পাতা:প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য - দ্বাদশ সংস্করণ.pdf/১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য সে স্থানগুলি বেদই নয় —“আমায়স্য ক্রিয়ার্থত্বাং আনর্থক্যং অতদৰ্থানাং”—জৈমিনিসূত্র । ১২।১–‘ওঁকার ধ্যানে সৰ্ব্বার্থসিদ্ধি, হরিনামে সৰ্ব্ব পাপনাশ, শরণাগতের সর্বাপ্তি, এ সমস্ত শাস্ত্রবাক্য সাধুবাক্য অবশু সত্য ; কিন্তু দেখতে পাচ্ছ যে, লাখো লোক ওঁকার জপে মচ্ছে, হরিনামে মাতোয়ারা হচ্ছে, দিনরাত ‘প্ৰভু যা করেন’ বলছে, এবং পাচ্ছে,—ঘোড়ার ডিম। তার মানে বুঝতে হবে যে, কার জপ যথার্থ হয় ? কার মুখে হরিনাম বজবং অমোঘ ? কে শরণ যথার্থ নিতে পারে ? যার কৰ্ম্ম করে চিত্তশুদ্ধি হয়েছে, অর্থাৎ যে ‘ধাৰ্ম্মিক’ । প্রত্যেক জীব শক্তি প্রকাশের এক একটি কেন্দ্র । পুর্বের্বর কৰ্ম্মফলে সে শক্তি সঞ্চিত হয়ে আছে, আমরা তাই নিয়ে জন্মেছি। যতক্ষণ সে শক্তি কাৰ্য্যরূপে প্রকাশ না হচ্ছে, ততক্ষণ কে স্থির থাকবে বল ? ততক্ষণ, ভোগ কে ঘোচায় বল ? তবে দুঃখভোগের চেয়ে, সুখভোগটা ভাল নয় ? কুকৰ্ম্মের চেয়ে স্বকৰ্ম্মট ভাল নয় ? পূজ্যপাদ স্ত্রীরামপ্রসাদ বলেছেন,—‘ভাল মন্দ দুটো কথা, ভালটা তার করাই ভাল।” এখন ভালটা কি ? মুক্তিকামের ভাল অন্যরূপ, ‘ধৰ্ম্মকামের ভাল আর একপ্রকার। এই গীতাপ্রকাশক >>