পাতা:আধুনিক সাহিত্য-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বিহারীলাল
৩৭

সম্বোধন করিয়া বলিয়াছেন—

'Spirit of Beauty, that dost consecrate
With thine own hues all thou dost shine upon
Of human thought or form.'

যাহাকে বলিয়াছেন—

'Thou messenger of sympathies,
That wax and wane in lovers' eyes.'

সেই দেবীই বিহারীলালের সরস্বতী।

 সারদামঙ্গলের আরম্ভের চারি শ্লোকে কবি সেই সারদাদেবীকে মূর্তিমতী করিয়া বন্দনা করিয়াছেন। তৎপরে বাল্মীকির তপোবনে সেই করুণারূপিণী দেবীর কিরূপে আবির্ভাব হইল, কবি তাহা বর্ণনা করিতেছেন। পাঠকের নেত্রসম্মুখে দৃশ্যপট যখন উঠিল তখন তপোবনে অন্ধকার রাত্রি।

‘নাহি চন্দ্র সূর্য তারা
অনল-হিল্লোল-ধারা

বিচিত্র-বিদ্যুতদাম-দ্যুতি ঝলমল।

তিমিরে নিমগ্ন ভব,
নীরব নিস্তব্ধ সব,

কেবল মরুতরাশি করে কোলাহল।’

এমন সময়ে উষার উদয় হইল।—

‘হিমাদ্রিশিখর-'পরে
আচম্বিতে আলাে করে
অপরূপ জ্যোতি ওই পুণ্য-তপােবন।
বিকচ নয়নে চেয়ে
হাসিছে দুধের মেয়ে—