এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
কর্ণ-কুন্তী-সংবাদ
কুন্তী
ধৈর্য্য ধর
ওরে বৎস, ক্ষণকাল। দেব দিবাকর
আগে যাক অস্তাচলে। সন্ধ্যার তিমির
আসুক নিবিড় হ'য়ে।—কহি তােরে বীর
কুন্তী আমি।
কর্ণ
তুমি কুন্তী! অৰ্জ্জুন-জননী!
কুন্তী
অৰ্জ্জুন-জননী বটে! তাই মনে গণি’
দ্বেষ করিয়াে না বৎস! আজো মনে পড়ে
অস্ত্র-পরীক্ষার দিন হস্তিনানগরে।
তুমি ধীরে প্রবেশিলে তরুণকুমার
রঙ্গস্থলে, নক্ষত্রখচিত পূর্ব্বাশার
প্রান্তদেশে নবােদিত অরুণের মত।
যবনিকা-অন্তরালে নারী ছিল যত
তা'র মধ্যে বাক্যহীনা কে সে অভাগিনী
অতৃপ্ত স্নেহ-ক্ষুধার সহস্র নাগিনী
জাগায়ে জর্জ্জর বক্ষে; কাহার নয়ন
তােমার সর্ব্বাঙ্গে দিল আশিষ-চুম্বন?
২২১