পাতা:প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য - দ্বাদশ সংস্করণ.pdf/১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য কৃশ্চানরা পূজা করছে। ঐ যে হিমালয় পাহাড় দেখছ, ওরির উত্তরে কৈলাস, সেথা বুড়ো শিবের প্রধান আড্ডা। ও কৈলাস দশমুণ্ড-কুড়িহাত রাবণ নাড়াতে পারে নি, ও কি এখন পাদ্রী-ফান্দ্রীর কৰ্ম্ম! ঐ বুড়ে শিব ডমরু বাজাবেন, মা কালী পাঠা খাবেন, আর কৃষ্ণ বঁাশী বাজাবেন,—এদেশে চিরকাল। যদি না পছন্দ হয়, সরে পড় না কেন ? তোমাদের স্থা চারজনের জন্য দেশশুদ্ধ লোককে হাড় জ্বালাতন হতে হবে বুঝি ? চরে খাওগে না কেন ? এত বড় তুনিয়াটা পড়ে ত রয়েছে। তা নয়। মুরদ কোথায় ? ঐ বুড়ো শিবের অন্ন খাবেন, আর নেমকহারামি করবেন, যীশুর জয় গাইবেন—অ৷ মরি !! ঐ যে সাহেবদের কাছে নাকি-কান্না ধর যে ‘আমরা অতি নীচ, আমরা অতি অপদার্থ, আমাদের সব খারাপ, এ কথা ঠিক হতে পারে—তোমরা অবশ্য সত্যবাদী ; তবে ঐ আমরার ভেতর দেশশুদ্ধকে জড়াও কেন ? ওটা কোনদেশী ভদ্রতা হে বাপু ? প্রথম বুঝতে হবে যে, এমন কোনও গুণ নেই, যা কোনও জাতিবিশেষের একাধিকার । তবে, কোনও ব্যক্তিতে যেমন, তেমনি কোনও জাতিতে কোনও কোনও গুণের আধিক্য প্রাধান্ত । আমাদের দেশে মোক্ষলাভেচ্ছার প্রাধান্ত, পাশ্চাত্যে \No