পাতা:কাব্যগ্রন্থ (তৃতীয় খণ্ড).pdf/১১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সোনার তরী লজ্জামুকুলিত মুখে রক্তিম অম্বরে বধু হয়ে প্রবেশিলে চিনদিনতরে আমার অন্তরগুহে—যে গুপ্ত আলয়ে অন্তর্যামী জেগে অাছে সুখদুঃখ লয়ে’, যেখানে আমার যত লজ্জাঅাশাভয় সদা কম্পমান, পরশ নাহিক সয় এত সুকুমার। ছিলে খেলার সঙ্গিনী এখন হয়েছ মোর মৰ্ম্মের গেহিনী, জীবনের অধিষ্ঠাত্রী দেবী । কোথা সেই অমূলক হাসিঅশ্র, সে চাঞ্চল্য নেই, সে বাহুল্য কথা । স্নিগ্ধদৃষ্টি সুগম্ভীর স্বচ্ছনীলাম্বরসম ; হাসিখানি স্থির অশ্রুশিশিরেতে ধৌত ; পরিপূর্ণ দেহ মঞ্জরিত বল্লরীর মত ; প্রীতিস্নেহ গভীর সঙ্গীততানে উঠিছে ধবনিয়া স্বর্ণ বীণা-তন্ত্রী হ’তে রনিয়া রনিয়া অনন্ত বেদনা বহি । সে অবধি প্রিয়ে, রয়েছি বিস্মিত হ’য়ে তোমারে চাহিয়ে কোথাও না পাই অন্ত । কোন বিশ্বপার আছে তব জন্মভূমি ? সঙ্গীত তোমার কত দূরে নিয়ে যাবে, কোন কল্পলোকে আমারে করিবে বন্দী, গানের পুলকে У о о