পাতা:ইন্দ্রচন্দ্র.pdf/১১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১১৪ ड्रेट्झकठप्त । শুনিয়া ইন্দ্রচন্দ্রের মন পুর্ব্বাপেক্ষা আরও খারাপ হইল ; সঙ্গে সঙ্গে মাষ্ট্রার মহাশয়ের উপর রাগও বৃদ্ধি হইল। ইন্দ্র চন্দ্র প্রকাশ্র্য ভাবে মাষ্টার মহাশয়ের উপর দুর্ব্যবহার করিতে লাগিলেন ; মাষ্টার মহাশয়ও তাহার কতক কতক বুঝিতে পারলেন । এদিকে চট্টোপাধ্যায় মহাশয়ের বয়স বড় কম হয় নাই ; তবে যে এতদিন উঠিয়া হার্টিয়া বেড়াইতে ছিলেন সে কেবল আফিমের জোরে । যে সময়ের কথা বলিতেছি সেই সময়ে বাঙ্গtল ম্যালেরিয়ার প্রথম প্রাদুর্ভাব ; চট্টোপাধ্যায় মহাশয় সেই ভয়ানক ম্যালেরিয়া জ্বরে আক্রান্ত হইলেন, সঙ্গে সঙ্গে পেট ভাঙ্গিয়া দিল । আফিম থোরের পেট ভাঙ্গিলে তার প্রায় রক্ষা হয় না ; এখানেও তাঁহাই হইল । একদিন সন্ধ্যাকালে * অস্তুে গঙ্গা নারায়ণ ব্রহ্ম’’ বলিতে বলিতে জমিদার চন্দ্র শিখর চট্টোপাধ্যায় মহাশয় তুলসী তলায় শয়ন করিলেন । এতদিন ইন্দ্র চন্দ্র পর্ব্বতের অন্তরালে থাকিয় অকস্মাৎ অদ্য চতুদিক শুষ্ঠ দেখিলেন । পৌরজনের ক্রন্দন করিতে লাগিল, ইন্দ্রচন্দ্র পিতার জন্ত আছাড় ; কাছাড় করিয়া কঁাfদতে লাগিcলন, দাস দাসী, অমিলা প্রভৃতি ভূত্য বর্গের হা হুতাল করিতে লাগিল । সংবাদ পাইবা মাত্র ইন্দ্র চন্দ্রের শ্বশ্রী হরকালি মুথোপাধ্যায় মহাশয় জামাতাকে সাস্তন করিবার জন্য উপস্থিত ইহলেন, ইন্দ্রচন্দ্রকে “সকলেরই এমন তর হয় বাপু, আমাদের ও বাপ মরেচে, তার তার কি করবে বল ; একদিন সকলেরি ঐ পথ, তবে একটু অগ্র পশ্চাৎ ” ইত্যাদি সাস্বনা বাক্য দ্বারা বুঝাইতেন । পাড়া প্রতিবাসীগণ অনেকেই উপস্থিত হইয়া ‘আল্লাহ। আজ একটা ইন্ত্রপাত হলে ; গ্রামটা অtধার হলো ইত্যাদি বঁtধাবোল বলিতে লাগিলেন ।