও হয় না । ‘আমার } মন” এই স্বতঃ উৎপন্ন জ্ঞানের ব্যবহারপরম্পর লক্ষ্য করিলে আয়ার সহিত মনের দ্রষ্ট শুভাব ব্যতীত ঐক্য সম্বন্ধ প্রকাশ পাইবে না। আত্মা দ্রষ্টা, মন দৃপ্ত। আয়ার সহিত মনের । ঘদি ঐৰূপ স্থিরতর সম্বন্ধ না থাকিত, তাছা হইলে মানুষ অৰশু কখন না কখন “আমার মন ইহার পরিবর্তে আমি মন’ এইরূপ বলিত। কিন্তু কেহ তাহা ত্ৰমেও বলে नt । এইজষ্ঠ বিশ্বাস করা উচিত যে, আত্মা মন নছে। " আরও বিবেচনা করিয়া দেখিলে, “আমার ইত্যাকার गोकांच्कअङाद्र बानदभtन छिब्र दिछमान यांtश् ७वt ठांशत्र সম্পূরণ নিমিত্ত অনেকগুলি বিশেষণ বা সম্বন্ধপূরক বস্তু তল্পি XᎻᎳ 翰 [ همه لا ] ՀՆ अनन् - কটে দেখিতে পাওয়া যায়। সেই কারণে সেই সাফাজবিজ্ঞাম এক সময়ে একরূপ থাকে না । ভিন্ন ভিন্ন সময়েও একরূপ था८क म । छिल्ल छिन्न नभ८ग्न छिन्न छिझ श्रोफोन्न दौघ्रण कटग्न । कश्न खांभब्रि भन, झषन भiमांद्र छॉम्, एषांभङ्गि यूतःि, खांषिtब्र হস্ত, আমার পদ ইত্যাকার একট একটা জ্ঞান বা বিশিষ্ট জ্ঞান প্রসব করে। কিন্তু যখন “আমি জ্ঞান জন্মে, তখন তাহাতে কোন প্রকায় আকাজ থাকে না। সেইজন্তু আমি এই আত্মসত্তাৰোধক জ্ঞাম নিয়াকাজ এবং তাহাতে কোন বিশেষণ বা সম্বন্ধপূরক বস্তুর সম্বর থাকে না। অতএব “আমি” স্বয়ং স্বতঃসিদ্ধ। অথচ আমি এই বোধট " মনের চির নিরূঢ় ও স্বতঃ সিদ্ধ ভাবৰিশেষ । এইজন্স উহা বৃত্তি । আত্মা চৈতন্যরূপী, মন জড়রূপী। চৈতন্তের স্বভাব প্রকাশ, জড়ের স্বভাৰ অপ্রকাশ । মন যে জড় ৰ অপ্রকাশস্বভাব তাহা অমুভব ও যুক্তিসিদ্ধ। মম যদি আত্মার ম্ভার প্রকাশস্বভাব হুইত, তাহা হইলে মানব মুঘুপ্তি, মুচ্ছ ও মুগ্ধাদি অবস্থা প্রাপ্ত হইত না । কেননা স্বভাবের কদাচ অস্তথা হয় না। উষ্ণতা নাই, অথচ অগ্নি আছে, এরূপ হয় না। অতএব স্বপ্তি-মুচ্ছাদি মানস-অপ্রকাশ অবস্থা দেখিয় মনের জড়ত্ব অবাধে নির্ণীত হইতে পারে। ইহাতে আপত্তি হইতে পারে এই যে, আত্মাকে প্রকাশ রূপী বলিলেও সেই ফল। মুপ্তি মুচ্ছ প্রভৃতি অপ্রকাশ অবস্থা দেখিয়া যেমন মনের অপ্রকাশত অবধারণ কর, তেমনি আত্মারও জড়ত্ব অবধারণ করিতে পার। ইহার উত্তরে কপিল বলেন, একথা সঙ্গত নহে, কারণ অ:স্থার প্রকাশস্বভাব কোনও সময়ে তিরোহিত হয় লা । ইহাতে বিশেষ এই যে, সংযুক্ত-আত্মায় মনের প্রকাশ দ্বিগুণিত। যেমন দিবসে গৃহভিত্তিতে যে আলোক থাকে, স্বচ্ছুকাচ দ্বারা যখন বাহিরের আলোক তাহাতে প্রতিক্ষেপ করা যায়, তখন সেই ভিত্তিস্থ সাধারণ আলোক দ্বিগুণিত হইয়া উঠে । এই দ্বিগুণিত আলোক অতি তীব্র ও অত্যধিক উজ্জল । তদ্রুপ মনঃসংযোগকালের প্রকাশ দ্বিগুণিত । দ্বিগুণিত বলিয়। জাগ্রৎকালের চৈতন্ত্র অধিক বিস্পষ্ট, অর্থাৎ জজিল্যমান । কাচস্থানীয় মন যখন তমোগুণোদ্রেকবশতঃ মলিন থাকে, তখন , আত্মপ্রকাশের প্রতিবিম্বগ্রহণে অক্ষম। তখন আত্মার প্রকাশ বিলুপ্ত প্রায় বা অল্পত প্রাপ্ত হয় । , তাহাই স্বযুপ্তি ও মুছদি কালের এক গুণ প্রকাশ। জাগ্ৰংকালের দ্বিগুণিভ প্রকাশ তখন কfময়া গিয়া এইগুণিত হয়, সুতরাং আমরা বলিয়া থাকি মুচ্চ ও স্বপ্তিকালে জ্ঞান থাকে ন, কিন্তু তখনও আত্মা একগুণিতপ্রকাশে বিরাজিত থাকেন ।