পাতা:প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য - দ্বাদশ সংস্করণ.pdf/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য সমাজের রীতি-নীতি বদলাবার দরকার হলে বদলে দেন। আমরা চুপ করে শুনি, আর করি। তবে এতে তোমার বাড়ার-ভাগ, ঐ মেজরিটি, ভোট প্রভৃতি হাঙ্গামগুলো নেই, এই মাত্র। অবশ্য ভোট ব্যালটের সঙ্গে প্রজাদের যে একটা শিক্ষা হয়, সেটা আমরা পাই না , কিন্তু রাজনীতির mor নামে যে চোরের দল দেশের লোকের রক্ত চুষে সমস্ত ইউরোপ দেশে খাচ্ছে, মোটাডাকাতি তাজা হচ্ছে সে দলও আমাদের দেশে নেই। সে ঘুষের ধুম, সে দিনে-ডাকাতি যা পাশ্চাত্যদেশে হয়, রামচন্দ্র । যদি ভেতরের কথা দেখতে ত মামুষের উপর হতাশ হয়ে যেতে। ‘গুলী গলী গোরস ফিরে মদিরা বৈঠি বিকায়। সতীকে ধোত না মিলে কসবিন পহিনে খাস ॥ * যাদের হাতে টাকা, তার রাজ্যশাসন নিজেদের মুটোর ভেতর রেখেছে, প্রজাদের লুঠছে শুষছে, তারপর সেপাই করে দেশদেশান্তরে মরতে পাঠাচ্ছে,—জিত হলে, তাদের ঘরভরে ধনধান্ত আসবে। আর প্রজাগুলো ত সেই

  • ‘গলিতে গলিতে দুগ্ধ ফেরি করিতে হয়, কিন্তু মুর একস্থানে বসিয়াই বিক্রয় হয়। সতী-নারীর পরিধানের বস্ত্র জুটে

না, অসতী মুবেশ পরিধান করে । ধন্ত কলিযুগের প্রভাব!’ —মহাত্মা তুলসীদাস Ꭶ☾