বাবাজী। (নিকটে আসিয়া) ওগো, তোমরা বলতে পার, এখানে জ্ঞানতরঙ্গিনী সভা কোথা?
দ্বিতীয়। তরঙ্গিণী আবার কে? (থাকি ধারণ করা হাস্য)। বাবাজী, তরঙ্গিণী তোমার বষ্টুমীর নাম বুঝি?
প্রথম। আহা, বাবাজী, তোমার কি বষ্ট্মী হারয়েচে? তা পথে পথে কেঁদে বেড়ালে কি হবে? যা হবার তা হয়েচে, কি করবে ভাই? এখন আমাদের সঙ্গে আসবে তো বল?—কেমন বামা, ভেক নিতে পারবি?
দ্বিতীয়। কেন পারব না? পাঁচসিকে পেলিই পারি। কি বল, বাবাজী।
প্রথম। বাবাজী আর বলবেন কি? চল্ আমরা বাবাজীকে হরিবোল দিয়ে নিয়ে যাই। বল হরি, হরিবোল।
বাবাজী। (স্বগত) কি বিপদ্! রাধেকৃষ্ণ। (প্রকাশে) না বাছা, তোমরা যাও, আমার ঘাট্ হয়েছে।
দ্বিতীয়। হ্যেঁ, আমরা যাব বই কি? তোমার তো সেই তরঙ্গিণী বই আর মন উঠবে না? তা, আমরা যাই, আর তুমি এইখানে দাঁড়্য়ে দাঁড়য়ে কাঁদ। (বাবাজীর মুখের নিকট হস্ত নাড়িয়া) “সাধের বষ্টুমী প্রাণ হারয়েছে আমার”।
বাবাজী। আঃ, কি উৎপাৎ! এত যন্ত্রণাও জাজ কপালে ছিল!—কোথাই বা সভা আর কোথাই বা কি? লাভের মধ্যে কেবল আমারি যন্ত্রণ সার। (পরিক্রমণ করিয়া) যদি আবার ফিরে যাই তা হলে কর্ত্তাটী রাগ করবেন আমি যে ঘোর দায়ে পড়লেম্! এখন করি কি? (চিন্তাভাবে অবস্থিতি, পরে সম্মুখে অবলোকর করিয়া) হ্যেঁ, ভাল হয়েচে, এই একটা মুস্কিলআসান আস্চে, ওর পিছনের আলোয় আলোয় এই বেলা প্রস্থান করি—না—