পাতা:আধুনিক সাহিত্য-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আধুনিক সাহিত্য
৪৭

সাজিয়ে মুকুলে ফুলে
আহ্লাদেতে হেলে-দুলে
চৌদিকে নিকুঞ্জলতা নাচে মনােহর।
সে আনন্দে আনন্দিনী
উথলিয়ে মন্দাকিনী
করি করি কলধ্বনি বহে কুতুহলে।’

 এইরূপ বিষাদ বিরহ সংশয়ের পর কবি হিমালয়শিখরে প্রণয়িনী দেবীর সহিত আনন্দমিলনের চিত্র আঁকিয়া গ্রন্থ শেষ করিয়াছেন। আরম্ভ-অংশ ব্যতীত হিমালয়ের বর্ণনা প্রশংসার যােগ্য নহে, সেই বর্ণনা বাদ দিয়া অবশিষ্ট অংশ উদ্ধৃত করি—

‘উদার উদারতর
দাঁড়ায়ে শিখর-পর
এই-যে হৃদয়রাণী ত্রিদিবসুষমা।
এ নিসর্গ-বঙ্গভূমি,
মনােরমা নটী তুমি,
শােভার সাগরে এক শােভা নিরুপমা;
আননে বচন নাই,
নয়নে পলক নাই,
কান নাই মন নাই আমার কথায়—
মুখখানি হাস-হাস,
আলুথালু বেশবাস,
আলুথালু কেশপাশ বাতাসে লুটায়।
না জানি কি অভিনব
খুলিয়ে গিয়েছে ভব
আজি ও বিহ্বল মত্ত প্রফুল্ল নয়নে!