পাতা:কাব্যগ্রন্থ (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/২২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূৰ্ব্বপ্রান্তে বনশিরে সূর্য্যোদয় ধীরে ধীরে, চারিদিকে পাখীর কুজন ; শঙ্খ ঘণ্টা ক্ষণ পরে দূর মন্দিরের ঘরে প্রচারিছে শিবের পুজন। যে প্রত্যুষে মধু মাছি বাহিরায় মধু যাচি কুসুম-কুঞ্জের দ্বারে দ্বারে, সেই ভোর বেল; আমি মানস-কুহরে নামি” আয়োজন করি লিখিবারে । লিখিতে লিখিতে মাঝে পার্থী-গান কানে বাজে মনে আনে কাল পুরাতন , ওই গান, ওই ছবি, তরুশিরে রাঙা-ছবি ওরা প্রকৃতির নিত্য ধন । আদিকবি বাল্মীকিরে এই সমীরণ ধীরে ভক্তিভরে করেছে বীজন, ওই মায়া চিত্রবৎ তরু-লতা ছায়া-পথ ছিল তার পুণ্য তপোবন । রাজধানী কলিকাতা তুলেছে স্পৰ্দ্ধিত মাথা, পুরাতন নাহি ঘেসে কাছে । কাষ্ঠ লোষ্ট্র চারিদিক ; বৰ্ত্তমান আধুনিক আড়ষ্ট হইয়া যেন আছে । “আজ” “কাল” দুটি ভাই মরিতেছে জন্মিয়াই, কলরব করিতেছে কত । নিশিদিন ধূলি পড়ে দিতেছে আচ্ছন্ন করে” চির-সত্য আছে যেথা যত ।