পাতা:কাব্যগ্রন্থ (তৃতীয় খণ্ড).pdf/৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সোনার তরী বাতাসে দুলিছে যেন শীর্ষ-সমেত । কেহ শ্রুতি, কেহ স্মৃতি, কেহ বা পুরাণ, কেহ ব্যাকরণ দেখে, কেহ অভিধান ; কোনোখানে নাহি পায় অর্থ কোনোরূপ, বেড়ে ওঠে অনুস্বর বিসর্গের স্তপ | চুপ করে বসে থাকে বিষম সঙ্কট, থেকে থেকে হেঁকে ওঠে—“হিং টিং ছট্‌ !” স্বপ্নমঙ্গলের কথা অমৃতসমান, গোঁড়ানন্দ কবি ভণে, শুনে পুণ্যবান । কহিলেন হতাশ্বাস হবুচন্দ্র রাজ— ম্লেচ্ছদেশে আছে নাকি পণ্ডিতসমাজ ! তাহাদের ডেকে আন যে যেখানে আছে— অর্থ যদি ধরা পড়ে তাহাদের কাছে — কটাচুল নীলচক্ষু কপিশ কপোল, যবন পণ্ডিত আসে, বাজে ঢাক ঢোল। গায়ে কালো মোটা মোট ছাটাছোট কুৰ্ত্তি, গ্রীষ্মতাপে উষ্মা বাড়ে, ভারি উগ্ৰমূৰ্ত্তি। ভূমিকা না করি কিছু ঘড়ি খুলি কয়— “সতেরো মিনিট মাত্র রয়েছে সময়, 8 o