পাতা:জাপানে-পারস্যে-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
১৭২
জাপানে-পারস্যে

 পারস্য যে অন্তরে অন্তরে এক, তার প্রধান একটা প্রমাণ তার শিল্পের ইতিহাসে দেখতে পাওয়া যায়। আকেমনীয় যুগে পারস্যে যে স্থাপত্য ও ভাস্কর্য উদ্ভাবিত হল তার মধ্যে আসীরিয়, ব্যাবিলনীয় ঈজিপটীয় প্রভাবের প্রমাণ আছে। এমন কি তখনকার প্রাসাদনির্মাণ প্রভৃতি কাজে বিপুল সাম্রাজ্যভুক্ত নানাদেশীয় কারিগর নিযুক্ত হয়েছিল। কিন্তু সেই বিচিত্র প্রভাববিশিষ্ট ঐক্য লাভ করেছিল পারসীক চিত্তের দ্বারা। রজার ফ্রাই এ সম্বন্ধে যে কথা বলেছেন এখানে উদ্ধৃত করি:

 This extreme adaptability is, I think, a constant trait in Persian art. ••• •• We tend, perhaps, at the present time to exaggerate the importance of originality in an art; we admire in it the expression of an independent and self-contained people, forgetting that originality may arise from a want of flexibility in the artist's make-up as well as from a new imaginative outlook.

 নানা প্রভাব চারিদিক থেকে আসে, জড়বুদ্ধি তাকে ঠেকিয়ে রাখে, সচেতন বুদ্ধি তাকে গ্রহণ করে আপনার মধ্যে তাকে ঐক্য দেয়। নিজের মধ্যে একটা প্রাণবান ঐক্যতত্ত্ব থাকলে বাইরের বহুকে মানুষ। একে পরিণত করে নিতে পারে। পারস্য তার ইতিহাসে তার আর্টে বাইরের অভ্যাগমকে আপন অঙ্গীভূত করে নিয়েছে।

 পারস্যের ইতিহাস ক্ষেত্রে একদিন যখন আরব এল তখন অতি অকস্মাৎ তার প্রকৃতিতে একটা মূলগত পরিবর্তন ঘটল। এ-কথা মনে রাখা দরকার যে বলপূর্বক ধর্ম দীক্ষা দেওয়ার রীতি তখনো আরব গ্রহণ করে নি। আরব শাসনের আরম্ভকালে পারস্যে নানা সম্প্রদায়ের লোক