পাতা:ইন্দ্রচন্দ্র.pdf/১১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টাদশ পরিচ্ছেদ । * > を ক্রমে শোকের স্রোত কমিয় আসিতে লাগিল আর সেই সঙ্গে শব লইয়া যাইবার এবং মুখ অগ্নি করিবার পরামর্শ চলিল । এখানে পাঁচজন দাড়াইয় ফুস ফাস করিতেছেন, ওখানে তিনজন দাড়াইয় গুজু গাজু করিতেছেন, আর “ওরে কলকেট বোদলে দে বাবা’ বলিয়া ডাক পাড়িতেছেন । ব্রাহ্মণের শব ব্রাহ্মণ ব্যতীত অপরে স্পর্শ করিবার উপায় নাই এইজন্য মুখোপাণ্যায় মহাশয়ের গ্রামস্থ আত্মীয় স্ব জনের বাটীতে সংবাদ পাঠান হইল বটে কিন্তু ফল কিছুষ্ট হইল না । কেহ বলিয়! পাঠাইলেন “আমার স্ত্রী অস্তঃস্বত্ত্বা, আমি মড় ছোব না", কেহ বা শব স্পর্শ করিবার ভয়ে বাটাতে থাকিয়াও অপরের দ্বারা বলা ইলেন যে, “তিনি বাটীতে নাই ।” আত্মীয়ের আসিল না দেখিয়। গ্রামস্থ ব্রাহ্মণ প্রজা চট্টোপাধ্যায় মহাশয়ের জীবদ্দশায় যাহাদের “পোহাবার তের, ছয় তিন নয়, দশ ছয় ষোল’ ইত্যাদি পাশা খেলার হুঙ্কারে বৈঠকখান। কম্পিত হইল ; তামাকের ধূম সন্ধিপুঞ্জাকে হারি মানাইত ; তাহাদের সংবাদ দেওয়া হইল । কিন্তু সে দুদিনে কেহই আসিলেন না । মড়া ছুইবার ভয়ে আজ সকলেই দ্বার বন্ধ করিয়া বসিয়া আছেন । যেন তাহার। কখন মড়া হইবেন না বা তাহদের বাপ চোঁদপুরুষ কখন মড়া হন নাই । বাহা হউক অনেক কষ্টে শব বহন করিবার জন্ত কয়েক জন লোক সংগৃহীত হইল কিন্তু আর এক গোল উপস্থিত হুইল মুখ অগ্নি করিবে কে ? অনেকে বলিলেন “ইন্দ্রচন্দ্র পোষ্যপুঞ্জ, সেই মুখ অগ্নি করিবে” অনেকে বলিলেন “এখন পুত্রেষ্ঠী যাগ করা হয় নাই এই জন্ত ইন্দ্রচন্দ্রকে অগ্নি অশে নাই ৷’’ শেধ পুরোহিত মহাশয়কে সংবাদ পাঠান হইল ; তিনি ব্যবস্থা দিলেন