পাতা:কাব্যগ্রন্থ (তৃতীয় খণ্ড).pdf/৩৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চিত্রা শুধু এক সখী দেখাইল পথ হাতে ল’য়ে দীপখানি,— মোরা দোহে পিছে চলিমু তাহার, কারো মুখে নাহি বাণী । কত না দীর্ঘ আঁধার কক্ষ সভয়ে হইয়া পার সহসা দেখিলু সমুখে কোথায় খুলে গেল এক দ্বার। কি দেখিমু ঘরে কেমনে কহিব হ’য়ে যায় মনোভুল, নানা বরণের আলোক সেথায়, নানা বরণের ফুল । কনকে রজতে রতনে জড়িত বসন বিছানো কত । মণিবেদিকায় কুসুমশয়ন স্বপ্ন-রচিত মত। পাদপীঠপরে চরণ প্রসারি’ শয়নে বসিলা বধূ— আমি কহিলাম—“সব দেখিলাম, তোমারে দেখিনি শুধু।” চারিদিক হতে বাজিয়া উঠিল শত কৌতুক হাসি। শত ফোয়ারায় উছসিল যেন পরিহাস রাশিরাশি । সুধীরে রমণী দুবাহু তুলিয়া,—অবগুণ্ঠনখানি উঠায়ে ধরিয়া মধুর হাসিল মুখে না কহিয়া বাণী । চকিত নয়ানে হেরি মুখপানে পড়িলু চরণতলে— “এখানেও তুমি জীবনদেবতা ” কহিনু নয়নজলে। সেই মধুমুখ, সেই মৃদুহাসি সেই স্থধাভরা আঁখি,— চিরদিন মোরে হাসালে কাদালে, চিরদিন দিলে ফাকি ! খেলা করিয়াছ নিশিদিন মোর সব সুখে সব দুখে, এ অজানাপুরে দেখা দিলে পুন সেই পরিচিত মুখে ! ৩৭২