বাবাজী। (স্বগত) এই তো সিক্দার পাড়ার গলি, তা কই? নব বাবুর সভাভবন কই? রাধেকৃষ্ণ। (পরিক্রমণ)। তা, দেখি, এই বাড়ীটাই বুঝি হবে। (দ্বারে আঘাত)
নেপথ্যে। তুমি কে গা? কাকে খুঁজ্চো গা?”
বাবাজী! ওগো, এই কি জ্ঞানতরঙ্গিণীসভার বাড়ী?
নেপথ্যে। ও পুঁটী দেক্তো লা, কোন্ বেটা মাতাল এসে বুঝি দরজায় ঘা মাচ্চে? ওর মাথায় খানিক জল ঢেলে দে তো।
বাবাজী। (স্বগত) প্রভো, তোমারি ইচ্ছে। হায়, এত দিনের পর কি মাতাল হলেম্!
নেপথ্যে। তুই বেটা কে রে? পালা, নইলে এখনি চৌকীদার ডেকে দেবো।
বাবাজী। (বেগে পরিক্রমণ করিয়া সরোষে) কি আপদ। রাধেকৃষ্ণ! কর্ত্ত মহাশয়ের কি আর লোক ছিল না, যে তিনি আমাকেই এ কর্ম্মে পাঠালেন? (পরিক্রমণ)। এই দেখ্চি একজন ভদ্রলোক এ দিকে আস্চে, তা একেই কেন জিজ্ঞাসা করিনে।
মাতাল। (বাবাজীকে অবলোকন করিয়া) ওগো, এখানে কোথা যাত্রা হচ্চে গা?
বাবাজী। তা বাবু, আমি কেমন করে বল্বো?
মাতাল। সে কি গো? তুমি না সং সেজেচ?
বাবাজী। রাধেকৃষ্ণ!