পাতা:কাব্যগ্রন্থ (পঞ্চম খণ্ড).pdf/১০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মালিনী

মালিনী


আজি মাের মনে হয়
অমৃতের পাত্র যেন আমার হৃদয়—
যেন সে মিটাতে পারে এ বিশ্বের ক্ষুধা
যত দুঃখ যেথা আছে সকলের পরে
অনন্ত প্রবাহে।–দেখ দেখ নীলাম্বরে
মেঘ কেটে গিয়ে চাঁদ পেয়েছে প্রকাশ।
কি বৃহৎ লােকালয়—কি শান্ত আকাশ-
একজ্যোৎস্না বিস্তারিয়া সমস্ত জগৎ
কে নিল কুড়ায়ে বক্ষে —ওই রাজপথ,
ওই গৃহশ্রেণী, ওই উদার মন্দির-
স্তব্ধচ্ছায়া তরুরাজি—দূরে নদীতীর,
বাজিছে পূজার ঘণ্টা—আশ্চর্য্য পুলকে
পূরিছে আমার অঙ্গ— -জল আসে চোখে,
কোথা হ'তে এমু আমি আজি জ্যোৎস্নালােকে
তােমাদের এ বিস্তীর্ণ সর্বজনলােকে।

চারুদত্ত


তুমি বিশ্বদেবী।

সােমাচার্য্য


   ধিক্ পাপ রসনায়!
শত ভাগে ফাটিয়া গেল না বেদনায়,—
চাহিল তােমার নির্ব্বাসন!

৯৩