পাতা:বিশ্বকোষ চতুর্দশ খণ্ড.djvu/৬৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মালদ্বীপ কসমস (Cosmos ) ষষ্ঠ শতাব্দীতেও এই সকল দ্বীপাবলীর উল্লেখ করিয়াছেন। সলিমান (Sullituan) ৯ম শতাব্দীতে লিখিয়াছেন যে, এই সমস্ত দ্বীপ তথাকার এক সম্রাজ্ঞীর শাসনাধীনে ছিল। ১১শ শতাব্দীতে আল বিরুণি এই সমস্ত দ্বীপের উল্লেখ কালে কড়ির ব্যবসা সম্বন্ধে অনেক কথা লিখিয়া গিয়াছেন । মিঃ গ্রে মালদ্বীপবাসিগণের আচারব্যবহার পর্য্যালোচনা করিয়৷ লিখিয়াছেন, প্রাচীনকালে মালদ্বীপবাসীরা যে দানবপুজক ছিল, তাহার মুস্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায় । অনেক স্থলে বৌদ্ধধৰ্ম্মের ও নিদর্শন দেখা গিয়াছে । ৪০ • বৎসর মাত্র তাহারা ; মুসলমান-ধৰ্ম্ম গ্রহণ করিয়াছে। যে মুসলমান-প্রচারক সৰ্ব্বপ্রথমে এখানে ধৰ্ম্ম প্রচার করেন, র্তাহার সমাধিস্থান মালিদ্বীপে বিদ্যমান আছে । অধিবাসীর অত্যন্ত ভক্তির সহিত ঐ স্থান দর্শন করিয়া থাকে। মালদ্বীপে “বুদ্ধ” শব্দে প্রতিমা বুঝায়। মন্দিরকে ‘বৌদখানা’ কহে । বোধ হয়, উহ! বৌদ্ধ শব্দের অপভ্রংশ হইবে । এইরূপ প্রবাদ অাছে যে, একজন সমুদ্রবাসী দৈত্য মালদ্বীপবাসন কুমারাদিগের উপর । অত্যন্ত অত্যাচার করি ত এবং তাহ দগকে অপহরণ করিয়া লইয়া যাইত। মান্ত্রেবিন আবুল বেরাকাত নামক এক মুসলমান-প্রচারক কোরাণের ঐন্দ্র জালিক শক্তিতে সেই দৈত্যকে মন্ত্ৰমুগ্ধ করিয়া বিদূরিত করেন।’ মালদ্বীপবাসিগণ অনেকাংশে সভ্যতা শিক্ষা করিয়াছে। ! তাহারা ভারতবর্ষের মধ্যে ধঙ্গদেশ, চট্টগ্রাম, মলবার উপকুল এবং সিংহলের সহিত বাণিজ্য করিয়া থাকে। তাহারা নাবি কৰিস্কায় সাতিশয় নিপুণ । মালদ্বীপে উক্ত শাস্ত্র শিখাইবার জন্ত ক একটী বিদ্যালয় অাছে। অধিবাসীরা অতি নিরীহ এবং শাস্তপ্রকৃতি । সভ্যজগতে যে দোষ দেখা যায়, এখানে তাহার কিছুই নাই । নরহত্যাদি এবং তস্করতাদি অপরাধ তথায় এখনও শ্রীতিতে বিদ্যমান। তাহারা মাদক দ্রব্য ব্যবহার কয়ে না । অধিবাসিগণ গাঢ় তাম্রবর্ণ এবং খৰ্ব্বাকৃতি । কোন কোন স্থলে নিগ্রোজাতির সংস্রবদোষ দৃষ্ট হয়। স্ত্রীলোকের স্বত্র নহে, কিন্তু অতি ভীরুপ্রকৃতি। সভ্যতার শক্তির বহিভাগে অনস্তলবণাম্বুপূর্ণ ক্ষুদ্র ভূখণ্ডে বাস করিম তাহারা মগ্নপোত বৈদেশিক নাবিকদিগের প্রতি স্বেরূপ অঙিখিবাৎসল্য প্রদর্শন করে, তাহ। সভ্যতাভিমানী সদাচায়গব্বিত স্থলভ্য মনুষ্য মধ্যে ও দৃষ্ট হয় না। ’ বছলংখ্যক অর্ণবপোত এই স্থানে জলমগ্ন হুইয়াছে। avan g: w: fost" (Leffy),»v no q: s: from (Sea-gall) ও ১৮৮• খুঃ অঃ কনসেট ( Consert ) নামক স্ব প্রসিদ্ধ অর্ণব 1 ہویا یہ ] মালদ্বীপ --- পোত সকল এই স্থলে জলমগ্ন ছয় । এখন নানা কারণে বর্তমান সুলতানের ধারণা হইয়াছে যে, মগ্ন জাহাজের উপর জীবিত নাবিকগণের স্বত্ব নাই। এইজন্তু সুলতানের অনুমতি ব্যতীত কেহ জাহাজ-উদ্ধরণে সাহায্য করিতে পারে না । এখানকার উৎপন্ন সামগ্রীর মধ্যে নারিকেলই সৰ্ব্বাপেক্ষা প্রধান। পথপাশ্বে শ্রেণীবদ্ধ নারিকেলবৃক্ষ রোপিত হয় । তালও প্রচুর পরিমাণে জন্মে। ঐ সমস্ত বৃক্ষ ৬০৭• ফাত উচ্চ হইয়া থাকে । অন্তাপ্ত ফলও অল্পাধিক পরিমাণে পাওয়া যায়। ভুট্ট ও তুলা কোন কোন স্থানে উৎপন্ন হয়, অগণিত কড়িস্তপ উপকুল ভাগে দৃষ্ট হয়। কড়িই দ্বীপবাসীদিগের প্রচলিত মুদ্র । মৎস্তই এখানকার প্রধান খাদ্য এবং বাণিজ্যদ্রব্য। বনিতে নামক মৎস্ত প্রচুর পরিমাণে দৃষ্ট হয় । একজন মৎস্তজীবী প্রত্যহ ১• • • মৎস্ত ধরিতে পারে। সমস্ত দ্বীপগুলির উৎপন্ন দ্রব্য মালিদ্বীপে প্রেরিত হয়, পরে তথ৷ হইতে ভারতের নানাস্থানে রপ্তানি হইয়া থাকে। লোণ ও শুষ্কমৎস্ত, নারিকেল, নারিকেলতৈল, বিচিত্র কারুকাযjযুক্ত মাছুর, প্রবাল, কচ্ছপের অষ্টি, এবং কড়িহ প্রধান বাণ । বৈদেশিক বণিকৃগণ প্রতিবৎসর ফাল্গুন মাসে এখানে নান; প্রকার শস্ত, রেশম, তামাক, লবণ, চাউল, বস্ত্র, সুত, চীনের বাসন, লৌহ ও পিত্তলনিৰ্ম্মিত তৈজসাদি লইয়। আসে এবং আশ্বিন মাস পর্য্যস্ত অপেক্ষা করিয়! উৎপন্ন দ্রব্যাদি ংগ্ৰহ করিয়া থাকে । দ্বীপপুঞ্জগুলি একজন সুলতান দ্বারা শাসিত হয় । তাহার পুত্রপৌত্রাদি উত্তরাধিকারসূত্রে রাজ্য প্রাপ্ত হয় । স্বলতানের অধীনে ছয় জন মন্ত্রী আছেন । প্রধান মন্ত্রীকে দুরিামন্দ কহে । তিনিই আবার প্রধান সেন্মুতি। সুলতানের নিয়েই প্রধান মন্ত্রীর ক্ষমতা, কারণ তিনি ধৰ্ম্মাধ্যক্ষ এরং প্রধান বিচারপতি। এই রূপে কোষাধ্যক্ষ, বন্দরাধ্যক্ষ প্রভৃতি অন্তান্ত মন্ত্রী আছেন । এই সমস্ত রাপ কৰ্ম্মচারিবৃন্দ সুলতানের অট্টালিকার নিকটেই বাস করেন। বৈদেশিক বণিকৃগণ রাজধানী ব্যতীত অন্তর দ্রব্যাদি ক্রয় করিতে পারেন ন। ভারতবর্ষের প্রচলিত মুদ্র তথায় ব্যবহৃত হয়। এক টাকায় ১২০০০ কড়ি পাওয়া যায়। ১৭৯৬ খৃঃ অব্দে ইংল্পাজের সিংহল অধিকার করিয়াছেন । তদবধি মালদ্বীপের মুলতান ইচ্ছাপূৰ্ব্বক প্রতিবৎসর ইংরাজদিগকে কল্প দিয়া থাকেন । সুলতানের নিকট হইতে রাজদূত উপঢৌকন গইয়। প্রতিবৎসর কলম্বে; নগরে আসিয়া থাকেন । উপকূল হইতে গবৰ্ণমেণ্ট-প্রাসাদ পৰ্য্যস্ত তাহার অভিনন্দন অতি সমায়োছে সম্পন্ন হইয়া থাকে। মালদ্বীপের প্রচলিs