পাতা:বাংলা শব্দতত্ত্ব - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর -দ্বিতীয় সংস্করণ.pdf/৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাংলা কুৎ ও তদ্ধিত Wෂථි ভিন্ন ভিন্ন প্রদেশের অধিবাসীরা প্রাদেশিক প্রয়োগের দৃষ্টাস্ত, যত সংগ্ৰহ করিয়া পাঠাইবেন, ততই কাজে লাগিবে। প্রত্যয়গুলির উৎপত্তি নির্ণয় করাও বাকি রহিল । প্রত্যেক প্রত্যয়জাত শব্দের তালিকা সম্পূর্ণ করা আবশুক । ইহা নিশ্চয়ই পাঠকেরা লক্ষ্য করিয়াছেন, প্রত্যয়গুলির মধ্যে পক্ষপাতের ভাব দেখা যায় ; তাহারা কেন যে কয়টিমাত্র শব্দকে বাছিয়া লয়, বাকি সমস্তকেই বর্জন করে, তাহা বুঝা কঠিন। তালিকা সম্পূর্ণ হইলে তাহার নিয়ম আবিষ্কারের আশা করা যাইতে পারে । মন্ত প্রত্যয় কেনই ব| "আক্কেল” শব্দকে আশ্রয় করিয়া “আক্কেলমন্ত” হইবে, অথচ "চালাকি” শব্দের সহযোগে “চালাকিমস্ত” হইতে পারিল না তাহ কে বলিবে ? "নি” যোগে বহুতর বাংলা স্ত্রীলিঙ্গ শব্দের উৎপত্তি হইয়াছে—কামারনি খোট্টানি ইত্যাদি । কিন্তু বন্তিনি ( বৈদ্যন্ত্রী ) কেহ তো বলে না ;—উড়েনি বলে, কিন্তু পাঞ্জাবিনি বা শিখিনি বা মগিনি বলে না। বাঘিনি হয়, কিন্তু উটিনি হয় না, কুকুরনি বেড়ালনি হয় না। প্রত্যয় যোগে স্ত্রীলিঙ্গ অনেক স্থলে হয়ই না, সেই কারণে মাদি কুকুর বলিতে হয় । পাঠার স্ত্রীলিঙ্গে পাঠি হয় ; মোষের স্ত্রীলিঙ্গে মোষি হয় না । এ সমস্ত অনুধাবন করিবার যোগ্য । কোন প্রত্যয় যোগে শব্দের কী প্রকার রূপান্তর হয় তাহাও নিয়মবদ্ধ করিয়া লেখা আবশ্যক। নিতান্তই সময়াভাববশতঃ আমি সে কাজে হাত দিতে পারি নাই। নোড়া শব্দের উত্তর ই প্রত্যয় করিলে হয় চুড়ি ; দাড়ি শব্দের উত্তর আ প্রত্যয় করিলে হয় দেড়ে ; টোল