পাতা:প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য - দ্বাদশ সংস্করণ.pdf/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য কিন্তু তফাৎ দেখ আমরা স্নান করি কেন ?-- অধৰ্ম্মের ভয়ে ; পাশ্চাত্যের হাত-মুখ ধোয়—পরিষ্কার হবে বলে। আমাদের—জল ঢাললেই হল, তা তেলই বেড়-বেড় করুক, আর ময়লাই লেগে থাকুক। আবার, দক্ষিণী ভায়া স্বান করে এমন লম্বা চওড়া তেলক কাটলেন যে, ঝামারও সাধ্য নয় তাকে ঘসে তোলে। আবার আমাদের স্নান সোজা কথা, যেখানে হক ডুব লাগালেই হল । ওদের সে এক-বস্তা কাপড় খুলতে হবে, তার বন্ধনই বা কি ! আমাদের গা দেখাতে লজ্জা নেই ; ওদের বেজায়। তবে পুরুষে পুরুষে কিছুমাত্র নেই—বাপ বেটার সামনে উলঙ্গ হবে—দোষ নেই । মেয়েছেলের সামনে আপাদমস্তক ঢাকৃতে হবে। বহিরাচার’, অর্থাৎ পরিষ্কার থাকাটা, অন্যান্য আচারের স্তায়, কখন কখন অত্যাচার বা অনাচার হয়ে পড়ে। ইউরোপী বলে যে, শরীর সম্বন্ধী সমস্ত কাৰ্য্য অতি গোপনে করা উচিত। উত্তম কথা । এই শৌচাদি ত দূরের কথা ; লোক-মধ্যে থুথু ফেলা একটা মহা অভদ্রতা। খেয়ে আচান সকলের সামনে, অতি লজ্জার কথা, কেন না কুলকুচে তায় আছে। লোকলজ্জার ভয়ে, খেয়ে-দেয়ে মুখটি মুছে বসে থাকে ; 8 e