পাতা:আধুনিক সাহিত্য-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৬৪
আধুনিক সাহিত্য

অবশেষে তাহার ভবিষ্যতের দিকে চাহিয়া দেখিলেন ও কহিলেন—

Live, and be happy, in thyself, and serve
This mortal race thy kin so well, that men
May bless thee as we bless thee, O young life,
Breaking with laughter from the dark; and may
The fated channel where thy motion lives
Be prosperously shaped, and sway thy course
Along the years of haste and random youth
Unshattered; then full current thro' full man;
And last in kindly curves, with gentlest fall,
By quiet fields, a slowly dying power,
To that last deep where we and thou are still.

এখন আর সে নিতান্তই তাঁহাদের নহে। এখন তাহার নিজত্ব বিকশিত হইয়াছে। এখন তাহার নিজের কাজ আছে। কবি তাহার মর্তজীবনের তিনটি অবস্থা সমালোচনা করিয়াছেন। প্রথমে মর্তজীবনের আদিকারণ আলোচনা করিলেন, পরে তাহার জন্ম অর্থাৎ মনুষ্যশরীরধারণ আলোচনা করিলেন ও পরে তাহার পার্থিব জীবন আলোচনা করিলেন। এইখানেই সমস্ত ফুরাইল। প্রথম সম্ভাষণ শেষ হইল। এই সম্ভাষণে কবি একটি মর্তের মানুষকে সম্ভাষণ করিয়াছেন। যতক্ষণ সে মনুষ্য ততক্ষণ সে তাঁহার। তাঁহাকে সমর্পণ করিবার জন্যই অতীত ইহাকে গড়িয়াছে। গঠিত অবস্থায় দেখিলেন সে তাঁহারই মতো।

 যাহা হউক, এইখানেই সমস্ত শেষ হইয়া যায়; জীবন আরম্ভ হইল, জীবন শেষও হইল। তখন জীবনের সমাপ্তির উপর কবি দাড়াইয়া দুর-দুরান্তরে দৃষ্টি চালনা করিলেন। দেখিলেন, জীবন শেষ হইল, তাঁহার