পাতা:কাব্যগ্রন্থ (তৃতীয় খণ্ড).pdf/১০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সোনার তরী না বুঝিয়া । দিবারাত্রি গুঢ় এক মেহব্যাকুলতা, গর্ভিণীর পূর্ববরাগ, অলক্ষিতে অপূর্ব মমতা, অজ্ঞাত আকাঙক্ষরাশি, নিঃসন্তান শূন্য বক্ষোদেশে নিরন্তর উঠিত ব্যাকুলি’ । প্রতি প্রাতে উষা এসে অনুমান করি’ যেত মহা-সন্তানের জন্মদিন, নক্ষত্র রহিত চাহি নিশি নিশি নিমেষবিহীন শিশুহীন শয়ন-শিয়রে । সেই আদিজননীর জনশূন্ত জীবশুন্য স্নেহচঞ্চলত সুগভীর, আসন্ন প্রতীক্ষাপূর্ণ সেই তব জাগ্রত বাসন, অগাধ প্রাণের তলে সেই তব অজানা বেদন অনাগত মহা ভবিষ্যৎ লাগি, হৃদয়ে আমার যুগান্তর-স্মৃতিসম উদিত হতেছে বারম্বার। আমারো চিত্তের মাঝে তেমনি অজ্ঞাত ব্যথাভরে, তেমনি অচেনা প্রত্যাশায়, অলক্ষ্য স্থদূর তরে উঠিছে মৰ্ম্মর স্বর। মানব-হৃদয়-সিন্ধুতলে যেন নব মহাদেশ স্বজন হতেছে পলে পলে আপনি সে নাহি জানে। শুধু অৰ্দ্ধ অনুভব তারি ব্যাকুল করেছে তারে, মনে তা’র দিয়েছে সঞ্চারি’ আকারপ্রকারহীন তৃপ্তিহীন এক মহা আশা প্রমাণের অগোচর, প্রতক্ষের বাহিরেতে বাসা । তর্ক তা’রে পরিহাসে, মৰ্ম্ম তারে সত্য বলি’ জানে, সহস্ৰ ব্যাঘাত মাঝে তবুও সে সন্দেহ না মানে, レア8